৫ সমস্যায় বুঝে নিন দেহে জিঙ্কের ঘাটতি রয়েছে

 


ODD বাংলা ডেস্ক: মানবদেহে বিভিন্ন ধরনের খনিজ ও ভিটামিন দরকার। দেহের কার্যক্রম সুষ্ঠুভাবে পরিচালনার জন্য এসব উপাদান ন্যূনতম পরিমাণে থাকাটা জরুরি। যখন কোনো উপাদানের ঘাটতি পড়ে, তখন সার্বিক পরিচালনব্যবস্থায় এর বিরূপ প্রভাব পড়ে। আর তা দেহে নানাভাবে দৃশ্যমান হয়। দেহের এক জরুরি খনিজ জিঙ্ক। রোগপ্রতিরোধব্যবস্থা, কোষ বিভাজন, কোষের বৃদ্ধি এবং প্রোটিন ও ডিএনএ সংশ্লেষণের জন্য প্রয়োজনীয় ৩০০ জৈব রাসায়নিক পদার্থকে ক্রিয়াশীল রাখে এই জিঙ্ক। গুটিকয়েক খাবারেই মেলে এই উপাদান। একে মজুদ রাখতে পারে না দেহ। কাজেই দেহে এর সরবরাহ নিরবচ্ছিন্ন রাখতে নিয়মতি জিঙ্কপূর্ণ খাবার খেতে হয়।


বিশেষজ্ঞদের মতে, ১৪ বছরের বেশি বয়সী পুরুষের প্রতিদিন ১১ মিলিগ্রাম এবং নারীদের ৮ মিলিগ্রাম জিঙ্ক গ্রহণ করা আবশ্যক। অন্তঃসত্ত্বা নারীদের প্রতিদিন ১১ মিলিগ্রাম এবং শিশুকে বুকের দুধ খাওয়ান এমন মায়েদের ১২ মিলিগ্রাম জিঙ্ক গ্রহণ করার পরামর্শ দেওয়া হয়। আপনার দেহে জিঙ্কের ঘাটতি আছে কি? এটা বুঝতে বেশ কিছু লক্ষণে মন দিন। এমন পাঁচটি লক্ষণের কথা জানাচ্ছেন বিশেষজ্ঞরা, যার মাধ্যমে বুঝবেন আপনার জিঙ্ক গ্রহণের পরিমাণ বৃদ্ধি করতে হবে। 


১. ক্ষত সহজে শুকায় না 

ত্বকের স্বাস্থ্যের দেখভাল এবং রক্ত জমাট বাঁধতে সহায়তা করে জিঙ্ক। যদি পর্যাপ্ত পরিমাণে জিঙ্ক দেহে না থাকে তবে আঘাত থেকে সৃষ্ট ক্ষত সহজে শুকোবে না। ত্বকে প্রচুর অ্যাকনি হওয়া জিঙ্কের অভাবের লক্ষণ। ক্ষত সারাতে অনেক সময়ই জিঙ্ক সাপ্লিমেন্ট দেওয়া হয়। 


২. হঠাৎ ওজন হ্রাস

জিঙ্কের অপর্যাপ্ততায় ক্ষুধামন্দা দেখা দেয়, যা ওজন হ্রাসের দিকে নিয়ে যায়। বাড়তি ওজন ঝেড়ে ফেলা স্বাস্থ্যকর বিষয়। কিন্তু অতিমাত্রায় ওজন খোয়ানো অন্যান্য স্বাস্থ্যগত সমস্যা বয়ে আনে। এমনকি যখন আপনি ওজন হ্রাসের পরিকল্পনায় আছেন, তখনো পুষ্টি উপাদান পর্যাপ্ত গ্রহণ করতে হবে দেহের অভ্যন্তরীণ কার্যক্রম ঠিকঠাকভাবে চলার জন্য। পুষ্টির অভাবে ওজন কমে যাওয়া কোনোক্রমেই স্বাস্থ্যের অগ্রগতি হতে পারে না। আর জিঙ্কের অভাবে এমনটা হতে পারে। 


৩. চুল পড়া

মানসিক চাপ, মাথার ত্বকের অযত্ন এবং যথেষ্ট পুষ্টি উপাদানের ঘাটতিতে চুল পড়া সমস্যায় ভুগতে পারেন। চুল ভেঙে যাওয়া, পড়তে থাকা এবং পাতলা হয়ে আসা জিঙ্কের অভাবে ঘটে। কাজেই চুল নিয়ে এমন সমস্যায় যারা ভুগেছেন তাদের জিঙ্ক গ্রহণের দিকে মনোযোগ দিতে হবে। 


৪. ঠাণ্ডা-সর্দি

রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতাকে জোরদার করা ও ক্রনিক রোগ থেকে বাঁচতে জিঙ্ক অতিজরুরি উপাদান হিসেবে বিবেচিত হয়। দেহে জিঙ্কের পরিমাণ যথাযথ না থাকলে সংক্রামক ব্যাধি ও রোগবালাইয়ে আক্রান্ত হওয়ার প্রবণতা বেশি দেখা দেয়। যদি আপনি অন্যদের তুলনায় বেশি ঠাণ্ডা-সর্দিতে ভোগেন এবং শীত শীত লাগে, তবে জিঙ্কের ঘাটতি দেখা দিয়েছে ধরে নিতে পারেন। সর্দির সমস্যায় দ্রুত আরোগ্যলাভে জিঙ্ক দারুণ কাজ করে। 


৫. ঝাপসা দৃষ্টি

এই খনিজের অভাবে দৃষ্টিশক্তিও ঝাপসা হয়ে আসে। যখন দেহ নিয়মিতভাবে জিঙ্ক পায় না, তখন দৃষ্টিশক্তিতে বাজে প্রভাব পড়ে। এতে ঝাপসা দৃষ্টি, তির্যক দৃষ্টি কিংবা দৃষ্টিশক্তির অনেকটাই নষ্ট হয়ে যাওয়ার মতো মারাত্মক সমস্যা হতে পারে। জিঙ্ক গ্রহণে চোখ ভালো থাকে। চোখে এ জাতীয় সমস্যা দেখা দিলে জিঙ্ক গ্রহণে মনোযোগী হোন। 

কোন মন্তব্য নেই

Blogger দ্বারা পরিচালিত.