সরস্বতী পুজোর দিনেই পূজিত হন কামদেব ও রতি, কেন জানেন?

ODD বাংলা ডেস্ক: মাঘ মাসের শুক্ল পক্ষের পঞ্চমী তিথিতে বসন্ত পঞ্চমী পালিত হয়। এই তিথিতে সরস্বতী পুজো করা হয়ে থাকে। এই তিথিতেই হাতেখড়ি দেওয়ার মাধ্যমে শিশুর শিক্ষারম্ভ করা হয়ে থাকে। তবে আপনারা কী জানেন বসন্ত পঞ্চমী তিথিতে কামদেব ও রতির আরাধনাও করা হয়ে থাকে? এমনিতে বসন্ত পঞ্চমী তিথিটি বাঙালির ভ্যালেন্টাইন্স ডে-তে পরিণত হয়েছে।তার ওপর এবছর সরস্বতী পুজো আর ভ্যালেন্টাইন্স ডে একই দিনে পড়েছে। পুরাণ অনুযায়ী আবার এ দিনই কামদেব ও রতির পুজো হয়। পাশ্চাত্য দেশের কিউপিডের মতোই কামদেব এবং রতি ভালোবাসার দেব-দেবী। এই তিথিতে কামদেব ও রতির পুজোর কারণ জেনে নিন এখানে।


বসন্ত পঞ্চমীতে কেন করা হয় কামদেব ও রতির পুজো?


ধর্মীয় ধারণা অনুযায়ী বসন্ত পঞ্চমীর দিনে সরস্বতী পুজোর পাশাপাশি কামদেব ও রতি পৃথিবীতে আসেন এবং তখন থেকেই বসন্ত ঋতুর সূচনা হয়। কামদেব ও রতির আগমনের ফলে পৃথিবীতে প্রেম সম্প্রসারিত হয়। কামদেবের প্রভাবে পৃথিবীতে সমস্ত জীবের মধ্যে ভালোবাসার সঞ্চার হয়, পারস্পরিক ভালোবাসা বৃদ্ধি পায়। এ কারণে বসন্ত পঞ্চমীতে কামদেব ও তাঁর স্ত্রী রতির পুজোর প্রথা রয়েছে। কামদেব ছাড়াও বসন্ত পঞ্চমীতে বিষ্ণু, রাধা-কৃষ্ণের পুজো করা হয়ে থাকে। রাধা ও কৃষ্ণ খাঁটি ভালোবাসার প্রতীক। তাই তাঁদের পুজো করা হয় এই তিথিতে।


কামদেব কে?


কামদেব হলেন প্রেম ও কামের দেবতা। রতি তাঁর স্ত্রী। পৌরাণিক কাহিনি অনুযায়ী কামদেব হলেন বিষ্ণু ও লক্ষ্মীর পুত্র। রতির সঙ্গে তাঁর বিবাহ হয়। রাগবশত শিব কামদেবকে ভস্মীভূত করে দেন। তার পর দ্বাপর যুগে কৃষ্ণের পুত্র প্রদ্যুম্ন রূপে তাঁর পুনর্জন্ম হয়।


পৌরাণিক কাহিনি অনুযায়ী সতীর আত্মদাহের পর শিবের মনে কাম ও প্রেম জাগৃত করার জন্য দেবতারা কামদেবের সহযোগিতা প্রার্থনা করেন। যাতে শিবের ধ্যানভঙ্গ হয় এবং পার্বতীর সঙ্গে তাঁর পুনরায় মিলন হয়। এ কারণে রতির সঙ্গে মিলে কামদেব শিবের ধ্যান ভঙ্গ করেন। তখনই রেগে গিয়ে শিব কামদেবকে ভস্ম করে দেন। এর পর রতি বিলাপ করেন। তখন শিব রতিকে আশীর্বাদ দেন যে কামদেব আবেগ রূপে বিরাজ করবেন। শিব জানান যে, কামদেবের মৃত্যু হয়নি, তিনি অনঙ্গ। কারণ তাঁর শরীর নষ্ট হয়েছে এবং তিনি কোনও শরীরে বাস করবেন না। কামদেবকে কৃষ্ণের পুত্র প্রদ্যুম্ন রূপে শরীর লাভ করার আশীর্বাদ দিয়েছিলেন শিব।

কোন মন্তব্য নেই

Blogger দ্বারা পরিচালিত.