বিয়ের আগে হবু সঙ্গীর সম্পর্কে যা জানা জরুরি



 ODD বাংলা ডেস্ক: বিয়ে একটি পবিত্র বন্ধন। এই বন্ধনের মাধ্যমে দুইজন মানুষ সুখে-দুঃখে একে অপরের সঙ্গে সারা জীবন থাকার জন্য অঙ্গীকারবদ্ধ হন। বিয়ের মাধ্যমে শুধু যে দুজনের মধ্যেই সম্পর্ক গড়ে ওঠে তা কিন্তু নয়, বিয়ে দুটি পরিবারকেও এক করে।

বিয়ে হয়ে গেলেই শুধু হয় না। কারণ এই পথচলা সব সময় সহজ হয় না। সংসার যাত্রার দীর্ঘ পথ পাড়ি দিতে বুঝেশুনে চলতে হয়। শুধু ভালোবাসায় সংসার টেকে না। ভালোবাসার পাশাপাশি আরো অনেক কিছু জানার আছে। ভালোবাসা টিকে থাকে বিশ্বাসের ওপর। এজন্য বিয়ের আগেই সঙ্গীকে কিছু বিষয়ে জানানো জরুরি। 


ডেটিং সাইট ও অ্যাপের এই যুগে এখন সত্যিকারের ভালোবাসার মানুষ খুঁজে পাওয়া কঠিন। প্রযুক্তির নানা সুবিধা থাকলেও এর মাধ্যমে মিথ্যা, প্রতারণা ও কেলেঙ্কারির অনেক ঘটনায় প্রতিদিন চোখে পড়ে কমবেশি সবারই।


এ কারণে বিয়ের আগে হবু সঙ্গীর ব্যাকগ্রাউন্ড বা পারিপার্শ্বিক অবস্থা যাচাই করা গুরুত্বপূর্ণ। সঙ্গীর পরিচয় ও প্রকৃততা যাচাই সুখী দাম্পত্য জীবনের জন্য অপরিহার্য। চলুন জেনে নেয়া যাক কোন কোন বিষয় বিয়ের আগে হবু সঙ্গীর সম্পর্কে যা জানা জরুরি-


পারিবারিকভাবে বিয়ে করলে যে কাজ করবেন না

>>> বিয়ের আগে হবু সঙ্গীর পারিপার্শ্বিক অবস্থা যাচাই করলে বিয়ের পর আপনাকে ঠকতে হবে না। উভয় অংশীদারেরই উচিত বিয়ের আগে একে অপরের সম্পর্কে অবগত হওয়া।


>>> এক্ষেত্রে প্রথমেই সঙ্গীর অতীত সম্পর্কে ভালোভাবে জানার চেষ্টা করুন। এতে করে বিয়ের পরে ভুল বোঝাবুঝির সৃষ্টি না হয়। সঙ্গীর করা ছোট বা বড় ভুল সম্পর্কে আপনার সঠিক ধারণা থাকলে মানসিকভাবে প্রস্তুত হতে পারবেন।


>>> বিয়ের সঙ্গে জড়িত সবচেয়ে বড় কুফল হলো যৌতুক। যখন আপনার সঙ্গী ও তাদের পরিবার যৌতুক দাবি করে, তখন বুঝতে হবে তাদের হাঁটুর গভীরে ঋণী। আর এমন পরিবারে বিয়ে হলে প্রায়শই যৌতুকের জন্য শারীরিক ও মানসিক নির্যাতনের ঘটনা ঘটতে পারে আপনার সঙ্গে।


বিয়ের জন্য মানসিক প্রস্তুতি নেবেন যেভাবে

>>> একই সঙ্গে সঙ্গীর চরিত্র সম্পর্কে জানাও গুরুত্বপূর্ণ। এমনও হতে পারে আপনি যাকে নিয়ে নতুন জীবন গড়ার স্বপ্ন দেখছেন তিনি চারিত্রিকভাবে ভালো নন কিংবা অপরাধমূলক রেকর্ডে ভরা তার অতীত। বিয়ের পর সহিংসতা ও হয়রানি এড়াতে এই দিক পুঙ্খানুপুঙ্খভাবে যাচাই করতে হবে।


>>> পরিসংখ্যান অনুযায়ী, বিশ্বব্যাপী প্রতি তিন জনের মধ্যে এক জন নারী ও চার জন পুরুষের মধ্যে এক জন সঙ্গীর হাতে কোনো না কোনো ধরনের গার্হস্থ্য সহিংসতার সম্মুখীন হন। এ কারণে নিশ্চিত করতে হবে, আপনার সঙ্গীর অতীতে কোনো গার্হস্থ্য নির্যাতনের ঘটনা আছে কিনা।


>>> হবু সঙ্গীর পরিচয় যাচাই করাও জরুরি। কারণ অনেকেই তাদের বাসস্থান, বয়স, আর্থিক অবস্থা ইত্যাদি সম্পর্কে মিথ্যা বলেন। সততা ও বিশ্বাস একটি সম্পর্ক গড়ে তোলার জন্য গুরুত্বপূর্ণ। তবে এটি পরিচয় জালিয়াতির মতো গুরুতর কিছু সম্পর্কে সতর্ক থাকতেও সহায়তা করে।


যে বয়সে বিয়ে করলে আয়ু বাড়ে পুরুষের

>>> এটাও গুরুত্বপূর্ণ যে আপনার সঙ্গীর খারাপ কোনো অভ্যাস আছে কিনা তা জানা। হতে পারে তিনি একজন নেশাগ্রস্ত বা মাদকাসক্ত ব্যক্তি। এমন ক্ষেত্রে বিষয়টি হবু সঙ্গীর পরিবারের কাছে গোপন করা হয়। ফলে বিয়ের পরে বাড়ে সহিংসতা। এমন ব্যক্তির সঙ্গে সম্পর্ক গড়বেন না ভুলেও।


>>> আপনি সরাসরি সঙ্গীকে এই বিষয়ে জিজ্ঞাসা করতে পারেন। তবে যদি তারা সন্দেহজনক উত্তর দেয় তাহলে বুঝবেন তিনি আপনাকে সম্পূর্ণ সত্য বলছেন না। এক্ষেত্রে সঙ্গীর ব্যাকগ্রাউন্ড চেক করুন। তিনি আদৌ কী অবিবাহিত, বিবাহবিচ্ছেদ বা আগে কোনো সন্তান আছে কিনা তা সহজেই আপনি প্রতিবেশি, আত্মীয় কিংবা বন্ধুবান্ধবের কাছ থেকে জানতে পারবেন।

কোন মন্তব্য নেই

Blogger দ্বারা পরিচালিত.