‘গোপন অঙ্গ’! মানব শরীরে নতুন অঙ্গ আবিষ্কার

ODD বাংলা ডেস্ক: মানব শরীরের বাহ্যিক অঙ্গগুলো আমাদের সকলের যেমন জানা, তেমনি অভ্যন্তরীণ অঙ্গগুলো সম্পর্কে জানা চিকিৎসকদের। কিন্তু চমকপ্রদ তথ্য হচ্ছে, মানব শরীরের অভ্যন্তরে এমন একটি গোপন অঙ্গ রয়েছে, যা চিকিৎসকদের কাছে এতদিন অজানা ছিল।
নেদারল্যান্ডসের বিজ্ঞানীদের এক দল প্রস্টেট ক্যানসারের বিষয়ে গবেষণা করার সময় আচমকাই খুঁজে পান ওই অঙ্গ। বিজ্ঞান বিষয়ক ওয়েবসাইট লাইভসায়েন্সের এক প্রতিবেদন থেকে তেমনটাই জানা গিয়েছে।

‘নেদারল্যান্ডস ক্যানসার ইনস্টিটিউটে’র ওই গবেষকরা গলার উপরের দিকে হাজার হাজার আণুবীক্ষণিক লালা গ্রন্থি দেখতে পেয়েছেন। গ্রন্থিগুলির তারা নামকরণ করেছেন ‘টিউবারিয়াল লালা গ্রন্থি’। গবেষকরা ১০০ জনের উপর পরীক্ষা চালিয়ে নিশ্চিত হয়েছেন নাকের পিছনে থাকা প্রায় দেড় ইঞ্চি লম্বা একজোড়া লালাগ্রন্থির। যা সন্নিহিত অঞ্চলকে শুষ্কতার থেকে রক্ষা করে।

যদিও নেহাতই আকস্মিক ভাবেই এই লালাগ্রন্থির সন্ধান পাওয়ার কথা জানিয়েছেন গবেষকদ্বয়। প্রস্টেট ক্যান্সার নিয়ে গবেষণা চালাচ্ছিলেন তারা। যেখানে একই ব্যক্তির দেহে সিটি স্ক্যান এবং আরও আধুনিক পিএসএমএ পজিট্রন এমিসন টমোগ্রাফি স্ক্যান করে। সেই ছবি থেকে পরীক্ষা চালানো হচ্ছিল। সেই সূত্রেই ‘ট্রেসার’ এলিমেন্ট ঢুকে পড়ছিল ওই লালাগ্রন্থিতে।

একজনের দেহে এ রকম ছবি পাওয়ার পর পরীক্ষার জন্য আরো ১০০ মানুষকে এই লালাগ্রন্থির অস্তিত্বের খোঁজে পরীক্ষায় সামিল করেন তারা। সব ক্ষেত্রেই তা দেখার পর মৃত শরীরেও পোস্টমর্টেম করে গ্রন্থিটির উপস্থিতি সম্পর্কে নিশ্চিত হয়ে তা গবেষণাপত্রে প্রকাশ করেছেন তারা।

গবেষকদের দাবি, এই গ্রন্থির আবিষ্কার ক্যান্সার চিকিৎসায় কেমোথেরাপি দেওয়ার ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ ভ‚মিকা নেবে। চিকিৎসকরা ক্যানসারের চিকিৎসার সময় রেডিওথেরাপি ব্যবহার করেন। সেই সময় তারা প্রধান লালাগ্রন্থিগুলিকে বাঁচিয়ে তা প্রয়োগ করেন, যাতে রোগীদের খেতে, কথা বলতে কিংবা খাবার চিবোতে সমস্যা না হয়।

কিন্তু এখন দেখা যাচ্ছে, যেহেতু ওই আণুবীক্ষণিক লালা গ্রন্থিগুলি সম্পর্কে তারা অবহিত ছিলেন না তাই সেগুলো হয়তো রেডিয়েশনের কবল থেকে বাঁচত না। ফলে রোগীর শরীরে আরও পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া দেখা যেত। আগামী দিনে বিজ্ঞানীরা এই লালা গ্রন্থিগুলির সম্পর্কে সচেতন থাকলে রেডিয়েশনের সময় রোগীদের পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া কমবে।

কোন মন্তব্য নেই

Blogger দ্বারা পরিচালিত.