রান্নাঘরে থাকা বেলনচাকি বদলে দিতে পারে বাড়ির পরিবেশ, নেতিবাচক শক্তি ঠেকাতে মেনে চলুন এই নিয়ম
ODD বাংলা ডেস্ক: রান্নাঘরকে মা অন্নপূর্ণার আবাস বলে মনে করা হয়। মা অন্নপূর্ণা মা লক্ষ্মীর অন্য রূপ। একটি বাড়ি কতটা সুখী-সমৃদ্ধ তা তার রান্নাঘর দেখলেই বোঝা যায়। রান্নাঘরে রুটি তৈরির বেলন চাকি একটি গুরুত্বপূর্ণ অংশ। প্রায় প্রতিটি বাড়িতেই এর ব্যবহার হয়। জ্যোতিষশাস্ত্রে বলা হয়েছে, বেলনচাকি দিয়ে রুটি তৈরির সময় আমাদের অনেক সতর্কতা অবলম্বন করা উচিত, তা না হলে বাড়ির পরিবেশ নষ্ট হতে সময় লাগে না।
অকারণ পারিবারিক অশান্তি, আর্থিক জটিলতা কিংবা কোনও কাজে বাধা আসে মাঝেমধ্যেই। অনেকেই আছেন, যারা কঠিন পরিশ্রমের পরও সফল হন না। এমনকী, অনেকের আর্থিক টানাপোড়েন একের পর এক লেগেই থাকে। আর্থিক উন্নতিতে বাধা, আর্থিক জটিলটা কিংবা আর্থিক ক্ষতির সম্মুখীন হন অনেকেই। জানেন কী, এই সবের কারণ হতে পারে বাস্তুদোষ। শাস্ত্র মতে, বাস্তুদোষ থাকলে তা সব কাজে বাধা দেয়।
এই রঙের বেলনচাকি ব্যবহার করবেন না
খাকি বা বাদামী রঙের বেলনচাকি বেশিরভাগ রান্নাঘরে ব্যবহার করা হয়। অনেক সময় ফ্যাশনের জন্য মানুষ কালো রঙের বেলনচাকিও ব্যবহার করে। জ্যোতিষ শাস্ত্র অনুসারে এমন করা অশুভ বলে মনে করা হয়। আপনার এই ভুলটি আপনাকে নিঃস্ব করে তুলতে পারে। জ্যোতিষশাস্ত্র অনুসারে, রান্নাঘরে কালো বেলনচাকি ব্যবহার করলে শনি দোষ এবং নেতিবাচক শক্তি ঘরে প্রবেশ করে, যা আপনাকে ধীরে ধীরে ধ্বংসের দিকে নিয়ে যায়।
বেলনচাকি যেন কোনও শব্দ না হয়
জ্যোতিষীদের মতে, বেলনচাকিতে রুটি তৈরির সময় কোনও শব্দ হওয়া উচিত নয়। এটি করা অশুভ বলে মনে করা হয় এবং অর্থ ক্ষতির সূচনা নির্দেশ করে। যদি আপনার চাকতিটি কিছুটা আঁকাবাঁকা হয় তবে এটির নীচে একটি কাপড় রেখে ভারসাম্য বজায় রাখুন, যাতে এটি থেকে কোনও শব্দ না আসে। এমনকি সিলিন্ডার চালানোর সময়ও খেয়াল রাখবেন এটি থেকে যেন বেশি শব্দ বের না হয়।
নোংরা বেলনচাকি রেখে যাবেন না
যখনই বেলনচাকি দিয়ে রুটি বানাবেন, খেয়াল রাখবেন যেন তা নোংরা না হয়। রুটি বানানোর পর দুটোই পরিষ্কার জল দিয়ে ধুয়ে তারপর কাপড় দিয়ে মুছে আলাদা করে রাখুন। বেলনচাকি না ধুয়ে রাখলে এতে ব্যাকটেরিয়া ও অন্যান্য জীবাণু জন্মানোর আশঙ্কা থাকে, যার কারণে রোগাক্রান্ত হওয়ার আশঙ্কা থাকে। তাই এটি পরিষ্কার করা খুবই গুরুত্বপূর্ণ কাজ। এবং তা বাড়ির পরিবেশের ওপরেই নেতিবাচক প্রভাব ফেলে।
Post a Comment