শুধু মাসের এই ৫ দিন খাবেন না পেঁয়াজ-রসুন, তুষ্ট হবেন লক্ষ্মী! কাটবে বিপদ-আপদ

 


ODD বাংলা ডেস্ক: পেঁয়াজ ও রসুনকে বিশেষ বিশেষ দিনে না খাওয়ার পরামর্শ দেওয়া হয় হিন্দুধর্মে। পেঁয়াজ ও রসুন দেওয়া খাবার সাধারণ ভাবে আমিষ হিসেবে ধরা হয়। তবে কবে পেঁয়াজ রসুন খাবেন আর কবে খাবেন না, এই নিয়ে চিন্তা করার কিছু নেই। মাসের মাত্র পাঁচটি দিন পেঁয়াজ রসুন এড়িয়ে গেলেই হবে। শাস্ত্র অনুসারে এই পাঁচ দিন পেঁয়াজ রসুন না খেলেই মা লক্ষ্মীর কৃপাদৃষ্টি থাকবে আপনার উপর। যে সব বাড়িতে মাসের এই পাঁচ দিন পেঁয়াজ রসুন খাওয়া হয় না, সেই বাড়িতে স্বয়ং মা লক্ষ্মী বাস করেন বলে প্রচলিত বিশ্বাস। জেনে নিন মাসের কোন কোন দিনে পেঁয়াজ রসুন না খেলে শুভ ফল লাভ করবেন আপনি।


অমাবস্যা

হিন্দু ধর্মে বলা হয়েছে যে অমাবস্যা তিথি আমাদের প্রয়াত পূর্বপুরুষদের সঙ্গ সম্পর্কযুক্ত। তাঁদের তুষ্ট করতে এদিন দান-ধ্যান করার কথা বলা হয়। এর পাশাপাশি অমাবস্যায় শ্রাদ্ধকর্ম, পিণ্ডদান করা শুভ। সেই কারণে অমাবস্যায় পেঁয়াজ রসুন খাওয়া উচিত নয়। এর ফলে আপনি প্রয়াত পূর্বপুরুষদের আশীর্বাদ লাভ করবেন। এদিন সন্ধেয় দক্ষিণ দিকে একটি সর্ষের তেলের প্রদীপ জ্বালিয়ে রেখে দেবেন।


পূর্ণিমা


প্রতি মাসে একবার করে আসে পূর্ণিমা। হিন্দু ধর্মে এই দিনটির বিশেষ গুরুত্ব রয়েছে। পূর্ণিমার চাঁদের বিশেষ সম্পর্ক থাকে। আর চন্দ্রদেব হলেন দেবী লক্ষ্মীর ভাই। সেই কারণে যে কোনও পূর্ণিমা তিথিতে লক্ষ্মী পুজো করা যায়। পূর্ণিমায় সাত্বিক খাবার খেলে এবং পেঁয়াজ রসুন এড়িয়ে গেলে মা লক্ষ্মীর কৃপা লাভ করা যায়।


একাদশী


একাদশী তিথি নারায়ণের উদ্দেশ্যে নিবেদিত। এদিন অনেকেই উপবাস রাখেন। পুরোপুরি উপবাস রাখতে না পারলেও একাদশীতে পেঁয়াজ রসুন না খাওয়াই ভালো। এদিন তামসিক আহার করবেন না। তাহলে তুষ্ট হবেন নারায়ণ।


গণেশ চতুর্থী


প্রতি মাসে দু-বার করে গণেশ চতুর্থী পালন করা হয়। এদিন সিদ্ধিদাতার আরাধনা করার রীতি প্রচলিত আছে। ভুলেও গণেশ চতুর্থীতে পেঁয়াজ রসুন খাবেন না।


প্রদোষ ব্রত


জ্যোতিষ অনুসারে প্রতি মাসের ত্রয়োদশী তিথিতে পালিত হয় প্রদোষ ব্রত। এদিন মহাদেবের আরাধনা করা হয়। অনেকেই এদিন উপবাস রেখে শিবপুজো করে থাকেন। তবে পুরো উপবাস না রাখতে পারলে অন্তত পেঁয়াজ রসুন এদিন খাবেন না।

কোন মন্তব্য নেই

Blogger দ্বারা পরিচালিত.