৫ গ্রহের ঘেরাটোপে পাঁচ আঙুল, এটিই নিয়ন্ত্রণ করে আপনার মেজাজ!

 


ODD বাংলা ডেস্ক: আমাদের শরীরের প্রতিটি অঙ্গের সঙ্গে কোনও না-কোনও গ্রহের সংযোগ রয়েছে। আবার আমাদের হাতের ৫টি আঙুলে পাঁচ গ্রহের প্রতিনিধিত্ব রয়েছে। যা আমাদের জীবনকে প্রভাবিত করে। আবার শরীরের বিভিন্ন অঙ্গের সঙ্গেও এক একটি গ্রহ যুক্ত। জ্যোতিষ বলছে এই প্রতিটি গ্রহ বিভিন্ন ভাবে আমাদের মন-মেজাজ নিয়ন্ত্রণ করে থাকে। এখানে এ বিষয়েই আলোচনা করা হবে আজ। কোন আঙুলের সঙ্গে কোন গ্রহের যোগ রয়েছে, এই আঙুলগুলি মিলে গেলে কী হয়, আবার শরীরের বিভিন্ন অংশে গ্রহের আধিপত্যে প্রভাব ইত্যাদি সমস্ত কিছু জেনে নিন এখানে।


আঙুলের সঙ্গে গ্রহের যোগ

শাস্ত্র মতে, হাতের বৃদ্ধাঙ্গুষ্ঠে মঙ্গলের আধিপত্য রয়েছে। মঙ্গল অন্যান্যদের থেকে পৃথক থাকে। তেমনই বৃদ্ধাঙ্গুষ্ঠ অন্য ৪ আঙুলের থেকে পৃথকে থাকে। আবার তর্জনীর সঙ্গে বৃহস্পতির যোগ রয়েছে। বৃহস্পতি দেবগুরু, আমাদের সঠিক পথ দেখান তিনি। আমরা যখন কোনও কিছু দেখাই, তখন তর্জনী তুলে সে দিকটিকে চিহ্নিত করার চেষ্টা করি। আবার মধ্যমা আঙুল শনির সঙ্গে যুক্ত। শনি সেবা প্রদানকারী গ্রহ। আবার অনামিকা আঙুলে গ্রহরাজ সূর্যের আধিপত্য রয়েছে। তাই তো আমরা অনামিকায় আংটি পরি। এ কারণে এই আঙুলকে রিং ফিঙ্গারও বলা হয়ে থাকে। আবার কনিষ্ঠার সঙ্গে বুধের যোগ রয়েছে। আমরা যখন চিন মুদ্রা করি তখন কী হয় জানেন? এ সময় তর্জনী (বৃহস্পতি) ও বৃদ্ধাঙ্গুষ্ঠ (মঙ্গল) একত্রিত হয়। এটি ক্ষমতা ও বুদ্ধির পরিচায়ক। উল্লেখ্য, বুধ বুদ্ধির কারক গ্রহ।


বৃদ্ধাঙ্গুষ্ঠের সঙ্গে মঙ্গলের সংযোগের কারণ


আপনারা কি জানেন বৃদ্ধাঙ্গুষ্ঠের সঙ্গে মঙ্গলের সম্পর্ক কেন রয়েছে? কারণ আমরা জয় লাভ করলে, থাম্বস আপ করি, অর্থাৎ বৃদ্ধাঙ্গুষ্ঠ ওপরের দিকে তুলে নিজের জয় ঘোষণা করি। আবার পরাজিত হলে থাম্বস ডাউন করি। জ্যোতিষ শাস্ত্রে মঙ্গল সাহস, পরাক্রমের কারক গ্রহ। স্বাভাবিক ভাবেই জয়-পরাজয়ের জন্য মঙ্গল আমাদের অনুপ্রাণিত করে থাকে।


শরীরের বিভিন্ন অঙ্গে গ্রহের আধিপত্য


আবার শুধু হাতের আঙুলই নয়, বিভিন্ন গ্রহ আমাদের শরীরের বিভিন্ন অংশকেও প্রভাবিত করে তোলে। যেমন দাঁতের সঙ্গে শনি সম্পর্কযুক্ত। চোখের সঙ্গে সূর্য, গালের সঙ্গে শুক্রের যোগ রয়েছে। কপালে বুধের আধিপত্য থাকে, আবার নাকে বৃহস্পতির।


মেজাজকে প্রভাবিত করে চন্দ্র


আবার আমাদের মেজাজের ওপর চন্দ্র প্রভাব বিস্তার করে। চাঁদ এক একটি রাশিতে বা স্থানে আড়াই দিন ধরে বিচরণ করে। চাঁদ যখনই রাশি পরিবর্তন করে, তখন ব্যক্তির মেজাজেও পরিবর্তন দেখা যায়। আবার এই গোচরের সময় চাঁদ ও শনি এক রাশিতে এলে ব্যক্তি অবসাদের শিকার হতে শুরু করে। তাই ক্ষণিকের মধ্যে আমাদের মেজাজ পাল্টে যেতে পারে। কোনও কিছুই বেশি দিন স্থায়ী হয় না। আবার কোনও গ্রহই এক স্থানে বেশি দিন থাকে না। প্রতিটি গ্রহ চলমান। কিন্তু ব্যক্তি যখনই কোনও একটি আবেগকে নিজের পরিচিতি হিসেবে গড়ে তোলে, তখন আপনি সেখানেই স্থির হয়ে যান। এর পর ব্যক্তি স্থান পরিবর্তন করতে চায় না। এগুলি ক্রমশ শরীরকে প্রভাবিত করে। যার ফলে ব্যক্তি অসুস্থ হয়ে পড়ে।


প্রতিকার


জ্যোতিষে উল্লিখিত নবগ্রহ যখন ১২টি রাশির মধ্য দিয়ে যাত্রা করে, তখন ব্যক্তির মধ্য়ে ১০৮ ধরনের পরিবর্তন দেখা যায়। তাই গ্রহের রাশি পরিবর্তনের শুভ ফলাফল লাভ ও অশুভ শক্তিকে দূর করার জন্য ওম নমঃ শিবায় জপ করা উচিত। ১০৮ বার এই মন্ত্র জপ করলে সুফল পাবেন। এই মন্ত্র ব্যক্তিকে তুষ্ট ও আত্মবিশ্বাসী করে তোলে। ব্যক্তিকে ক্রমশ শুদ্ধ চিত্তের দিকে নিয়ে যায়।

কোন মন্তব্য নেই

Blogger দ্বারা পরিচালিত.