‘ফ্রোজেন ফুড’ কেনার আগে জেনে নিন

 


ODD বাংলা ডেস্ক: সময়ের সঙ্গে সঙ্গে ব্যস্ত জীবন কিংবা লাইফস্টাইল পরিবর্তনের কারণেই ফ্রোজেন ফুড, প্রিজার্ভড ফুডগুলো মানুষের জনপ্রিয়তা পাচ্ছে।


ফ্রোজেন ফুড যে সব সময় অস্বাস্থ্যকর, তা কিন্তু নয়। বরং খাবার ফ্রোজেন করা মাধ্যমে সিজনাল সবজি খুব সহজেই অন্য সিজনে পাওয়া যায়। বাইরের কেনা নানা ফ্রোজেন ফুড খাওয়া হচ্ছে হরহামেশাই।


সমুচা, শিঙারা, নাগেটস, সসেজ, ফিশ ফিলে কিংবা প্রি-কাট মাছ বা মাংস প্যাকেট খুলে বের করেই ভাজা বা রান্না করার সুবিধা থাকায় সবাই ঝুঁকছেন ফ্রোজেন ফুডের দিকে। বেশির ভাগ সময় রেডি টু-কুক খাবার কেনা হচ্ছে রান্নার আগের প্রসেস টাইম ও ঝামেলা এড়াতে। তবে এসব ফ্রোজেন ও প্রিজার্ভড ফুড খাওয়া বা বাছাই করার আগে অবশ্যই লক্ষ রাখুন।

♦ প্যাকেটের গায়ে এক্সপায়ার ডেট লেখা আছে কি না এবং খাবারটি ডেটের মধ্যেই কিনছেন কি না। প্যাকেট খোলার পর খাবারটি কত দিনের মধ্যে খেয়ে শেষ করতে হবে তা অবশ্যই লক্ষ রাখুন।


♦ খাবারটি সঠিক টেম্পারেচার বা তাপমাত্রায় সংরক্ষণ করা হয়েছে কি না, খেয়াল করুন। কেননা দুধ, মাছ, মাংস, দই, আইসক্রিম, চিজ জাতীয় খাবারগুলো পচনশীল। তাই সঠিক তাপমাত্রায় সংরক্ষণ করা খুব দরকার, তা ঘরেই হোক কিংবা বাণিজ্যিকভাবে।


♦ খাবারটিতে কোনো আর্টিফিশিয়াল প্রিজারভেটিভ, আর্টিফিশিয়াল কালার, টেস্টিং সল্ট থাকলে তা খাওয়া থেকে বিরত থাকুন।


♦ লক্ষ রাখতে হবে ফ্রোজেন ফুডের গন্ধ, রং ঠিক আছে কি না। ফ্রোজেন খাবার থেকে বাজে গন্ধ এলে আর খাবেন না।


♦ যতটুকু লাগবে ঠিক ততটুকু বা সার্ভিং অনুযায়ী প্যাকেট করবেন ও বের করবেন। যেন বেশি খাবার বের করে নরমাল করে তা আবার ফ্রিজে তুলে রাখতে না হয়।


♦ খাবার ব্লাঞ্চিং (হালাল বা আধাসিদ্ধ) করে ফ্রোজেন করলে কিছু ভিটামিন নষ্ট বা লস হয়ে থাকে। সে ক্ষেত্রে খাবারটি খাওয়ার সময় লেবুর রস যোগ করে ব্যালান্স করে নিন।


♦ ফ্রোজেন করার সময় অতিরিক্ত লবণ ও তেল ব্যবহার করা থেকে বিরত থাকুন। কারণ বেশি সলটেড ও তৈলাক্ত খাবার পরিবারের অসুস্থ ও বয়স্কদের জন্য উপযোগী না-ও হতে পারে।


বাণিজ্যিকভাবে খাবার ফ্রোজেন করার সবচেয়ে ভালো দিক হলো, ফুড প্রসেসিংয়ের সময় কোনো পুষ্টি উপাদান লস হলে তা আবার যোগ করে খাবারটিকে ফরটিফায়েড করা যায়। যেমন ইয়োগার্ড। ফ্রোজেন ইয়োগার্ডে মিনারেল ও প্রবায়োটিক বেশি থাকে। এদিক থেকে বিবেচনা করলে ফ্রোজের ফুড অবশ্যই হেলদি বা স্বাস্থ্যসম্মত। ঠিক তেমনি ফার্মেন্টেড ফুডে স্বাস্থ্যকর ব্যাকটেরিয়া বেশি থাকে। যেমন দুধ। তবে তাজা, টাটকা খাবারের বিকল্প কিন্তু অন্য কিছুই হতে পারে না। ফ্রোজেন ফুড যদি খেতেই হয়, তবে আপনার জন্য উপকারী ও স্বাস্থ্যসম্মত ফ্রোজেন খাবারই বেছে নিন।

কোন মন্তব্য নেই

Blogger দ্বারা পরিচালিত.