কিডনি ভালো রাখতে সঠিক খাদ্যাভ্যাস
ODD বাংলা ডেস্ক: অতিরিক্ত বর্জ্য পানীয় থেকে শরীর মুক্ত রাখতে এবং বিভিন্ন খনিজ পদার্থ, বিশেষ করে পটাসিয়াম, সোডিয়াম, ক্যালসিয়াম, ফসফরাস ইত্যাদির ভারসাম্য বজায় রাখতে নিয়মিত কাজ করে কিডনি। এ ছাড়া প্রোটিনের ভাঙনের ফলে দেহে যে বর্জ্য পদার্থ উৎপন্ন হয় তা বের করে দিয়ে রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে রাখতে সাহায্য করে। কিডনিকে সুস্থ ও কার্যকর রাখতে আমাদের খাদ্যাভ্যাস বেশ বড় ভূমিকা পালন করে।
শাক-সবজি
কিডনি ভালো রাখতে লাউ, ঝিঙা, পটোল, ঢেঁড়স, ধুন্দুল, চিচিঙ্গা, মিষ্টিকুমড়া, অঙ্কুরিত মুগডাল, ক্যাপসিকাম ইত্যাদির বেশ ভূমিকা রয়েছে। এসব খাবারে থাকা প্রচুর পরিমাণ খাদ্য আঁশ, ভিটামিন, অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট এবং পর্যাপ্ত জলীয় উপাদান, যা কিডনি পরিশোধন করে দেহ থেকে দূষিত পদার্থ বের করতে বেশ সাহায্য করে।
আপেল
আপেলে পলিফিনল নামের অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট এবং পর্যাপ্ত পরিমাণে ভিটামিন ‘সি’ রয়েছে, যা কিডনির স্বাভাবিক কার্যক্রম বজায় রাখতে সাহায্য করে। যাদের কিডনিতে পাথরজনিত সমস্যা রয়েছে, তারা নিয়মিত আপেল খেলে সেই পাথর নরম ও ছোট হয়ে শরীর থেকে বের হয়ে যায়।
মাছ
মাছকে বলা হয়ে থাকে নিরাপদ প্রোটিনের উৎস। দৈনিক প্রোটিনের চাহিদা মেটাতে মাংসের চেয়ে মাছের ভূমিকা অনেক বেশি গুরুত্বপূর্ণ।অন্যান্য পুষ্টি উপাদানের পাশাপাশি মাছে রয়েছে ওমেগা ৩, যা কিডনি, হার্ট ও লিভারের বিভিন্ন রোগ প্রতিরোধ করে। এ ছাড়া কোলেস্টেরল কমাতে এর ভূমিকা রয়েছে।
রসুন
এতে রয়েছে এলিসিন নামের অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট, যা মানবদেহের প্রদাহ দূর করে। জারণ প্রক্রিয়ার মাধ্যমে মানবদেহে অতিমাত্রায় বর্জ্য পদার্থ তৈরিতে বাধা দান করে কিডনি সুস্থ রাখতে সাহায্য করে।
পেঁয়াজ
পেঁয়াজে কোরসিটিন নামের অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট রয়েছে, যা কিডনির জন্য ক্ষতিকারক ফ্রি র্যাডিক্যালগুলোকে বাধা দান করে, কিডনি পরিশোধনে সহায়তা করে এবং মূত্রনালির সংক্রমণ রোধ করে।
আদা
কিডনি ভালো রাখতে আদার রয়েছে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা। আদা রক্ত চলাচল বাড়িয়ে কিডনি সচল রাখতে সাহায্য করে। ফলে কিডনির কার্যকারিতা বেড়ে যায়। নিয়মিত আদা-চা পান করলে বা কাঁচা আদা খেলে কিডনি সুস্থ থাকে।
ডিমের সাদা অংশ
অনেকেই ডিমকে খাদ্যতালিকা থেকে বাদ দেয়। কিন্তু ডিমের সাদা অংশই হচ্ছে বিশুদ্ধ প্রোটিন, যা কিডনি ভালো রাখার জন্য খুব প্রয়োজন।
Post a Comment