সরস্বতী পুজোর আগে কুল খেতে নেই কেন, খেলেই বা কী হয়! জেনে নিন
ODD বাংলা ডেস্ক: রাত পোহালেই সরস্বতী পুজো। সারা-বছর ধরে ছাত্র-ছাত্রী, শিক্ষকরা এই দিনটার জন্যই অপেক্ষা করেন। স্কুল-কলেজে সরস্বতী পুজোর প্রস্তুতি একেবারে শেষ পর্যায়ে। তবে সরস্বতী পুজোর আজকের দিনে একটা অন্যরকম মাহাত্ম্য রয়েছে। কারণ আজকের প্রজন্মের কাছে সরস্বতী পুজো হল বাঙালির ভ্যালেন্টাইনস ডে।
তবে সরস্বতী পুজোর আগে কুল খাওয়া নিয়ে কিন্তু একটা বিষয় প্রচলিত রয়েছে। আর তা হল, সরস্বতী পুজোর আগে সচরাচর ছাত্র-ছাত্রীরা কেউ কুল খায় না। অনেকে ভাবে সরস্বতী পুজোর আগে কুল খেলে নাকি পরীক্ষায় নিশ্চিত ফেল! কিন্তু আদৌ কি পরীক্ষায় পাশ-ফেলের সঙ্গে সরস্বতী পুজোর সম্পর্ক রয়েছ?
এই প্রসঙ্গে বলা চলে, সরস্বতী পুজোর আগে কুল না খাওয়ার নিয়মটি কিন্তু এককেবারেই বাংলার একান্ত। পশ্চিমবঙ্গ একটি কৃষিপ্রধান রাজ্য। এখানে কোনও ফসল ফললে তা খাওয়া আগে ঈশ্বরকে উৎসর্গ করার একটা প্রথা রয়েছে। আর সরস্বতী পুজোর মরশুমেই কুল ফলে। আর পুজোর অন্যতম প্রসাদ হিসাবেও ব্যবহার করা হয় কুল। তাই সরস্বতী পুজোর আগে ঠাকুরকে উৎসর্গ না করে কুল খাওয়া অনুচিত বলে মনে করা হয়।
এটি সম্পূর্ণভাবে একটি লোকাচারও বটে। তবে এর পাশাপাশি এর একটা বৈজ্ঞানিক কারণও আছে। শীতের মরশুমে কুল ফললেও বসন্ত পঞ্চমীর সময়ে তা পরিপক্ক হতে শুরু করে। তাই তার আগে কাঁচা কুল খেলে পেটের সমস্যা হতে পারে। তবে গ্রামাঞ্চলে দস্যি ছেলে-পুলে গাছে ঢিল মেরে কুল পাড়ে। তাই বাবা-মায়েরা তাদের পরীক্ষায় ফেল হওয়ার ভয় দেখিয়ে কুল খাওয়া থেকে দূরে রাখে।
Post a Comment