‘প্রতিরক্ষামূলক ব্যক্তিত্ব’ এমন মানুষের সঙ্গে কিভাবে কথা বলবেন?



 ODD বাংলা ডেস্ক: প্রতিরক্ষামূলক আচরণ হলো, হুমকিস্বরূপ পরিস্থিতিতে নিজের এবং অন্যদের বেঁচে থাকা বা শরীরের সুরক্ষার জন্য আচরণগত প্রতিক্রিয়াকে বলা হয়। মনোবিজ্ঞানীরা দীর্ঘদিন ধরে গবেষণা করে স্বীকার করেছেন, আমরা হুমকির মোকাবেলা করি মনস্তাত্ত্বিক প্রতিরক্ষা স্থাপনের মাধ্যেমে। মনস্তাত্ত্বিক প্রতিরক্ষার উদাহরণ হতে পারে, এটা না হলেও ওর থেকে আমি অন্যান্য দক্ষতায় ভালো, নিজের ভালো ফলাফল হলে ভাবে প্রতিভা আছে কিন্ত অন্যদের সাফল্য দেখলে ভাবে তার ভাগ্য ভালো। ভাগ্যের জোরে এমন ভালো ফলাফল হয়েছে। যখন কারো সমালোচনা করা হয় বা ভুল ধরা হয় তখন আত্মরক্ষামূলক আচরণ প্রায় সবাই করে থাকে। কারণ নিজেকে বাঁচানোর এটি একটি কৌশল। 


সুতরাং আপনি যখন কাউকে নেতিবাচক প্রতিক্রিয়া দেখান বা তাদের বিশ্বাসের সমালোচনা করেন তখন হতে পারে, আপনি অনিচ্ছাকৃতভাবে তাদের মনস্তাত্ত্বিক প্রতিরক্ষার হুমকি দিচ্ছেন। তারা কিভাবে ভুল করেছে তা চোখে আঙ্গুল দিয়ে বুঝিয়ে দিচ্ছেন। তখন এখানে সামাজিক আবেগগুলো প্রচণ্ডভাবে প্রভাব ফেলছে। যেমন: লজ্জা, অপরাধবোধ, বিব্রত, প্রত্যাখ্যান বা মর্যাদা হারানোর ভীতিকর চিন্তা। যা খুব অস্বস্তিকর। মানুষ এই অস্বস্তিকর অনুভূতি এবং চিন্তা এড়াতে আত্মরক্ষামূলক আচরণ শুরু করে। অস্বীকার করতে শুরু করে যে তারা ভুল করেছে।


২০২০ সালে অস্ট্রেলিয়া ইউনিভার্সিটি অফ ফ্লিন্ডার্সের মনোবিজ্ঞানীরা গবেষকণা করে বলছেন, মানুষের মধ্যে প্রতিরক্ষামূলক আচরন তীব্র হয় যদি তাদের, সামাজিকভাবে প্রত্যাখ্যান হওয়ার পূর্ব অভিজ্ঞতা থাকে। সামাজিকভাবে প্রত্যাখ্যান হওয়ার কারণে তারা আরো দুর্বল হয়ে যায়। বিপরীতভাবে,  প্রতিরক্ষামূলক আচরন কম তীব্র হয় যদি, মানুষ তাদের নৈতিক মূল্যবোধ প্রকাশ করার সুযোগ আগে পায়। 


তাই আপনি যখন নেতিবাচক প্রতিক্রিয়া দিচ্ছেন তখন অবশ্যই আপনার মনে রাখতে হবে ওই ব্যক্তির আত্মসম্মানে কতটা প্রভাব পড়ছে। তাই তাদের ব্যক্তিত্ব বা চরিত্রের ওপর নয়, কী ভুল করেছে তার ওপর ফোকাস করুন। কিভাবে তাদের ভুল সংশোধন করা যায় বা কিভাবে তারা পরের বার ভালো করতে পারে সেদিকে মনোনিবেশ করে কথা বলুন। এইভাবে বললে হয়ত তারা ভালো ভবে ব্যাপার গুলো গ্রহন করবে।

কোন মন্তব্য নেই

Blogger দ্বারা পরিচালিত.