শীতের সময় এই ভুল করছেন না তো? বাড়ছে স্কিন ক্যান্সার ঝুঁকি, দেখে নিন কী কী



 ODD বাংলা ডেস্ক: বর্তমানে বদলেছে আমাদের খাদ্যাভ্যাস। বদলেছে লাইফস্টাইল। এখন অধিকাংশেরই দিন কাটে কমপিউটারের সামনে বসে। সারাদিন কাজের চাপে শরীরচর্চার সময় নেই। ত্বকের যত্ন নিতে চলছে বিভিন্ন কেমিক্যাল যুক্ত প্রোডাক্টের ব্যবহার। এই সব করতে গিয়ে শরীরে বাসা বাঁধছে একের পর এক রোগ। সমস্যা দেখা দিচ্ছে ত্বকেরও। শরীরে যেমন বাসা বাঁধছে কঠিন রোগ, তেমনই ত্বকে দেখা দিচ্ছে সমস্যা। বিশেষ করে আমাদের ভুলেই আমরা আক্রান্ত হই নানান রোগে।


বিশেষজ্ঞের মতে, ক্যান্সারের মতো মারণ রোগ ক্রমে প্রসার লাভ করছে। ২০২১ সালে ল্যানসেট, একটি বৈজ্ঞানিক জার্নালে প্রকাশিক রিপোর্টে বলা হয়েছে- জলবায়ু পরিবর্তনের কারণে অতিবেগুনী বিকিরণ ত্বকের ক্যান্সার ও মেলানোমার ক্রমবর্ধমান ঘটনার সঙ্গে সম্পর্ক যুক্ত বলে মনে করা হয়। এলসেভিয়ার ও উইমেনস ডার্মাটোলজিকার সোসাইটি ২০২০ সালে একটি গবেষণার রিপোর্চ প্রকাশ করেন। সেখানে বলা হয়, জলবায়ু পরিবর্তনের কারণে অতিবেগুনী বিকিরণ ত্বকের ক্যান্সার বৃদ্ধির সঙ্গে সম্পর্ক যুক্ত। জানা যায়, ম্যালিগন্যান্ট মেলানোমা ও নন মেলানোমা স্কিন ক্যান্সার হল দুটি প্রধান ধরনের ক্যান্সার। ক্রমে বাড়ছে এর প্রসার।


এর প্রধার কারণ হল সূর্য রশ্মি। সূর্যের অতিবেগুনি রশ্মি ত্বকের মারাত্মক ক্ষতি করে। এটি বাড়ায় ক্যান্সারের ঝুঁকি। শীতের সময় অনেকেই সানস্ক্রিন ব্যবহার করেন না। এতে অজান্তে বাড়ে সমস্যা। ত্বকে সূর্য রশ্মি লাগলে তা থেকে ক্ষতি হয়। শীতের সময় অনেকেই সূর্যরশ্মির সংস্পর্শে থাকেন। যা ক্ষতি করছে আপনার। 


তাই শীতের সময় হোক কিংবা সারা বছর সানস্ক্রিন ব্যবহার করুন। ত্বকের অত্যাধিক ইউভি বিকিরণ লাগলে ক্যান্সার হতে পারে। আপনি যদি বাইরে বের হন তাহলে স্কার্ফ ঢেকে বের হন। এবং ত্বকে ৩০ এসপিএফ যুক্ত সানস্ক্রিন বযবহার করুন। ইউভি রে ত্বকের কোষের ক্ষতি করে। ত্বক অতিবেগুনী রশ্মির সংস্পর্শে আসলে মেলানিন তৈরি করে। যা থেকে ত্বকে নানান সমস্যা শুরু হয়। তাই শীতের সময় হোক কিংবা সারা বছর ভুলেও সরাসরি সূর্যরশ্মির সংস্পর্শে আসবেন না।


তেমনই, হঠাৎ করে শরীরের কোনও অংশ বাদামি, কালো বা নীল রঙের দাগ দেখেন, তাহলে উপেক্ষা করবেন না। ত্বকে এমন দাগ স্কিন ক্যান্সারের লক্ষণ। বাদামি, কালো বা নীল রঙের দাগ দেখতে পেলে তৎক্ষণাত ডাক্তারি পরামর্শ নিন। এমন সমস্যা ফেলে রাখবেন না। হতে পারে স্কিন ক্যান্সার। সঠিক সময় চিকিৎসা শুরু হয়ে যে কোনও রোগ থেকে মুক্তি পাওয়া সম্ভব।

কোন মন্তব্য নেই

Blogger দ্বারা পরিচালিত.