ঠোঁট ফাটা এড়াতে করণীয়

 


ODD বাংলা ডেস্ক: ঠোঁট ফাটা এড়াতে করণীয়


শীতে ঠোঁটের যত্ন শুরু করতে হবে ঘুম থেকে উঠার পর। ঘুম থেকে উঠেই হালকা ভেজা কাপড় দিযে ঠোঁট মুছে ফেলতে হবে। এতে ঠোঁটের মরা চামড়াগুলো উঠে আসবে। ঠোঁটের মরা কোষ তোলার জন্য মাঝে মাঝে স্ক্রাবিং করতে পারেন। সে ক্ষেত্রে মধুতে হালকা চিনি নিয়ে ঠোঁটে ঘষতে পারেন। এতে মরা কোষগুলো উঠে যায়। মধু সব সময়ই ঠোঁট পরিচর্চায় জন্য ভালো। মধু আর গ্লিসারিন একসঙ্গে মিশিযে ঠোঁটে লাগাতে পারেন। ঠোঁট নরম ও কোমল রাখার জন্য গোলাপজল খুব ভালো । গোলাপজলের সঙ্গে গ্লিসারিন মিশিয়ে ঠোঁটে লাগান। অলিভ অয়েলও ঠোঁটের জন্য অনেক উপকারী। শীতে অনেকের ঠোট কালচে হয়ে যায়। ঠোঁটের কালচে ভাব দূর করতে ও গোলাপি ভাব ফিরে পেতে ঠোঁটে ঘি লাগাতে পারেন। এতে ঠোঁট অনেক নরম হয়।


শুধু ওপর দিয়ে পরিচর্যা করলেই হবে না। ভেতর থেকে ঠোঁটের সুস্থতার জন্য প্রচুর জল পান করতে হবে। কারণ শীতে শরীরে এমনিতেই জলের ঘাটতি দেখা দেয়। এতে ঠোঁটের ওপরও প্রভাব ফেলে। প্রতিদিন ৮-১০ গ্লাস জল পান করলে শরীর আর্দ্র থাকে। ত্বকের জন্য ভিটামিন ‘সি’সমৃদ্ধ ফল খেতে হবে। সেই সঙ্গে প্রচুর শীতকালীন সবজি আর বাদাম জাতীয় খাবার ঠোঁটসহ ত্বকের জন্যও ভালো। ঠোঁটের জন্য উপকারী কিছু ঘরোয়া জিনিস ব্যবহার করতে পারেন। দুধ, দুধের সর বেটে ঠোঁটে লাগাতে পারেন। এতে ঠোঁট ফাটবে না, আর কোমলও থাকে। রাতে ঘুমাতে যাওয়ার আগে আমল্ড তেল ঠোঁটে মাখতে হবে। এতে ঠোঁট নরম থাকবে। নারকেল তেলও ব্যবহার করতে পারেন।


ঠোঁটের পরিচর্যার ভুল


শুষ্ক ঠোঁট আর্দ্র করতে জিহ্বা দিয়ে বারবার ঠোঁট ভিজিয়ে ফেলা অনেকের প্রাত্যহিক অভ্যাস। শীতে এই প্রবণতা আরো বাড়ে। এতে উপকারের চেয়ে অপকারটাই বেশি—ঠোঁট আরো শুষ্ক হয়ে পড়ে। অনেকে ঠোঁটের চামড়া হাত দিয়ে টেনে তোলেন। এতে ঠোঁট ফাটা বাড়ে, ঠোঁটে ক্ষত তৈরি হয়। দাঁত দিয়ে ঠোঁট কামড়ানোর অভ্যাসও ঠোঁটের জন্য ক্ষতিকর। শীতে ঠোঁটে ম্যাট লিপস্টিক লাগানো যাবে না।ঠোঁট আরো শুষ্ক হবে। গ্লসি লিপস্টিক লাগাতে হবে।

কোন মন্তব্য নেই

Blogger দ্বারা পরিচালিত.