সমবয়সী প্রেমই বেশি টিকে



ODD বাংলা ডেস্ক: সমাজে কান পাতলেই শোনা যায়, সমবয়সীদের মধ্যকার প্রেমের সম্পর্ক না-কি বেশিদিন টিকে না! তবে বর্তমান সমীক্ষা বলছে ভিন্ন কথা। সমবয়সী যুগলদের মধ্যেই না-কি প্রেমের সম্পর্ক দীর্ঘস্থায়ী হয়। অন্যদিকে তাদের প্রেমের জীবনও হয় সুখের।

সমবয়সী দম্পতিদের সাংসারিক জীবন মধুর হওয়ার নেপথ্যে রয়েছে বেশ কয়েকটি কারণ। যদিও এই মতকে আবার অনেকেই নাকচ করেছেন। তাদের মতে সমবয়সী সম্পর্কের বেশিরভাগ ক্ষেত্রে অশান্তি লেগেই থাকে। পাশাপাশি রয়েছে অর্থনৈতিক সমস্যা। তবে যারা নিজেদের ক্যারিয়ার, পড়াশোনাকে ফোকাস করে সম্পর্ক টিকিয়ে রাখে। তারা পরবর্তীকালে সফল হলে সেই সংসারিক জীবনে সুখের হয়। কর্মজগতে সফলতার আগেই যদি বিবাহ করে, সেক্ষেত্রে আর্থিক সমস্যা থাকার সম্ভাবনা রয়েছে। আর্থিক সমস্যা মানেই সাংসারিক সমস্যা বৃদ্ধি।


সমবয়সী সম্পর্ক কেন বেশিদিন টিকে তার কারণগুলো একটু জেনে নিন-


সমবয়সী দম্পতি একটু অ্যাডভেঞ্চার প্রিয় হন। তাদের মধ্যে প্রেম এবং বন্ধুত্বের কোনো কমতি থাকে না। তারা ঘুরতে বা কোনো ঝুঁকি নিতে পছন্দ করেন। উপরন্তু ইচ্ছে করলেই দুঃসাহসিক অভিযান সেরে ফেলেন।

সমবয়সী সম্পর্কে সন্দেহ প্রবণতা কিছুটা কম। একে অপরের হাত ধরে অনায়াসে কঠিন সমস্যার সমাধান করে ফেলেন। স্বপ্ন দেখেন সুন্দর সংসার করার। ঝগড়া, বিবাদ, ঝামেলা তুলনামূলক ভাবে একটু কম হয়। একদিকে চলে মান অভিমান, অপরদিকে নতুন করে স্বপ্ন দেখা।

দম্পতি মধ্যে বিস্তার বয়সের পার্থক্য থাকলে, যার বয়স বেশি তিনি বিপরীত থাকা ব্যক্তির সিদ্ধান্তকে গুরুত্ব নাও দিতে পারেন। কিন্তু সমবয়সী দম্পতিদের ক্ষেত্রে একে অপরের প্রতি শ্রদ্ধা, প্রেম, ভালবাসা, সম্মান সবই সমান।

কোন সমস্যায় পড়লে সমবয়সী সঙ্গীরা একসঙ্গে তার মোকাবিলা করার চেষ্টা করেন। তাদের চিন্তা ভাবনা অনেকটা এক। নিজেদের আড্ডা দেওয়া, পছন্দের খাবার বানানো, সিনেমা দেখা, পছন্দ-অপছন্দগুলো যখনই মিলে যায় তখনই জীবন সুখের হয় ওঠে।

সঙ্গীর সঙ্গে একটু কথা কাটাকাটি স্বাভাবিক ব্যাপার। সব সংসারেই কম বেশি এমনটা হয়। তবে সমবয়সী দম্পতির ক্ষেত্রে ঝগড়া হলে খুব দ্রুত মিল হয়ে যায়। যেহেতু দুজনের বয়সের ফারাক অনেকটা কম, তাই একে অপরকে ভালো বোঝেন। আসলে কোন সম্পর্কের বোঝাপড়াটাই আসল কথা।

কোন মন্তব্য নেই

Blogger দ্বারা পরিচালিত.