শরীরে এমন চিহ্নই সৌভাগ্যবতী মেয়েদের লক্ষণ, স্বামীর জীবনের সব সমস্যা মুছে দেন এঁরা

 


ODD বাংলা ডেস্ক: বিয়ের সময় ছেলে ও মেয়ের কোষ্ঠী বিচার করা হয়ে থাকে। এর মাধ্যমে দেখা হয় যে সেই মেয়ে ও ছেলে পরস্পরের জন্য ভাগ্যবান ও উপযুক্ত কি না। কিন্তু আপনারা কী জানেন কোষ্ঠী বিচার করা ছাড়াও আর একটি উপায়ে জানা যায় যে কোনও মেয়ে কতটা ভাগ্যবান, তাঁদের দৌলতে পরবর্তীকালে স্বামীর জীবনে সুখ-সমৃদ্ধি আসবে কি না? ভবিষ্য পুরাণ অনুযায়ী মেয়েদের শরীরে উপস্থিত তিল, তাঁদের শরীরের গঠন ইত্যাদি বিশেষ বিশেষ চিহ্নের মাধ্যমে তাঁদের ভাগ্যশালী হওয়া বা না-হওয়ার বিষয়টি জানা যেতে পারে। এখানে মেয়েদের শরীরে উপস্থিত এমনই কিছু চিহ্ন সম্পর্কে জানানো হল, যা দেখে বোঝা যেতে পারে যে সেই মেয়েটি কতটা ভাগ্যবান।


​যে মেয়েদের পা এমন


ভবিষ্য পুরাণ অনুযায়ী যে মেয়েদর পা লাল, কোমল ও পা ফেললে মেঝের সমতলে পড়ে তাঁদের সৌভাগ্যবতী মনে করা হয়। পায়ের আঙুল পরস্পরের সঙ্গে লেগে থাকলে, সোজা, গোল, মোলায়েম ও ছোট নখ হলে সেই মেয়েরা সুখ ও ঐশ্বর্য প্রদানকারী হয়। এমন স্ত্রী স্বামী ও শ্বশুরবাড়ির জন্য সৌভাগ্যবান হন। যে পুরুষের সঙ্গে এই বৈশিষ্ট্য সম্পন্ন মেয়েদের বিয়ে হয়, তাঁদের ভাগ্য বিয়ের পর উন্নতির শিখরে পৌঁছয়।


​তিলের অবস্থান


এই পুরাণ অনুযায়ী যে মেয়েদের শরীরের বাঁ অংশে বেশি তিল থাকে, তাঁরা স্বামী ও শ্বশুরবাড়ির সদস্যদের জন্য ভাগ্যবতী হন। এমন মেয়েদের ওপর সবসময় লক্ষ্মীর আশীর্বাদ থাকে। এই বৈশিষ্ট্যের মেয়েরা নিজের পরিবারকে সঙ্গে নিয়ে এগিয়ে যেতে ভালোবাসেন। যে ঘরে এঁদের বিয়ে হয়, সেখানকার সদস্যরা দিন প্রতিদিন উন্নতি করতে থাকেন। ঘর ও পরিবারের সদস্যদের সুখ বৃদ্ধি করেন এই মেয়েরা।


​হাতের আঙুল


ভবিষ্য পুরাণ অনুযায়ী যে স্ত্রীর হাতের আঙুল গোল, লম্বা, পাতলা, কোমল, লাল রঙের ও চার আঙুল পরস্পরের সঙ্গে লাগিয়ে রাখলে মাঝখানে কোনও ছিদ্র সৃষ্টি হয় না, তাঁরা সমস্ত ধরনের সুখ-সাধন লাভ করতে পারে। পাশাপাশি এই মেয়েরা সমাজে জনপ্রিয় হয়ে থাকেন। সকলে এঁর প্রশংসা করেন। স্বামী ও শ্বশুরবাড়ির জন্য ভাগ্যবতী হন এঁরা।


​ঘাড়ের দৈর্ঘ্য


যে মেয়েদের ঘাড় লম্বা, তাঁদের কাছে কখনও অর্থাভাব হয় না। আবার যে মেয়েদের ঘাড়ে চার আঙুলের মাপে তিনটি স্পষ্ট রেখা থাকে, তাঁদের কাছে অনেক গহনা থাকে। স্বামীর জন্য ভাগ্যবান হন এই মেয়েরা। নিজের স্বভাবের কারণে শ্বশুরবাড়ির সদস্যদের মন জয় করে নিতে পারেন এই মেয়েরা। পরিস্থিতি যেমনই হোক না-কেন, এঁরা সবসময় নিজের স্বামীর পাশে থাকেন।


​চোখ ও মাথা এমন হলে


আবার সমুদ্র শাস্ত্র অনুযায়ী যে মহিলাদের চোখ বড় তাঁরা অত্যন্ত দয়ালু প্রবৃত্তির হন। তাঁদের মধ্যে দান ও পরোপকারের অনুভূতি থাকে। তাঁরা পরিবারের প্রতিটি সদস্যদের ভালো ভাবে যত্ন নিতে পারেন। আবার যে পরিবারে এই মেয়েদের বিয়ে হয় সেখানে কোনও অর্থাভাব থাকে না। অন্য দিকে যে মেয়েদের মাথা চওড়া তাঁরা খুব সহজে জীবনের প্রতিটি সমস্যার সমাধান করতে পারে। এঁরা সমস্ত দিক থেকে নিজের পরিবারের রক্ষা করে। চওড়া মাথাযুক্ত স্ত্রীরা অত্যন্ত বুদ্ধিমতী বন। সমস্ত কাজে সাফল্য লাভ করেন এঁরা।

কোন মন্তব্য নেই

Blogger দ্বারা পরিচালিত.