পুরুষ না নারী কার ঘুম বেশি?



 ODD বাংলা ডেস্ক: প্রতিটি মানুষের কাছে ঘুম, খাদ্য ও জল অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ উপাদান, কোনো একটি সামান্যতম ঘাটতি জীবনে বড়সড় পরিবর্তন নিয়ে আসতে পারে। বেশ কিছু মানুষের ঘুম হয়না প্রতিশ্রম ও প্রতিজ্ঞার জন্য আর বেশ কিছু মানুষের স্বাস্থ্য ও জীবনশৈলীর জন্য।  

ইস্ট অ্যাঙ্গলিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের একটি গবেষণায় রীতিমত সবার চোখ কপালে উঠতে চলেছে কেননা সমীক্ষায় দাবি করা হয়েছে একটি নির্দিষ্ট বয়সে কমতে থাকে মানুষের ঘুম ৷ 


কোন বয়সে ঠিক কতখানি ঘুমানো উচিৎ? এই বিষয়েই সাম্প্রতিক সময়ে গবেষণা করা হয়েছে ৷ আসলে কোনো বয়সে সব থেকে কম ঘুম আসে? 


৬৩ দেশের মোট আট লাখেরও বেশি মানুষের উপরে সমীক্ষা করে জানতে পারা গিয়েছে ৷ ইউসিএলে প্রকাশিত একটি রিপোর্টে জানতে পারা গিয়েছে ৷ 


৩৩ বছর বয়সের পর থেকে মানুষের ঘুম কমে যায় আর ৫৩ বছর বয়সের পর থেকে ঘুম বেড়ে যায় ৷ এই ক্ষেত্রে বলাই যেতে পারে যে ৩৩ থেকে ৫৩ বছরের মধ্যে সব থেকে কম সময় মানুষ ঘুমান ৷ 


নেচার কমিউকেশনে প্রকাশিত একটি স্টাডিতে জানতে পারা গিয়েছে আর্লি অ্যাডাল্ট বা লেট অ্যাডাল্ট হুডের তুলনায় মিড অ্যাডাল্ট হুডে মানুষ ঘুমান কম ৷ 


কেননা কম বয়সে মানুষ বেশি পরিমাণে কাজ করেন তাই ঘুমানও কমই ৷ রিপোর্টে জানতে পারা গিয়েছে ৩৩ থেকে ৫৩ বছর বয়সী নারীরা কর্মক্ষেত্রে ও সংসার, শিশুর জন্য অন্যদের তুলনায় কম সময় ধরে ঘুমান ৷ 


পুরুষেরা ৭ ঘণ্টা ঘুমালে নারীরা ঘুমায় ৭.৫ ঘণ্টা ৷ ১৯ বছর বয়সে মানুষ সব থেকে বেশি ঘুমান ও ৩০ বছর বয়সে কম ঘুমান ৷ 


এরপরে ৫৩ বছরের পরে ফের মানুষের ঘুম বাড়তে থাকে ৷ ব্রিটেনের মানুষেরা সব থেকে কম সময় ঘুমান ৷ এছাড়াও পূর্ব ইউরোপের মানুষেরা দক্ষিণ এশিয়ার মানুষদের থেকে দৈনিক প্রায় ১ ঘণ্টা বেশি ঘুমান ৷ 

কোন মন্তব্য নেই

Blogger দ্বারা পরিচালিত.