হাড় সুস্থ রাখতে যা করতে হবে

 


ODD বাংলা ডেস্ক: হাড় ক্ষয় হলো এমন একটা রোগ, যাতে হাড়ের ক্যালসিয়ামের ঘনত্ব বা পরিমাণ কমে স্বাভাবিক গঠন নষ্ট হয় এবং হাড় ভঙ্গুর হয়। এক পর্যায়ে কোমরের হাড়, মেরুদণ্ড ও হাতের কবজির হাড় ভেঙে যাওয়ার আশঙ্কা বেড়ে যায়।


হাড় ক্ষয়কে ‘অস্টিওপোরোসিস’ বলে। এর আগের পর্যায় হলো ‘অস্টিওপেনিয়া’। অস্টিওপেনিয়ার সময়ই হাড়কে দুর্বল করে ফেলে এবং হাড় ভাঙার ঝুঁকি বাড়িয়ে দেয়। তেমন কোনো উপসর্গ ছাড়াই নীরবে এই রোগ শরীরে বাসা বাঁধতে থাকে। বোন ফ্র্যাকচারের আগে বা হাড় ভেঙে যাওয়ার আগে এই রোগের তেমন একটা লক্ষণ প্রকাশ পায় না।


কারণ


♦ হাড় ক্ষয়ের পেছনে নানা ধরনের কারণ রয়েছে। এর মধ্যে অন্যতম হলো—


♦ পর্যাপ্ত ক্যালসিয়াম, ভিটামিনের অভাব।


♦ বংশে হাড়ক্ষয়জনিত রোগের ইতিহাস থাকা।


♦ কম বয়সে মেনোপজ।


♦ হাড়ের ঘনত্ব কম থাকা।


♦ রিউমাটয়েড আর্থ্রাইটিস, হাইপারথাইরয়েডিজম বা ক্রনিক লিভার ডিজিজে আক্রান্ত হওয়া।


♦ কিছু ওষুধের পার্শ্বপ্রতিক্রিয়ায় হাড় ক্ষয় হতে পারে।


♦ কায়িক শ্রম না করা হাড় গঠনের ক্ষেত্রে বড় সমস্যা।


লক্ষণ


হাড় ক্ষয় একটি নীরব ঘাতক। তেমন কোনো উপসর্গ ছাড়াই মানুষ এই রোগে আক্রান্ত হয়। এর পরও কিছু লক্ষণ হলো, পিঠের পেছন দিকের অস্থিতে ব্যথা অনুভব হওয়া, হিপ, কোমর ও মেরুদণ্ডে ক্ষয় দেখা দেওয়া, উচ্চতা কিছুটা কমে যাওয়া, হাঁটা বা দাঁড়ানোর সময় ঝুঁকে থাকা, হঠাৎ পড়ে গেলে হাড় ভেঙে যাওয়া ইত্যাদি।


প্রতিরোধে করণীয়


সঠিক খাদ্যাভ্যাস : 


হাড় ক্ষয়ের রোগীদের দুধ, দই, পনির, সয়াবিন, বাদাম, ঋতুকালীন সবুজ শাকসবজি, লেটুস, ব্রকোলি, মাশরুমজাতীয় খাবার, মাছ খাওয়া উচিত।


ক্যালসিয়াম : 


দৈনিক ক্যালসিয়ামের চাহিদা বিভিন্ন বয়সে বিভিন্ন রকম থাকে। গড়ে তিন বছর বয়স পর্যন্ত প্রতিদিন ৫০০ মিলিগ্রাম, চার থেকে আট বছর পর্যন্ত ৮০০ মিলিগ্রাম, ৯ থেকে ১৮ বছর বয়সে এক হাজার ৩০০ মিলিগ্রাম, ১৯ থেকে ৫০ বছরে এক হাজার মিলিগ্রাম এবং ৫১ বছর বা তদূর্ধ্বে এক হাজার ২০০ মিলিগ্রাম ক্যালসিয়াম খাবার থেকে গ্রহণ করা উচিত। দুধ ছাড়াও বাদাম, শাকসবজি, ছোট মাছে প্রচুর ক্যালসিয়াম রয়েছে।


প্রোটিন : 


কাঁটাসহ সার্ডিন মাছ, অ্যালমন্ড, ফুলকপি, বাঁধাকপি ইত্যাদি খাবার গ্রহণ করেত হবে।


ভিটামিন ‘ডি’ : 


ক্যালসিয়াম শোষণ, শক্তিশালী হাড় ও দাঁত গঠনে সাহায্য করে এই ভিটামিন ‘ডি’। তাই প্রতিদিন ২৫ থেকে ৩০ মিনিট রোদে থাকা। প্রয়োজনে চিকিৎসকের পরামর্শে ভিটামিন ‘ডি’ সাপ্লিমেন্ট গ্রহণ করা উচিত। এ ছাড়া চর্বিযুক্ত টুনা, স্যামন মাছ, ডিমের কুসুম ইত্যাদি খাওয়া উচিত।


সঠিক ব্যায়াম : 


হাঁটাচলা ও ব্যায়ামের মাধ্যমেও সুস্থ হাড় গঠন করা সম্ভব। এ জন্য সাইকেল চালানো, সাঁতার কাটা, সম্ভব হলে জিমে যাওয়া উচিত।


কোন মন্তব্য নেই

Blogger দ্বারা পরিচালিত.