বেঙ্গালুরুর সি টানেল অ্যাকুরিয়ামে বিস্ময়কর অভিজ্ঞতা

 


ODD বাংলা ডেস্ক: বেঙ্গালুরুর সি টানেল অ্যাকোরিয়াম। যা দর্শকদের মন কেড়ে নিয়েছে। এখানে রয়েছে জলের নিচে একটি বিশেষ জগৎ। অ্যাডভেঞ্চারের নতুন ঠিকানা হিসেবে পরিচিত বেঙ্গালুরুর সি টানেল অ্যাকোরিয়াম। 

ন্যাশানাল ফ্যামেলি ফেয়ার বানে একটি উৎসব চলতে চির বসন্তের শহরে। তারই মূল আকর্ষণ হলো এই সি টানেল অ্যাকোরিয়াম। এখানে এসে দর্শকরা জলের নিচে অদ্ভুদ জগতের অনুভূতি পাচ্ছেন।


কেনগেরি ও জেপি নগর দুটি স্পটে অবস্থিত এই সি টানেল অ্যাকোরিয়াম। দর্শকরা মেলায় প্রবেশের সঙ্গে সঙ্গে ৪০০ টিরও বেশি প্রজাতিন মাছ ও জলজ জীব এখানে দেখতে পাচ্ছেন। 


ন্যাশানাল কনজিউমার ফেরায় এই শহরের জনপ্রিয় ফানওয়ার্ল্ড নামের একটি বিনোদন পার্কেরও মালিক। বেঙ্গালুরুর সি টানেল অ্যাকোরিয়ামের প্রধান বৈশিষ্ট্য হলো এই টানেলের মধ্যে দিয়ে যে কোনো দর্শকই হেঁটে যেতে পারবেন। একই সঙ্গে ৩৬০ ডিগ্রি ভিউতে তারা সমুদ্রের জলজ জীবগুলো দেখতে পাবেন। এখানে দাঁড়াতে দেখা যাবে বিভিন্ন প্রজাতি আর রঙের মাছ তাদের চারপাশ দিয়ে সাঁতার কাটছে। দর্শকা জানিয়েছেন এটি একটি বিস্ময়কর অভিজ্ঞতা।


অ্যাকোরিয়ামটি তৈরি করতে সময় লেগেছে প্রায় আট মাস। এর মধ্যে ৫০০টিরও বেশি প্রাণী রয়েছে। দেশী প্রজাতির মাছের পাশাপাশি বিদেশি মাছও রয়েছে। যার মধ্যে দর্শকদের আকর্ষণ কেড়েছে অ্যাঞ্জেলফিশ, ক্লাউন ফিশ, সি হর্স, রেসেস , বক্সফিশ। এই অ্যাকোরিয়ামে মিঠে জলের পাশাপাশি সুমুদ্রিক নোনা জলও ব্যবস্থা করা হয়েছে। 



অ্যাকোরিয়ামে ২৪টি চেম্বার রয়েছে। অ্যাকোরিয়ামটি এমনভাবে ডিজাইন করা হয়েছে, যাতে ১৩টি ছোট ছোট গুহা রয়েছে। দুইটি বড় গুহায় নোনা জলের মাছ রাখা হয়েছে। বাকিগুলো মিষ্টি জলের মাছ। যা দর্শকদের কাছে খুবই উপভোগ্য। বাস্তুবিদ্যার পরিপ্রেক্ষিতে প্রতিটি প্রাণীর নিজস্ব বিশেষ প্রয়োজনীয়তা রয়েছে, তাই তাদের বিশেষ ট্যাঙ্কে রাখা হয়েছে যা তাপমাত্রা এবং লবণাক্ততা বজায় রাখার জন্য ডিজাইন করা হয়েছে।


ন্যাশনাল ফ্যামিলি ফেয়ারের অভ্যন্তরে আরেকটি দর্শনীয় আকর্ষণ হলো অ্যানিমেল কিংডম প্রদর্শনী যেখানে বিলুপ্তপ্রায় ম্যামথ এবং ডাইনোসর থেকে শুরু করে দৈত্যাকার গরিলা পর্যন্ত প্রাণীর প্রতিলিপি রয়েছে।

কোন মন্তব্য নেই

Blogger দ্বারা পরিচালিত.