বাদামি ও সাদা ডিম, কোনটি পুষ্টিকর



 ODD বাংলা ডেস্ক: ডিমের রঙের ক্ষেত্রে অনেকের পছন্দ থাকে। কিছু মানুষ বিশ্বাস করে, বাদামী ডিম স্বাস্থ্যকর বা বেশি প্রাকৃতিক। অবার কেউ কেউ মনে করে সাদা ডিম বেশি ভালো।কিন্তু বাদামি এবং সাদা ডিমের মধ্যে পার্থক্য কী শুধু খোসা? নাকি আরো কিছু আছে? চলুন জেনে নিই।


কেন ভিন্ন হয় রং,


মুরগির ডিম ভিন্ন  রঙের হতে পারে। বাজারে আমরা মুরগির বাদামি আর সাদা ডিমটাই বেশি দেখি। অনেকেই জানে না কেন ডিমের দুটি রং হয়? উত্তরটা আসলে সহজ। ডিমের রং আসলে মুরগির জাতের ওপর নির্ভর করে। যেমন দেশি মুরগির ডিম হয় সাদা আর ফার্মের মুরগির রং হয় বাদামি। আবার কিছু কিছু বিদেশি জাত আছে যাদের রং হয় হালকা সবুজ বা নীল। আসলে মুরগির ডিমের খোসার রং নির্ভর করে, মুরগি কি পরিমারণ পিগমেন্ট উৎপন্ন করে। ডিমের খোসায় প্রোটোপোরফাইরিন ৯-এর উপস্থিতির করণে রং হয় বাদামি। একই জাতের মুরগির ডিমের খোসার রঙের ভিন্নতা থাকতে পারে। কিন্তু যদি জেনেটিক্স ডিমের রং নির্ধারণের প্রধান কারণ তাহলে অন্যান্য কারণগুলোও এটিকে প্রভাবিত করতে পারে। উদাহরণস্বরূপ যেসব মুরগি বাদামি রঙের ডিম পাড়ে, বয়স বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে বড় এবং হালকা রঙের ডিমও পাড়ে। এছাড়া পরিবেশ এবং খাদ্যও প্রভাব ফেলতে পারে রং এর ওপরে।


কোনটি ভালো 


যারা বাদামী ডিম পছন্দ করে তারা মনে করে বাদামী ডিম সাদা ডিমের চেয়ে স্বাস্থ্যকর এবং বেশি প্রাকৃতিক। যাইহোক সত্যিটা হলো, সমস্ত ডিম তাদের আকার, জাত বা রঙ নির্বিশেষে একই পুষ্টির দিক থেকে। অর্থাৎ বাদামি এবং সাদা ডিম উভয়ই স্বাস্থ্যকর। একটি সাধারণ ডিমে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন, খনিজ পদার্থ এবং উচ্চ মানের প্রোটিন থাকে। বিজ্ঞানীরা কয়েকটি গবেষণা করে দেখেছে, সাদা এবং বাদামি ডিমের মধ্যে কোনো পার্থক্য আছে কিনা? তাতে দেখা গেছে ডিমের রঙের সঙ্গে পুষ্টির তেমন পার্থক্য নেই। পার্থক্য শুধু একটাই, সেটা পিগমেন্ট। যার কারণে ডিমের খোসার রং ভিন্ন হয়।


অন্যান্য কিছু কারণ ডিমের পুষ্টি উপাদানকে প্রভাবিত করতে পারে। যেমন মুরগির বড় হওয়ার পরিবেশ একটি বড় প্রভাব ফেলতে পারে অর্থাৎ দেশি ও ফার্মের মুরগির ডিমে পার্থক্য থাকতে পারে। যে মুরগি সূর্যের আলোতে ঘুরে বেড়ায় সেইসব মুরগির ডিমে ভিটামিন ডি বেশি পাবেন। অন্যান্য মুরগির ডিমের চেয়ে ৩-৪ গুণ বেশি। আবার মুরগি যে ধরনের খাবার খায় তা ডিমের পুষ্টি উপাদানকেও প্রভাবিত করতে পারে।


মুরগিকে ওমেগা-৩ ফ্যাটি অ্যাসিড সমৃদ্ধ খাবার খাওয়ালে, ডিমে স্বাভাবিকের চেয়ে অনেক বেশি মাত্রায় ওমেগা-৩ ফ্যাটি অ্যাসিড থাকবে। মুরগি যখন ভিটামিন-ডি সমৃদ্ধ ফিড খায় তখন ভিটামিন ডি একটু বেশি থাকে।

কোন মন্তব্য নেই

Blogger দ্বারা পরিচালিত.