ভালোবাসার টানে লিঙ্গ বদলেও ফিরল না ভাগ্য, অন্য পুরুষে আসক্ত প্রেমিকা

 


ODD বাংলা ডেস্ক: প্রেমিকার জন্য লিঙ্গ পরিবর্তন করে ছেলে হয়েছিলেন, ঘর বেঁধেছিলেন কিন্তু সেই প্রেমিকাই অন্য পুরুষের সঙ্গে সম্পর্কে জড়িয়েছে। তাকে ছেড়ে চলে গেছে। শুধু কি তাই? পরিবারের সঙ্গে মিলে ধর্ষণ ও অপহরণের মতো অভিযোগ এনেছে। এর বিরুদ্ধে সরব হলেন সালমান (ছদ্মনাম) এক ব্যক্তি।

এই সালমান আগে ছিলেন সালমা। নারী কর্মী হিসেবে সরকারি চাকরি করতেন তিনি। ভারতের উত্তরপ্রদেশের ঝাঁসির এক বাড়িতে পেয়িং গেস্ট হয়ে যান সালমা। সেখানে পরিচয় হয় প্রেমিকা সোনিয়ার (ছদ্মনাম) সঙ্গে। অল্প সময়ের মধ্যেই দুইজনের মধ্যে বন্ধুত্ব হয়ে যায়। বন্ধুত্ব আবার ভালোবাসায় পরিণত হয়। বিষয়টি সোনিয়ার পরিবার জানতে পেরে যায়। তা নিয়ে বিস্তর অশান্তি হয়। সোনিয়ার পরিবার সানাকে ঘর ছেড়ে দিতে বলে।


সরকারি চাকরির সুবাদে ২০১৬ সালে সরকারি কোয়ার্টার পেয়ে যান সালমা। সেখানে চলে যান তিনি। সালমা চলে যাওয়ার পর সোনিয়াও ভালো ছিল না। অল্প সময়ের মধ্যেই সালমার সঙ্গে সোনিয়া থাকতে শুরু করেন। প্রেমিকার কথাতেই লিঙ্গ পরিবর্তন করান সালমা। দিল্লি স্যার গঙ্গারাম হাসপাতালে গিয়ে আগে শারীরিক পরীক্ষা করান। চিকিৎসক যখন তাকে লিঙ্গ পরিবর্তন অনুমতি দেন তারপরই অস্ত্রোপচার করান সালমা। ২০২০ সালের ২২ জুন সালমার পরিবর্তে সালমান খান হয়ে যান তিনি।


সালমানের দাবি, সেই সময় সোনিয়া নিজেকে তার স্ত্রী হিসেবে সই করে তাকে হাসপাতাল থেকে ছাড়িয়েছিলেন। কিছুদিন পর সোনিয়া এক হাসপাতালে চাকরি পেয়ে যান। সুলেমান দাবি, চাকরি পাওয়ার কিছুদিন পর থেকেই সোনিয়ার ব্যবহার পালটে যেতে থাকে। এক রাতে তিনি সোনিয়াকে পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে কথা বলতে বলতে কাঁদতে দেখেন। তারপরই জানতে পারেন, হাসাপাতালেরই  এক সহকর্মীর সঙ্গে সম্পর্কে জড়িয়েছেন সোনিয়া। এ বিষয়ে প্রশ্ন করা হলে সোনিয়া সালমানকে ছেড়ে আবার নিজের বাড়িতে গিয়ে ওঠেন। তারপরই সোনিয়া ও তার পরিবার সুলেমানের বিরুদ্ধে ধর্ষণ ও খুনের অভিযোগ দায়ের করেন। এর বিরুদ্ধে সুলেমানও পালটা মামলা দায়ের করেছেন। তার ভিত্তিতেই এবার পুলিশ সোনিয়াকে সমন পাঠিয়েছে বলে জানা গিয়েছে।

কোন মন্তব্য নেই

Blogger দ্বারা পরিচালিত.