দেখে নিন শ্বেতী থেকে মুক্তির কিছু ঘরোয়া উপায়

 


ODD বাংলা ডেস্ক: শ্বেতী রোগ সাধারণত শরীরের কোনো বিশেষ স্থানের ত্বকের রং উৎপাদনকারী কোষ বা মেলানোসাইট রোগাক্রান্ত হলে বা সংখ্যায় কমে গেলে অথবা মরে গেলে মেলানিন নামক ত্বকের রঞ্জক (রং) তৈরি বন্ধ হয়ে যায় এবং ওই নির্দিষ্ট স্থানে সাদা দাগ পড়ে। শ্বেতী কোনো ছোঁয়াচে রোগ নয় বা প্রানঘাতি নয়। বিজ্ঞানীরা এই রোগের কারণ এখনও জানতে পারেননি। শ্বেতী বা ভিটিলিগো রোগ সম্পর্কে আমরা কম-বেশি সকলেই পরিচিত। ত্বকের এই সমস্যায় অনেকেই ভোগেন। শ্বেতী বা ত্বকের সাদা ধবধবে দাগ এক ধরনের অটো ইমিউন ডিজিজ। শ্বেতী মূলত মেলানিনের ক্রিয়াকলাপে বাধা সৃষ্টি হলে বা ভারসাম্য নষ্ট হলে দেখা দেয়। গবেষণায় দেখা গেছে, প্রতি ১০০ জন শ্বেতী রোগীর মধ্যে ৩০ জনের ক্ষেত্রেই শ্বেতী বংশগত ধারায় হয়ে থাকে। পিতা-মাতার কারুর না কারুর থেকে জিনের প্রভাবে। তবে শ্বেতী কিন্তু ছোঁয়াচে বা প্রাণঘাতী রোগ নয়।


তাহলে আসুন দেখে নেওয়া যাক, শ্বেতী কেন হয় এবং এর থেকে মুক্তির ঘরোয়া উপায় সম্পর্কে।


শ্বেতী কেন হয়?

ত্বকের একটি অদ্ভুত রোগ হল শ্বেতী। ত্বকের মধ্যে উপস্থিত মেলানোসাইট কোষে থাকা মেলানিন, প্রধানত ত্বকের স্বাভাবিক বর্ণের ভারসাম্য রক্ষা করে। এই মেলানিনই ফর্সা বা কালো রঙের কারণ। এই মেলানিনের ভারসাম্য নষ্ট হলে অথবা এর কার্যকলাপে বাধা সৃষ্টি হলে, শ্বেতীর সমস্যা দেখা দেয়। তবে অনেকের ক্ষেত্রে এই শ্বেতীর সমস্যা বংশগত কারণেও হয়ে থাকে।


শ্বেতীর সমস্যা দূর করার ঘরোয়া উপায়

১) পেঁপে

পেঁপে অত্যন্ত স্বাস্থ্যকর সুস্বাদু ফল। শ্বেতীর সমস্যা দূর করতে, পেঁপে দুর্দান্ত কার্যকর। শ্বেতী দ্বারা প্রভাবিত ত্বকে পেঁপের টুকরো ঘষুন। শুকিয়ে গেলে ধুয়ে ফেলুন। শ্বেতীর কারণে হারিয়ে যাওয়া মেলানিন কোষগুলিকে পুনর্নির্মাণ করতে নিয়মিত পেঁপের জুস পান করুন।


২) লাল মাটি

লাল মাটি শ্বেতী চিকিৎসার ক্ষেত্রে অত্যন্ত কার্যকরী। লাল মাটি মূলত তামা সমৃদ্ধ হয়। এক টেবিল চামচ আদার রসের সাথে, দুই টেবিল চামচ লাল মাটি মিশিয়ে একটি পেস্ট তৈরি করুন। তারপর শ্বেতী ত্বকে প্রতিদিন এই মিশ্রণটি প্রয়োগ করুন। আদার রস শ্বেতীর জায়গায় রক্ত প্রবাহে সহায়তা করবে।


৩) তামার পাত্র থেকে জল পান করুন

শরীর সুস্থ-সবল রাখতে এবং রোগ থেকে দূরে থাকতে, হাইড্রেট থাকা অত্যন্ত জরুরী। শ্বেতীর সমস্যা থেকে রেহাই পাওয়ার অন্যতম উপায় হল, তামার পাত্র থেকে জল পান করা। তামার পাত্রে রাখা জল পান করলে এটি শরীরে মেলানিন উৎপন্ন করে। এতে শ্বেতীর কারণে হওয়া সাদা ছোপ কমাতে পারে।


একটানা ল্যাপটপে কাজ করে চোখে চাপ পড়ছে? স্ক্রিন থেকে চোখ বাঁচাতে এসব নিয়ম মেনে চলুন “>


৪) তুলসি পাতা

৫) আখরোট

আখরোটও শ্বেতীর সমস্যার ক্ষেত্রে দারুণ কার্যকর। প্রতিদিন কমপক্ষে ৫টি আখরোট খাওয়া হলে, তা শ্বেতীর সমস্যা মোকাবেলা করতে সহায়তা করে। আরও ভালো ফল পেতে, আখরোট গুঁড়ো করে তাতে জল মিশিয়ে একটি পেস্ট তৈরি করুন। সেই পেস্টটি আক্রান্ত স্থানে, প্রতিদিন কমপক্ষে ৩-৪ বার ১৫-২০ মিনিটের জন্য লাগান। ফল হাতেনাতে পাবেন।


৬) অ্যালোভেরা

অ্যালোভেরাতে অ্যান্টি-অক্সিড্যান্ট বৈশিষ্ট্য আছে, যা শ্বেতীর সমস্যা দূর করতে সহায়তা করে। এছাড়াও, এতে ভিটামিন এ, সি, বি১২, ফলিক অ্যাসিড, তামা, ক্যালসিয়াম, ক্রোমিয়াম, জিঙ্ক বর্তমান, যা পুনরায় ত্বকের বর্ণ ফিরিয়ে দিতে সহায়তা করে। শ্বেতীর চিকিৎসার ক্ষেত্রে অ্যালোভেরা খুব ভাল কাজ করে।


৭) হলুদ

শ্বেতীর সমস্যা নিরাময়ে অত্যন্ত কার্যকর হলুদ। সর্ষের তেলের সাথে হলুদ গুঁড়ো মিশিয়ে ২০ মিনিটের জন্য আক্রান্ত স্থানে লাগিয়ে রাখুন। আরও ভালো ফল পেতে, এই মিশ্রণটি দিনে দু’বার প্রয়োগ করুন।


এই আর্টিকেলটি সাধারণ তথ্যের ভিত্তিতে লেখা। তাই কোনও কিছু করার আগে অবশ্যই চিকিৎসকের সহায়তা নেবেন এবং তাদের পরামর্শ মেনে চলবেন।

কোন মন্তব্য নেই

Blogger দ্বারা পরিচালিত.