ইনফ্লুয়েঞ্জা এড়াতে হাত যা করতে হবে

 


ODD বাংলা ডেস্ক: বছরের যেকোনো সময় ফ্লু হতে পারে, তবে এর প্রভাব সাধারণত শীতকালে বেশি থাকে। মৌসুমি ফ্লু বা ইনফ্লুয়েঞ্জা হলো ইনফ্লুয়েঞ্জা ভাইরাসের একপ্রকার তীব্র শ্বাস-প্রশ্বাসের সংক্রমণ। ইনফ্লুয়েঞ্জায় সাধারণত জ্বর, কাশি (সাধারণত শুকনো), মাথা ব্যথা, পেশি ও অস্থিগ্রন্থিতে ব্যথা, অসুস্থতাবোধ, গলা ব্যথা ও সর্দির উপসর্গ থাকে। তবে কাশি গুরুতর হতে পারে এবং দুই বা কয়েক সপ্তাহ ধরে চলতে পারে। এটি অত্যন্ত সংক্রামক রোগ, ছড়ায় ইনফ্লুয়েঞ্জা ভাইরাস দিয়ে। ফ্লু আক্রান্ত ব্যক্তিরা সাধারণত দুই থেকে সাত দিনের মধ্যেই সেরে ওঠে। বেশির ভাগ ক্ষেত্রেই চিকিৎসার তেমন প্রয়োজন হয় না। তবে কখনো কখনো বিশেষত উচ্চ ঝুঁকিতে থাকা ব্যক্তিদের মধ্যে ইনফ্লুয়েঞ্জা গুরুতর অসুস্থতা বা মৃত্যুর কারণ হতে পারে।


লক্ষণ


এই রোগ হলে হঠাৎ জ্বর, কাশি (সাধারণত শুকনো), মাথা ব্যথা, পেশি অস্থিগ্রন্থিতে ব্যথা, অসুস্থতা বোধ, গলা ব্যথা এবং নাক দিয়ে সর্দি ঝরা, গুরুতর কাশি হতে পারে এবং তা দুই বা আরো অধিক সপ্তাহ ধরে চলতে পারে। এ ছাড়া থাকতে পারে মাথা ব্যথা, শরীর ম্যাজম্যাজ ও ব্যথা, দুর্বলতা বা ক্লান্তি, কাশি, বুকে অস্বস্তিবোধ ইত্যাদি। হালকা জ্বর ও গা ম্যাজম্যাজে ভাব দেখা দেয়। জ্বর সাধারণত দুই-তিন দিন থাকে এর পর কমে আসে। সামান্য সর্দি-কাশি থাকতে পারে। সারা গায়ে ব্যথা ও মাথায় যন্ত্রণা হয়।


করণীয়


এ সময় ঠাণ্ডা বা বাসি খাবার ও পানীয় পরিহার করা, ধুলাবালি এড়িয়ে চলাসহ ধূমপান পরিহার করা উচিত। এ সময় মাঝেমধ্যে হালকা গরম জল দিয়ে গড়গড়া করা, ভালোভাবে হাত ধোয়ার অভ্যাস বিশেষ করে চোখ বা নাক মোছার পরপরই হাত ধোয়া উচিত। শিশুদের বিশেষ সতর্কভাবে রাখতে হয়, তাদের বুকে যাতে কফ না বসে যায় সেদিকে খেয়াল রাখতে হবে। ফুসফুসে সংক্রমণ, নিউমোনিয়া ইত্যাদিও কিন্তু হতে পারে। ঘন ঘন আদা-চা বা লেবুর চা পান, তুলসীপাতা জ্বাল দিয়ে বা হালকা গরম জলে মধু ও লেবুর রস মিশিয়ে পান করলে বেশ কাজ দেয়। জল ছাড়াও প্রচুর তরল যেমন—ফলের রস, ডাবের জল, শরবত পান করুন। অর্থাৎ শরীরে বেশি বেশি ফ্লুইড বা জল প্রবেশ করানোর চেষ্টা করুন। দীর্ঘস্থায়ী জ্বর এবং অন্যান্য উপসর্গ থাকলে চিকিৎসার জন্য ডাক্তারের শরণাপন্ন হোন।

কোন মন্তব্য নেই

Blogger দ্বারা পরিচালিত.