জিন্স ভালো রাখার উপায় হলো ‘না কাচা’! এই কথা কতটা সত্য?



 ODD বাংলা ডেস্ক: অনেক দিন ধরে ফ্যাশন জগতে রাজত্ব করছে জিন্স। নারী-পুরুষ আট থেকে আটত্রিশ! প্রায় অনেকেই জিন্সে ভীষণ ভাবেই কম্ফোর্টেল। এবার যারা জিন্স পরতে একদমই পছন্দ করেন না তাদের ব্যাপার আলাদা। তবে যারা নিজের সাধের জিন্স ভালো রাখতে চান, তাদের কিন্তু জিন্স যত্ন নেয়ার সঠিক উপায়ও জানতে হবে।


এখন নীল-কালো রং পেরিয়ে আরো নানা প্যাস্টেল শেড বা উজ্জ্বল রঙেও পাওয়া যায় জিন্সের প্যান্ট। যাই হোক, জিন্সের আজ যতই বয়স হোক, ক্যাজুয়াল ওয়্যার হিসেবে শতক ধরে বাজার কাঁপাচ্ছে। কখনো নন-স্কিনি বা কখনো স্কিনি হিসেবেই সবার মধ্য়েই জনপ্রিয়।


তবে অনেকেই বলেন, জিন্স ভালো রাখার অন্যতম উপায় হল তাকে না কাচা! এই কথা কতটা সত্যি? আসলেই তাই। এমনকী বিখ্যাত জিন্স ব্র্যান্ড লিভাইসের পক্ষ থেকেও জিন্সের যে ‘কেয়ার গাইড’ দেওয়া হয়েছে, সেখানে উল্লেখ করা হয়েছে যে, জিন্স ভালো রাখার জন্য তাকে যত কম ধোয়া যায় ততই ভালো! তাহলে জেনে নিন কীভাবে যত্ন নেবেন আপনার সাধের জিন্সের, যাতে একটা জিন্স অন্তত কয়েক বছর পরতে পারেন! লিভাইসের গাইডলাইন কী আছে? 


স্পট ক্লিন করুন, কীভাবে?

আপনার জিন্সে কোথাও সামান্য দাগ লেগে যাওয়াই খুব স্বাভাবিক! কারণ, জিন্স পরলে কখনো না কখনো সামান্য দাগ লাগতেই পারে। খেতে গিয়ে হয়তো কিছু পড়ল বা সামান্য কাদা লাগল। সেই সময়ে সম্পূর্ণ জিন্সকে নিয়ে গিয়ে জলে চুবিয়ে দেবেন না! বরং স্পট ক্লিনিং করুন। কীভাবে করবেন? একটি পুরনো টুথব্রাশ নিন। তাতে মাইল্ড সোপ লাগিয়ে নিন। যে জায়গায় দাগ লেগেছে, সেখানে ভালো করে ঘষে ঘষে পরিষ্কার করে নিন। জলে ধুয়ে নিন। জিন্স ভালো রাখতে চাইলে বারবার তা কাচা বন্ধ করুন।


ঠান্ডা জলে কেন কাচা উচিত?

 জিন্স ধোয়ার সময় অবশ্য়ই ঠান্ডা জল ব্যবহার করুন। কারণ, ঠান্ডা জলেই একমাত্র জিন্স বেশিদিন ভালো থাকে। তাহলে তাড়াতাড়ি রঙ ফেড হয়ে যায় না বা জিন্স কুঁচকে যায় না। অন্যান্য ড্রেস ধোয়ার সময় যেমন আপনি এসব দিকে খেয়াল রাখেন, জিন্স ধোয়ার সময়েও এদিকে খেয়াল রাখা উচিত।  গরম জল দিলেই কিন্ত আসলে আপনার জিন্সের বারোটা বাজাচ্ছেন আপনি। এমনকি পরিবেশেরও ক্ষতি করছেন। তাই ঠান্ডা জলে অল্প সাবানে আপনার জিন্স কাচবেন। বছরের পর বছর সাধের জিন্স পরতে পারবেন।


তাহলে কতবার কাচা উচিত আপনার জিন্স? 

দেখুন, আপনার জিন্স যদি আপনি ঠিক রাখতে চান, তাহলে যত কম কাচতে পারেন ততই ভালো হয়। শুধু জিন্সের ক্ষেত্রেই থিয়োরি প্রযোজ্য নয়। অন্যান্য সুতির পোশাকের ক্ষেত্রেও যদি আপনি এই নিয়ম মেনে চলতে পারেন, তাহলে খুবই ভালো হয়। কারণ, বারবার ধুলে সুতা ঢিলে হয়ে যায়। তখন তাড়াতাড়ি ছিঁড়ে যায় সেই ড্রেস। জিন্সের ক্ষেত্রেও তাই। জিন্স সম্পূর্ণ ভাবেই সুতি থেকে তৈরি করা হয়। বর্তমানে স্ট্রেচেবল জিন্স তৈরি করার জন্য এতে ইলাস্টিক মেটেরিয়ালও মেশানো হয়। অনেক ফ্যাশন বিশেষজ্ঞর মতে, যত কম ধোবেন ততই ভালো থাকবে আপনার জিন্স। সাধের জিন্স ভালো রাখার জন্য অন্তত ১০বার পরার পর তাকে ধুয়ে নিন। আর দাগ লাগলে স্পট ক্লিনিং করুন।  তবে এই সব কিছুই নির্ভর করছে আপনার উপরে। আপনি যদি চান, তাহলে কয়েকবার পরার পরেও জিন্স ধুতে পারেন।


কোন ডিটারজেন্ট ব্যবহার করবেন?

ইন্ডিগো ব্লু প্রিন্ট জিন্সকে আপনি সাধারণ ডিটারজেন্ট দিয়ে ধুতেই পারেন। জিন্স ধোয়ার সঙ্গে সঙ্গে তার থেকে সামান্য হলেও রঙ উঠতে পারে। জিন্স ধীরে ধীরে ফেড হতে শুরু করে। আবার এই ফেড হয়ে যাওয়া জিন্স পরেও আপনি স্টাইল করতে পারেন। সেটি আপনার পার্সোনালিটিকেই গুরুত্ব দেবে! তবে জিন্স ধোয়ার সময় অতিরিক্ত পরিমাণে সাবান ব্যবহার করবেন না।


এটি ফ্যাব্রিকের ক্ষতি করা ছাড়া আর কিছুই করবে না। পরিমাণ মতো সাবান নিয়ে জিন্স কেচে নেবেন। এতেই একমাত্র আপনার জিন্স ভালো থাকবে। এছাড়াও সাধারণ ঠান্ডা জলে জিন্স ধোবেন। তাহলে জিন্সের রঙও ঠিক থাকবে। তাই নীল রঙের জিন্স অনেকদিন পর্যন্ত ভালো রাখতে এসব দিক খেয়াল রাখবেন।


যে কাজটা করতেই হবে

কাচার পরে জিন্স শুকনা করতে হবে। এই সময় অবশ্য়ই হাওয়ায় শুকনোর কথাই ভাবুন। নাহলেই কিন্তু ক্ষতি হতে পারে আপনার জিন্সের। একটি হ্যাঙারে বা সরাসরি দড়িতে মেলে দিন আপনার জিন্স। ধীরে ধীরে জল ঝরে যাওয়ার পরে শুকিয়ে যাবে আপনার জিন্স। এভাবেই দিনের পর দিন ভালো থাকবে। খুব বেশি নিংড়াবেন না। তাহলেও খারাপ হতে পারে জিন্স। এছাড়া শুকিয়ে যাওয়ার পরে পরার আগে সঠিক তাপমাত্রা ঠিক করে আয়রন করে নিন।

কোন মন্তব্য নেই

Blogger দ্বারা পরিচালিত.