হবু মায়েরা ফাস্ট ফুড এড়িয়ে চলুন
ODD বাংলা ডেস্ক: নারীত্বের পূর্ণতা মাতৃত্বে। একজন নারী মা হবার স্বপ্ন দেখতে শুরু করেন কৈশোর পেরুবার পর থেকে; কেউ সচেতনে, কেউ বা অবচেতনে। গর্ভধারণের পর থেকে নারীর শরীরে যেমন পরিবর্তন আসতে থাকে, মনেও তেমনি আসে বেশ কিছু পরিবর্তন। এই সময় মেয়েদেরকে খাদ্যগ্রহণের পরিমাণ এবং মান – উভয়ের প্রতিই যত্নবান ও সতর্ক থাকা প্রয়োজন।
বর্তমান প্রজন্মের মায়েরা কিন্তু আগের প্রজন্মের মায়েদের থেকে অনেক বেশি সচেতন। কিন্তু অনেকেই তাঁর পূর্বের কিছু খাদ্যাভ্যাস ছাড়তে পারেন না। তার মধ্যে একটি হলো জাংক ফুড। জাংক ফুড বলতে মূলত: পিজা, বার্গার, স্যান্ডউইচ, চিকেন ফ্রাই, মিষ্টি, আইসক্রিম ও কোমল পানীয় বোঝায়। এছাড়া প্যাটিস, পেস্ট্রি কেক বা পাস্তা অর্থাৎ রেস্টুরেন্টের খাবারকেও জাংক ফুডের দলে ফেলা যায়। কারণ, এগুলোর অধিকাংশই ভাল তেল, ভেজালমুক্ত বা টাটকা উপকরণ দিয়ে রান্না হয় না। কাজেই ফাস্ট ফুড বা জাংক ফুডে স্বাস্থ্য ঝুকিঁ অনেক বেশি, বিশেষ করে ভারতে, যেখানে খাদ্যে ভেজাল মেশানো একটি সংস্কৃতি হয়ে দাঁড়িয়েছে।
আসা যাক মূল প্রসঙ্গে। সম্প্রতি অস্ট্রেলিয়ার একটি বিশ্ববিদ্যালয়ের একদল গবেষক প্রমাণ করেছেন Junk Food Moms Have Junk Food Babies. কিছু ইঁদুর এর উপর তাঁরা একটি গবেষণা চালিয়ে দেখেছেন যে, গর্ভাবস্থায় যে ইঁদুর গুলোকে বেশি মিষ্টি ও বেশি চর্বি জাতীয় খাবার দেয়া হয়েছিল, সন্তান প্রসবের কিছুদিন পর দেখা গেল, তাদের শিশু ইঁদুরগুলি অন্যান্য শিশু ইঁদুরের তুলনায় মিষ্টি ও চর্বি জাতীয় খাবারের প্রতি বেশি আসক্ত।
এর কারণ হিসেবে গবেষকেরা দেখিয়েছেন যে, মায়ের খাদ্যাভ্যাস তার গর্ভের শিশুর মস্তিষ্কে এক ধরণের প্রভাব ফেলে, যার কারণে মায়ের পছন্দ-অপছন্দ শিশুর ভেতরে প্রতিফলিত হয়। গবেষণায় কিছু মা ও শিশু ইঁদুরের মস্তিষ্ক পরীক্ষা করে dopamine ও opioid নামে কিছু রাসায়নিক দ্রব্যের উপস্থিতি পেয়েছেন যা মস্তিষ্কে ভাল লাগার অনুভূতিকে প্রভাবিত করে। এছাড়াও এই রাসায়নিক দ্রব্যকে পরিবহন করে এমন কিছু গ্রাহক কোষের মাত্রা বেশি পাওয়া গেছে সেই সব ইঁদুরের মস্তিষ্কে।
কাজেই মা যতই তার শিশুকে জাংক ফুড খেতে নিষেধ করুন, তিনি যদি নিজে এর প্রতি আসক্ত হন, শিশুরাও হবে। আর এ কারণে যে পরিবারে মা স্থূলকায়. সেখানে সন্তানদের স্থূলকায় হওয়ার প্রবণতা বা সম্ভাবনা বেশি থাকে।
Post a Comment