ম্যারাথনে ১৫০ দিনে ৬৩০০ কিমি. পাড়ি দিয়ে বিশ্বরেকর্ড গড়লেন অস্ট্রেলিয়ান নারী
ODD বাংলা ডেস্ক: ম্যারাথন দূরপাল্লার দৌড় খেলাবিশেষ। দাপ্তরিকভাবে এ দৌড়ের দূরত্ব নির্ধারণ করা হয়েছে ৪২.১৯৫ কিলোমিটার বা ২৬ মাইল ৩৮৫ গজ। সচরাচর খেলা পরিচালনায় রাস্তা ব্যবহার করা হয় বিধায় এটি রোড রেস বা রাস্তায় দৌড় খেলা নামে পরিচিত।
প্রাচীন গ্রীক সৈনিক ফেইডিপ্পিডেস কর্তৃক ম্যারাথনের যুদ্ধ জয়ের সংবাদ বহন করে দৌড়ে এথেন্স নগরে নিয়ে এসেছিলেন। ম্যারাথনের যুদ্ধকে স্মরণীয় করে রাখতেই এ দৌড়ের নামকরণ করা হয় ম্যারাথন দৌড়।
এই ম্যারাথন দৌড়ে অস্ট্রেলিয়ান নারী এরশানা মুরে বারলেট ১৫০দিনের ছয় হাজার ৩০০ কিলোমিটার পাড়ি দিয়েছেন। জানা যায়, ১৬ জানুয়ারি শেষ হওয়ার আগে মুরে বারলেট প্রতিদিন ৪২ কিলোমিটারেরও বেশি দূরত্ব পাড়ি দিয়েছেন। এর মাধ্যমে তিনি একটি বিশ্বরেকর্ডও গড়েছেন।
আরো জানা যায়, মুরে ১৫০ দিনের দৌড়ে অস্ট্রেলিয়ার উত্তর প্রান্ত থেকে দক্ষিণ প্রান্ত পর্যন্ত দূরত্ব অতিক্রম করেছেন। একইসঙ্গে বিশ্বের প্রথম নারী হিসেবে একটানা সবচেয়ে বেশি দিন ম্যারাথন দৌড়েছেন।
৩২ বছর বয়সী এরশানা মুরে বারলেট পেশাদার দৌড়বিদ। ২০২০ সালের টোকিও অলিম্পিকে বাছাইপর্ব পার হতে ব্যর্থ হলে ভেঙে পড়েন তিনি। পরে তিনি অন্য দিকে নিজের অর্জন বাড়ানোর দিকে মনোযোগ দেন। সেখান থেকেই অস্ট্রেলিয়ার এক প্রান্ত থেকে অন্য প্রান্ত পর্যন্ত দৌড়ানোর পরিকল্পনা করেন তিনি। একই সঙ্গে একজন নারী হিসেবে সবচেয়ে বেশিদিন ধরে ম্যারাথান দৌড়ানোর রেকর্ডও ভেঙে দিতে চেয়েছিলেন। উভয় লক্ষ্যই অর্জিত হয়েছে তার।
অস্ট্রেলিয়া এই নারী দৌড়বিদ কেবল দৌড়েই চলে যাননি। তিনি বৈশ্বিক জীববৈচিত্র্য সংরক্ষণ নিয়ে কাজ করা বেসরকারি প্রতিষ্ঠান দ্য উইল্ডারনেস সোসাইটির জন্য অর্থ সংগ্রহ করেছেন। এই সময়ের মধ্যে তিনি এক লাখ অস্ট্রেলীয় ডলার (৭০ হাজার মার্কিন ডলার) অর্থ সংগ্রহ করেছেন।
স্থানীয় সংবাদামাধ্যমগুলোর সঙ্গে কথা বলার সময় মুরে জানিয়েছেন, যাত্রাপথে যেসব এলাকা তিনি অতিক্রম করেছেন তাদের সমর্থনে তিনি অভিভূত। তিনি মানুষকে দান করার বিষয়টিকেও ধন্যবাদ জানিয়ে বলেছেন, ‘এটি আমার জন্য বিস্ময়কর একটি যাত্রা ছিল। আমি তাদের সমর্থনে নিজেকে আরো বেশি আত্মবিশ্বাসী হিসেবে বিবেচনা করতে পেরেছি।’
Post a Comment