শয়তানের সাগরে পৌঁছালে শেষ পরিণতি যা হয়
ODD বাংলা ডেস্ক: সময় ১৮০০ শতক। সেই সময লোকমুখে প্রায়ই শোনা যেত, অনেকেই ঐ এলাকায় জাহাজে করে এক রহস্যময় নারীকে প্রদক্ষিণ করতে দেখেছেন। এতসব অশুভ জায়গার ঘটনাস্থল এই সাগরটিকে এক সময় শয়তানের সাগর বলে আখ্যায়িত করা হয়।
শয়তানের সাগর বা ড্রাগন ত্রিভুজ বা সাগরের জাদু বা প্যাসিফিক বারমুডা ট্রায়াঙ্গেল নামেও পরিচিত। এটি টোকিওর দক্ষিণে প্রায় ১০০ কিমি দূরে মিয়াকে-জিমা (মিয়াকে দ্বীপ) ঘিরে প্রশান্ত মহাসাগরের একটি বিশেষ অঞ্চল। শয়তানের সাগরকে কখনো কখনো একটি অতিপ্রাকৃতিক অবস্থান হিসেবে বিবেচিত করা মাধ্যমে এই দাবির সত্যতা রীতিমত খোলাসমুক্ত করা হয়েছে।
শয়তানের সাগর জাপান, তাইওয়ান এবং ইয়াপ দ্বীপপুঞ্জকে সংযুক্ত করেছে। দশকের পর দশক জুড়ে এই স্থানটি এক অজানা রহস্যের আধার হিসেবে বিবেচিত। এমন রহস্যময়তার কারণে জায়গাটি সাগরের বুকে একটি অশুভ স্থান হিসেবে সকলের কাছে পরিচিত। ঘটে যাওয়া ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে অনেকে ড্রাগন ট্রায়াঙ্গেলকে বারমুডা ট্রায়াঙ্গেলের জমজ বলে থাকেন। ছোট ছোট নৌকা থেকে শুরু করে বিশাল জাহাজ এমনকি এ জায়গার উপর দিয়ে উড়ে যাওয়া বিমানগুলোও মুহূর্তেই উধাও হয়ে যায়। এদের শেষ পরিণতি আসলে কী হয়, তা আজও জানা সম্ভবপর হয়ে ওঠেনি।
আকার এবং আয়তনের বিভিন্ন স্থানের রিপোর্ট (শুধুমাত্র ১৯৫০ দশকের রিপোর্ট থেকে) অনুসারে এটি জাপানের পূর্ব উপকূলে একটি অনির্দিষ্ট অংশ থেকে ১১০ কিলোমিটার, উপকূল থেকে ৪৮০ কিলোমিটার এবং এমনকি ইও জিমার উপকূলের কাছে থেকে ১,২০০ কিলোমিটার দূরে অবস্থিত।
কাইও মারু নং ৫ বালেটস নামে জাপানের একটি গবেষণা জাহাজ ৩১ জনের একটি নাবিকদল নিয়ে শয়তানের সাগর থেকে প্রায় ৩০০ কিমি দক্ষিণে সমুদ্রতলদেশীয় ম্যাইয়েন-শো আগ্নেয়গিরি কার্যকলাপ অনুসন্ধান করছিল, তখন একটি অগ্ন্যুত্পাতের ফলে ২৪শে সেপ্টেম্বর, ১৬৫২ সালে ধ্বংস হয়ে যায়। পরে কিছু ধ্বংসাবশেষ উদ্ধার করা হয়।
অন্য সাতটি নৌকা ছিল ছোট মাছ ধরার নৌকা, যা এপ্রিল, ১৯৪৯ সাল থেকে অক্টোবর, ১৯৫৩ সালের মধ্যে মিয়াকে দ্বীপ এবং ইও জিমা দ্বীপের মাঝে হারিয়েছে। এই দুইটি দ্বীপের মাঝের দূরত্ব ১হাজার ২০০ কিলোমিটার (৭৫০ মাইল)। কমপক্ষে একটি জাহাজ একটি এসওএস পাঠিয়েছিল।
Post a Comment