এই দ্বীপে এখন চুকচিদের বসবাস

 


ODD বাংলা ডেস্ক: ভ্রাংগেল দ্বীপের মালিকানা নিয়ে ইতিহাসে কম ঘটনা যুক্ত হয়নি। সময়টা ১৮২০-এর দশকের শুরুর কাল। রুশ অভিযাত্রী ফের্ডিনান্ড ফন ভ্রাংগেল দ্বীপটি খোঁজার চেষ্টা চালিয়ে ব্যর্থ হন। তার আগে সাইবেরিয়ার আদিবাসীরা দ্বীপটি দেখতে পেয়েছিল।

১৮৭৬ সালে মার্কিন তিমিশিকারী টমাস লং দ্বীপটির দেখা পান এবং ভ্রাংগেলের সম্মানে দ্বীপটির নামকরণ করেন। ১৯১১ সালে রাশিয়া থেকে এখানে একটি অভিযান দল পাঠানো হয় এবং ১৯১৬ সালে রুশ  সরকার এটি দাবি করে। ১৯২১ সালে কানাডায় জন্ম নেয়া অভিযাত্রী ভিহিয়াল্মুর স্টেফানসন এখানে একটি দল পাঠান, যাতে দ্বীপটি ব্রিটেনের জন্য দাবি করা যায়। কিন্তু একজন বাদে দলের বাকি সবাই মৃত্যুমুখে পতিত হয়।


উইকিপিডিয়ার তথ্য,  ১৯২৩ সালে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র এখানে ইনুইট আদবাসীদের দিয়ে একটি বসতি স্থাপন করায়, কিন্তু ১৯২৪ সালে রাশিয়ার একটি জাহাজ এদেরকে বলপূর্বক এখান থেকে সরিয়ে দেয়। ১৯২৬ সালে সোভিয়েত ইউনিয়ন এখানে একটি স্থায়ী উপনিবেশ স্থাপন করে। বর্তমানে এখানে একটি বাণিজ্যকেন্দ্র এবং একটি জলবায়ু স্টেশন আছে। এটি প্রশাসনিকভাবে চুকোৎকা স্বশাসিত অক্রুগ-এর অন্তর্গত। দ্বীপের দক্ষিণভাগে চুকচি জাতির লোকদের দুইটি স্থায়ী জেলে লোকালয় আছে।


উল্লেখ্য, ভ্রাংগেল দ্বীপ রাশিয়ার উত্তর-পূর্ব প্রান্তসীমার একটি দ্বীপ। এটি উত্তর মহাসাগরে পূর্ব সাইবেরীয় সাগর এবং চুক্‌চি সাগরের মধ্যভাগে, ১৮০ ডিগ্রী দ্রাঘিমারেখার ঠিক উপরে অবস্থিত। এ কারণে আন্তর্জাতিক তারিখরেখাকে দ্বীপটির পাশ দিয়ে সরিয়ে স্থাপন করা হয়েছে। দ্বীপটি দ্য লং প্রণালীর মাধ্যমে মূল এশীয় ভূখণ্ড থেকে বিচ্ছিন্ন। দ্বীপটি ১২৫ কিমি প্রশস্ত এবং এর আয়তন ৭ হাজার ৬০০ কিলোমিটার। দ্বীপের মধ্যভাগে পূর্ব-পশ্চিমে ৎসেন্ত্রালনিয়ে পর্বতমালা প্রসারিত। এর সর্বোচ্চ শৃঙ্গ সোভেতস্কায়া পর্বত সমুদ্রসমতল থেকে প্রায় ১ হাজার ৯৬ মিটার উঁচুতে উঠে গেছে।

কোন মন্তব্য নেই

Blogger দ্বারা পরিচালিত.