নয় বছর আগে নিখোঁজ হয়েছিলেন স্ত্রী, পরের গল্প রূপকথাকেও হার মানাবে
ODD বাংলা ডেস্ক: নয় বছর আগে নিখোঁজ হয়ে গিয়েছিলেন স্ত্রী। তারপর কেটে গেছে দীর্ঘদিন। কিন্তু স্ত্রীকে বিভিন্ন জায়গায় খুঁজেও কোনো কিছু জানতে পারেননি। অবশেষে নতুন বছরে একটি ফোনই যেন সবকিছু বদলে দিল।
বছরের শুরুতেই সত্যি সুখবর নিয়ে এল হরিয়ানার বাসিন্দা কেহার সিং-এর জীবনে। চলতি বছরের শুরুতেই গল্পটা অন্যরকম হয়ে গেল। নয় বছর আগের হারিয়ে যাওয়া স্ত্রীকে খুঁজে পেলেন বছর ৫৫-র ঐ ব্যক্তি। প্রায় এক দশক আগে বিচ্ছেদ হওয়া দম্পত্তির গল্প যেন রূপকথাকেও হার মানাবে।
২০১৩ সালে ৫০ বছর বয়সী স্ত্রী দর্শিনীকে হারিয়ে ফেলেন কেহার সিং। সেসময় দর্শিনী মানসিকভাবে খানিকটা অসুস্থ ছিলেন। এরপর পেরিয়ে গেছে অনেক বছর। মাঝে পুর্নবাসন কেন্দ্রে তাকে নিয়ে যাওয়া হয়। সম্প্রতি থানাল নামে কর্নাটকের একটি হোমের পক্ষ থেকে।কেহার সিং-কে ফোন করা হয়। আর তারপরেই স্ত্রীর খোঁজ পান কেহার সিং।
কিন্তু কোথায় বা এতদিন ছিলেন দর্শিনী? এ প্রসঙ্গে থানাল হোমের পরিচালনার দায়িত্বে থাকা মহাম্মদ মুস্তাফা বলেন, ‘পাঁচ বছর আগে, কুশলনগরের পুলিশ আমাদের কাছে এসে জানায় যে একজন অর্ধ নগ্ন নারীকে ঘুরে বেড়াতে দেখা গেছে এবং আমাদের তার যত্ন নেয়ার জন্য অনুরোধ করে।’ এরপরই দর্শিনীকে সংশ্লিষ্ট হোমে নিয়ে আসা হয়। দীর্ঘদিন কাউন্সেলিং-এর পর শেষ পর্যন্ত দর্শিনী তার পূর্ব জীবনের বিষয়ে শুধু হরিয়ানার কথাই মনে করতে পারেন।
২০১৩ থেকে ২০১৮ সাল পর্যন্ত কোনো স্মৃতিই কার্যত দর্শিনীর মনে ছিল না। এমনকি কীভাবে তিনি কর্ণাটকে এসেছেন সে বিষয়েও তার কোনো ধারণা ছিল না। যদিও হোমে থাকাকালীন তার পরিস্থিতির ধীরে ধীরে উন্নতি হয় এবং ছয় মাস আগেই তিনি তার বাসস্থানের জায়গা রোহটকের বিষয়ে মনে করতে পারেন।
নিজের বাড়ির বিষয়ে মনে করতে পারার পরেই হোমেরার পক্ষে হরিয়ানা পুলিশের সঙ্গে যোগাযোগ করা হয়। তারপরই নয় বছর আগে যে একজন মধ্যবয়স্ক নারী হারিয়ে যাওয়ার অভিযোগ দায়ের করা হয় সেবিষয়ে জানতে পারে হোম কর্তৃপক্ষ।
এতদিন বাদে স্ত্রীকে ফিরে পেয়ে চোখের জল ধরে রাখতে পারেননি কেহার সিং। আসলে স্ত্রী মানসিকভাবে অসুস্থ হওয়ায় তিনি আরো বেশি চিন্তিত ছিলেন। এপ্রসঙ্গে তিনি বলেন, ‘আমি আমার পরিবারের সঙ্গে স্ত্রীকে উত্তরপ্রদেশ, দিল্লি এবং পাঞ্জাবে খুঁজেছিলাম।’ এরপর যখন তিনি একেবারে আশা ছেড়ে দিয়েছিলেন তখনই যেন জীবনের সেরা উপহার পেয়েছেন বলে জানিয়েছেন কেহার সিং।
Post a Comment