এই ৭ জোড়া রাশিই সেরা অভিভাবক-সন্তান জুটি, আপনারা?



 ODD বাংলা ডেস্ক: অভিভাবক ও সন্তানের মধ্যে সম্পর্ক সবচেয়ে পবিত্র ও শুদ্ধ। যদিও অনেক সময়ে মা-বাবা ও সন্তানের মধ্যে মতপার্থক্য দেখা যায়। কিন্তু এই দুয়ের মধ্যে সম্পর্ক কখনও ভাঙে না বা কোনও আপোস করতে হয় না। আমাদের মধ্যে কিছু কিছু অভিভাবক সন্তানের দেখাশোনা করতে বা তাঁদের যত্ন নিতে গিয়ে হিমশিম খান। আবার কিছু অভিভাবক আছেন যাঁরা খুব সহজ-সরল ভাবে সন্তানের সঙ্গে অসাধারণ বন্ড তৈরি করে নেন। তবে কোন জাদুমন্ত্রে এটা সম্ভব হয় তা কী জানতে চান? এ ক্ষেত্রে জ্যোতিষ শাস্ত্র আপনাদের সাহায্য করতে পারে। জ্যোতিষের সাহায্যে অভিভাবক ও সন্তানের মধ্যে কমপ্যাটিবিলিটির স্তর সম্পর্কে জানা যায়। প্রতিটি রাশির বৈশিষ্ট্য তার জাতকদের মধ্যে প্রবাহিত হয়। এখানে ৭টি সেরা অভিভাবক ও সন্তানের জুটির সম্পর্কে জানানো হল।


মেষ ও মিথুন রাশি 

এই দুই রাশির জাতকরা নিজের মুক্তমনা স্বভাব ও হাসিখুশি ব্যক্তিত্বের জন্য সকলের কাছে পরিচিত। এই দুই রাশির কমপ্যাটিবিলিটি সবচেয়ে বেশি। মেষ রাশির সন্তান যেমন উচ্চাকাঙ্খী হন, তেমনই আবেগপ্রবণও হন এঁরা। অন্য দিকে মিথুন রাশি অভিভাবক হিসেবে সবচেয়ে ভালো ভূমিকা পালন করেন। সন্তানের প্রচেষ্টার প্রতি গর্বিত হলেও, তাঁরা ভালো ভাবে জানেন যে কী ভাবে সন্তানের স্বতঃস্ফূর্ততা ও সৃজনশীলতাকে সঠিক পথে চালিত করতে হয়। যা মেষ রাশির সন্তানদের ইচ্ছা সাধনে সহায়ক হয়ে থাকে। এমন পরিস্থিতিতে মেষ রাশির সন্তানরা নিজের প্রতিটি গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্তে অভিভাবকদের সামিল করার কথাও চিন্তাভাবনা করবেন।


কর্কট ও বৃষ রাশি 

কর্কট রাশির সন্তান অত্যন্ত আবেগপ্রবণ হন। ঠিক এ কারণেই তাঁদের বৃষ অভিভাবক প্রয়োজন, যাঁরা দৃঢ় মনোভাবাপন্ন হন এবং কঠিন পরিস্থিতিতে সন্তানকে সঠিক পথ দেখাতে পারেন। স্বভাবগত ভাবে বৃষ ও কর্কট রাশির জাতকরা এক ধরনের হয়ে থাকেন। এই দুই রাশিও একে অপরের সঙ্গে ভালোভাবে মিলেমিশে যেতে পারেন। কিন্তু যে ক্ষেত্র বা পরিস্থিতিতে কর্কট রাশির সন্তানরা সমস্যায় পড়েন বা অসফল হন, সেখানে একজন বৃষ অভিভাবক সেই ঘাটতি পূরণ করে দিতে পারেন।


সিংহ ও তুলা রাশি 

সিংহ রাশির সন্তান আধিপত্য বিস্তার করে, এঁরা দৃঢ়চেতা হন। আবার আপনার সন্তান সিংহ রাশির জাতক হলে, আপনারা ভালোভাবেই জানেন যে, একবার কোনও সিদ্ধান্ত নিয়ে নিলে তাঁরা সহজে কারও কথা শুনবেন না। কিন্তু একমাত্র তুলা রাশির অভিভাবকরাই তাঁদের মিষ্টি কথায় ভুলিয়ে সঠিক পথে চালিত করতে পারেন। অনেকে এমন প্রবণতাকে ম্যানিপুলেটিভ মনে করলেও একজন দৃঢ়চেতা এবং নম্র ব্যক্তির মধ্যে শান্তি বজায় রাখার জন্য এই দুই রাশির জুটিই শ্রেয়।


কন্যা ও মকর রাশি 

কন্যা ও মকর রাশি আসলে একই মুদ্রার দুই পিঠ। কন্যা রাশির জাতক যেমন পারফেকশনিস্ট হন, তেমনই মকর জাতকরা সমস্ত কিছু যুক্তি-বুদ্ধি দিয়ে বিচার করেন, এঁদের কাছে ভুল করার কোনও জায়গাই নেই। তাই কন্যা রাশির জাতকরা যদি কোনও লক্ষ্য অর্জনের সিদ্ধান্ত নিয়ে ফেলেন, তা হলে মকর রাশির অভিভাবকরা যুক্তি-বুদ্ধি দিয়ে তাঁদের জয়ের পথে এগিয়ে যেতে সাহায্য করবেন। এই দুই রাশির কমপ্যাটিবিলিটি অত্যন্ত প্রশংসনীয়।


বৃশ্চিক ও বৃষ রাশি 

এই দুই রাশির জাতকই অত্যন্ত অনুগত হন। বৃষ রাশির অভিভাবকরা তাঁদের সততা ও নৈতিকতার জন্য সকলের কাছে পরিচিত। এই মূল্যবোধগুলি তাঁরা বৃশ্চিক রাশির সন্তানের মধ্যে সহজেই সঞ্চারিত করে দিতে পারেন। অতএব বৃশ্চিক রাশির সন্তান তাঁদের বৃষ অভিভাবকদের চিন্তাভাবনা ও আইডিয়া যে শুধু মান্য করবে তা নয়, বরং অভিভাবকের প্রতি তাঁদের মনে সম্মানও থাকবে। এই দুই রাশির মধ্যে বিশ্বাসের সম্পর্ক অত্যন্ত দৃঢ়।


ধনু ও কুম্ভ 

জ্যোতিষ বলছে ধনু রাশির সন্তানদের শুধুমাত্র কুম্ভ অভিভাবকরাই সামলাতে পারেন। নিজের মজাদার স্বভাবের কারণে ধনু জাতকরা সবসময় নতুনকে জানার কাজে ব্যস্ত থাকেন। ধনু রাশির জাতকদের এমন করা থেকেই কেউই আটকাতে পারেন না। তবে কুম্ভ রাশির জাতকদের ওপর এ ক্ষেত্রে আস্থা রাখা উচিত। কারণ কখন সন্তানকে স্বাধীন ছাড়তে হবে এবং কোন সময়ে তাঁদের স্বভাবকে নিয়ন্ত্রণে রাখতে হবে, তা তাঁদের খুব ভালোভাবে জানা আছে। কুম্ভ রাশির জাতকরা নিজের সন্তানকে স্পেস দিতে পারেন পাশাপাশি তাঁদের সঠিক পথে নিয়েও যেতে পারেন।


মীন ও কর্কট রাশি 

এই রাশির অভিভাবক ও সন্তানের জুটি সেরা। এরা একে অপরকে ভালোভাবে বুঝতে পারেন। শুধু তাই নয় কঠিন সময়ে কী ভাবে একে অপরকে সাহায্য করতে হবে, তা-ও এঁদের ভালোভাবে জানা আছে। তাই মীন রাশির সন্তান কোনও লক্ষ্য অর্জন করতে সক্ষম না-হলে, আবার কর্কট অভিভাবকরা নানান কারণে কঠিন সমস্যার মুখে পড়লে, দুজনেই দুজনকে সামলে নিয়ে এগোতে পারেন।

কোন মন্তব্য নেই

Blogger দ্বারা পরিচালিত.