এঁদের ভুলেও পরতে নেই রুদ্রাক্ষ, লাভের বদলে ক্ষতি হবে বহুগুণ!

 


ODD বাংলা ডেস্ক:  স্বয়ম্ভূ শিবের প্রতীক মনে করা হয় রুদ্রাক্ষ ও শিবলিঙ্গকে। শাস্ত্র মতে এই জগৎ সংসারে এই দুইয়ের চেয়ে পবিত্র অন্য কিছুই হয় না। কিন্তু রুদ্রাক্ষ ধারণ ও শিবলিঙ্গের পুজোর সঙ্গে কিছু নিয়ম জড়িত রয়েছে, যা পালন না-করলে লাভের পরিবর্তে ক্ষতির সম্ভাবনা থেকে যায়। অনেকে রুদ্রাক্ষ ধারণ করে থাকি। কোষ্ঠীতে উপস্থিত গ্রহ-নক্ষত্রের পরিস্থিতি দেখে জ্যোতিষীর পরামর্শে অনেকে রুদ্রাক্ষ ধারণ করার কথা বলা হয়। শাস্ত্র মতে, রুদ্রাক্ষ ধারণ করার ফলে ব্যক্তির মধ্যে আধ্যাত্মিকতা জাগৃত হয়। এই রুদ্রাক্ষ ব্যক্তির মন শান্ত রাখে। জীবনে সঠিক পথে পা বাড়াতে পারেন এবং সঠিক নির্ণয় নেওয়াও সহজ হয়।


রুদ্রাক্ষ ধারণের নিয়ম

রুদ্রাক্ষ ধারণের একাধিক লাভ রয়েছে। কিন্তু শাস্ত্র মতে যে ব্যক্তি এটি ধারণ করে তাঁদের একাধিক নিয়ম পালন করা উচিত। এই সমস্ত নিয়ম উপেক্ষা করলে শুধু সেই ব্যক্তিই নয় বরং তাঁর সম্পর্কযুক্ত ব্যক্তিরাও শিবের রোষের শিকার হতে পারেন। তাঁর আশপাশের ব্যক্তিদের লোকসানের সম্ভাবনা থাকে।


কারা কখন রুদ্রাক্ষ ধারণ করবেন না


সদ্য প্রসূতি স্ত্রী


কোনও স্ত্রী রুদ্রাক্ষ ধারণ করলে তাঁদের এই নিয়ম মেনে চলা উচিত। এই নিয়ম অনুযায়ী সেই স্ত্রী সন্তান প্রসব করলে, তার পর অশৌচ শেষ হওয়া পর্যন্ত রুদ্রাক্ষ নামিয়ে দেওয়া উচিত। মনে করা হয় এই অশৌচ কালে স্ত্রী অপবিত্র থাকে। তাই এ সময় রুদ্রাক্ষ ধারণ করলে তা-ও অপবিত্র হতে পারে। আবার যে ব্যক্তি রুদ্রাক্ষ ধারণ করে রয়েছেন তাঁরা প্রসূতি ও নবজাতকের কক্ষে প্রবেশ করবেন না। গেলেও রুদ্রাক্ষ খুলে রেখে যাওয়া উচিত।


আমিষ খান যাঁরা


রুদ্রাক্ষ ধারণ করলে আমিষ খাবার ও ধূমপান থেকে দূরে থাকা উচিত। কারণ এর ফলে রুদ্রাক্ষ অশুদ্ধ হয়ে যায়। এর ফলে ভবিষ্যতে আরও বেশি কষ্ট সহ্য করতে হতে পারে। তাই আমিষ খাওয়া-দাওয়া করেন যাঁরা তাঁদের রুদ্রাক্ষ ধারণ করা উচিত নয়।


ঘুমানোর সময়


ঘুমানোর সময় রুদ্রাক্ষ ধারণ করবেন না। তাই ঘুমানোর সময় এটি খুলে রেখে দিন। আবার যাঁরা দুঃস্বপ্ন দেখে বিচলিত হয়ে যান, তাঁরা বালিশের তলায় রুদ্রাক্ষ রেখে দিন। এর ফলে দুঃস্বপ্নের হাত থেকে মুক্তি পাবেন। আবার যাঁদের ঘুমাতে অসুবিধা হয় তাঁরাও এই উপায় করলে সুফল পেতে পারেন।


এই স্থানে রুদ্রাক্ষ পরে যাবেন না


কারও অন্ত্যেষ্টি ক্রিয়ায় অংশগ্রহণ করতে গেলে রুদ্রাক্ষ খুলে রেখে যাবেন। কারণ এটি পরে অন্ত্যেষ্টিতে গেলে রুদ্রাক্ষ অশুদ্ধ হয়ে যায়। ব্যক্তির জীবনে এর নেতিবাচক প্রভাব পড়ে।


এই পরিস্থিতিতে রুদ্রাক্ষ পরবেন না


কখনও কারও পরে থাকা রুদ্রাক্ষ ধারণ করতে নেই। এমনকি নিজের রুদ্রাক্ষও কাউকে দেবেন না। নোংরা হাত দিয়ে রুদ্রাক্ষ স্পর্শ করবেন না। শৌচ ইত্য়াদি নিত্যকর্মের সময় রুদ্রাক্ষ খুলে রাখা উচিত। এর ফলে রুদ্রাক্ষের শুদ্ধতা বজায় থাকে।


জ্যোতিষের পরামর্শ নিয়ে রুদ্রাক্ষ ধারণ করুন


কোনও জ্যোতিষীকে জিগ্যেস করে রুদ্রাক্ষের মালা ধারণ করা উচিত। কারণ প্রতিটি রাশি ও গ্রহ অনুযায়ী রুদ্রাক্ষও পৃথক পৃথক হয়। যেমন মেষ, ধনু, মীন লগ্নের জাতদের পঞ্চমুখী রুদ্রাক্ষ ধারণ করা উচিত। তবে সিদ্ধ না-করিয়ে ও খাঁটি রুদ্রাক্ষ না-পেলে এটি ভুলেও পরবেন না।

কোন মন্তব্য নেই

Blogger দ্বারা পরিচালিত.