অন্ত্যেষ্টি পর্যন্ত একা রাখতে নেই মৃতদেহ! কারণ জানলে চমকে উঠবেন

 


ODD বাংলা ডেস্ক: গীতায় শ্রী কৃষ্ণ বলেছেন, পৃথিবীতে যে জন্মগ্রহণ করেছে তাঁর মৃত্যু নিশ্চিত। এক না এক দিন তাঁকে পৃথিবী ছেড়ে যেতেই হবে। হিন্দু ধর্মে ব্যক্তির মৃত্যুর পর তাঁর দাহ সংস্কার করা হয়। শাস্ত্রে শবের দাহ সংস্কারের সঙ্গে নানান নিয়ম জড়িয়ে। সেই নিয়ম পালনের মধ্যে দিয়েইমৃত আত্মার শান্তি কামনা করা হয়। কিন্তু মৃত্যুর পর সঙ্গে সঙ্গে তাঁদের অন্ত্যেষ্টি করা হয় না। আবার বাড়িতে মৃত্যু হওয়ার পর সেই মৃতদেহকে একা রেখে কোথাও যান না-কেউ। কিন্তু কেন এমন নিয়ম, এ বিষয়ে শাস্ত্রে উল্লেখ পাওয়া যায়।


মৃতদেহ একা রাখা হয় না কেন


শাস্ত্র মতে সূর্যাস্তের পর কখনও অন্ত্যেষ্টি করা যায় না। সূর্যাস্তের পর কোনও ব্যক্তির মৃত্যু হলে তার মৃতদেহ বাড়িতেই থাকে। তখন মৃতদেহের পাশে কেউ না-কেউ উপস্থিত থাকে। গরুড় পুরাণ অনুযায়ী মৃতদেহ একা ফেলে রাখলে তা থেকে গন্ধ বেরোতে শুরু করবে। আবার মৃতদেহ একা পড়ে থাকলে পিঁপড়ে ঘির ধরতে পারে। পুরাণে এ-ও বলা হয়েছে যে মৃতদেহ একা ছাড়লে তাতে অশুভ আত্মা প্রবেশ করতে পারে। এ কারণে অন্ত্যেষ্টি হওয়া পর্যন্ত মৃতদেহ একা ছাড়া হয় না।


মৃত্যুর পর পরই কেন অন্ত্যেষ্টি করা হয় না


কোনও ব্যক্তির মৃত্যুর সঙ্গে সঙ্গে তাঁর সৎকার করা হয় না। এর পিছনেও একটি কারণ রয়েছে। শাস্ত্র মতে, যতক্ষণ মৃত ব্যক্তির শরীর সম্পূর্ণ রূপে শান্ত হচ্ছে না, ততক্ষণ দাহ সংস্কার করা যায় না। এ ছাড়াও শেষ দেখা দেখার জন্য সেই মৃত ব্যক্তির আত্মীয় স্বজনের অপেক্ষা করা হয়। এই দুটি কারণে মৃত্যুর সঙ্গে সঙ্গে দাহ সংস্কার করা নিষিদ্ধ।


পঞ্চকে মৃত্যু হলে কী ভাবে অন্ত্যেষ্টি করবেন


পঞ্চক একটি অত্যন্ত অশুভ যোগ। এই সময়কালে কারও মৃত্যু হলে সেই ব্যক্তির পরিবারে দুঃখের ছায়া প্রসারিত। শাস্ত্র মতে পঞ্চকে কারও মৃত্যু হলে সেই পরিবার আরও পাঁচ জনের মৃত্যু দেখতে পারে। তবে এই সমস্যা থেকে মুক্তির উপায় দেখিয়েছে শাস্ত্র। হিন্দু ধর্ম শাস্ত্র অনুযায়ী পঞ্চকে কোনও ব্যক্তির মৃত্যু হলে ৫টি কুশের পুতুল বানিয়ে মৃতদেহের সঙ্গ রেখে দিন। যাতে দাহ সংস্কারের সময় কুশ পুতুলও পুড়ে যায়। এর পর তেরো দিনের মাথায় পঞ্চক শান্তি করানো উচিত। এই উপায় করলে পঞ্চক দোষ কেটে যায়।

কোন মন্তব্য নেই

Blogger দ্বারা পরিচালিত.