কবর দেওয়ার দুইদিন পরে বন্ধুকে ভিডিও কল দিলেন ‘মৃত’!

 


ODD বাংলা ডেস্ক: ট্রেনের ধাক্কায় মৃত্যু হয়েছিল বছর ষাট বছর বয়সের এক বৃদ্ধের। শনাক্তকরণের জন্য তার ছবি বিভিন্ন থানায় পাঠিয়ে দেয় রেলপুলিশ। সেই ছবি দেখে এক ব্যক্তি রেলপুলিশের সঙ্গে যোগাযোগ করেন। দাবি করেন, মৃত ব্যক্তি তার দাদা রফিক শেখ। মৃতদেহ শনাক্তকরণের জন্য রফিকের স্ত্রীকে ডেকে পাঠায় পুলিশ। তিনিও মৃত ব্যক্তিকে তার স্বামী বলেই দাবি করেন। এরপরই রফিকের লাশ তার পরিবারের হাতে তুলে দেওয়া হয়। রফিকের দাফন সম্পন্ন করে তার পরিবার। তার দেহ কবর দেওয়া হয়।

রফিকের দাফন সম্পন্ন হওয়ার দুইদিন পর এক বন্ধু তাকে ফোন করেন। আশ্চর্যজনক ভাবে, রফিক সেই ফোন রিসিভ করেন। বন্ধুর সঙ্গে কথাও বলেন। বন্ধুটির সন্দেহ হওয়ায় ভিডিও কল করতে বলেন রফিককে। তিনি ভিডিও কলও করেন। এবং বন্ধুকে জানান, তিনি সশরীরে বেঁচে আছেন এবং দিব্যি আছেন। ভিডিও কলে রফিককে দেখে নিজের চোখকে বিশ্বাস করতে পারছিলেন ঐ বন্ধু।


তিনি তৎক্ষণাৎ রফিকের পরিবারের সঙ্গে যোগাযোগ করেন এবং পুরো ঘটনাটি জানান। পরিবারের লোকেরাও ঐ বন্ধুর কথা শুনে যে আকাশ থেকে পড়েছিলেন। যে ব্যক্তিকে নিজেরা শনাক্ত করে কবর দিয়ে এলেন, তা হলে তিনি কে? প্রশ্নটা ঘুরতে থাকে রফিকের পরিবারের সদস্যদের মধ্যে। বিষয়টি বিশ্বাস না হওয়ায় ঐ বন্ধু আবার রফিককে ফোন করেন। পরিবারের সঙ্গে রফিকের কথা হয়। তাদের ও তিনি জানান যে, ভালো আছেন।


এরপরেই রফিকের পরিবারের সদস্যরা ছুটে যান পুলিশের কাছে। তাদের কাছে বিষয়টি খুলে বলেন তারা। ঘটনাটি শুনে পুলিশও থ হয়ে গিয়েছিল। পুলিশ সূত্রে খবর, মাস কয়েক আগে বাড়ি ছেড়ে চলে গিয়েছিলেন রফিক। একটি নিখোঁজ ডায়েরিও করে তার পরিবার। কিন্তু পরে জানা যায়, মহারাষ্ট্রের পালঘরের কাছে সাফালায় একটি ঘরে একাই থাকছিলেন রফিক। পুলিশ জানিয়েছে, যে ব্যক্তি ট্রেনের ধাক্কায় মারা গিয়েছিলেন, তিনি কে, কোথায় থাকতেন, এখন এটা খুঁজে বের করতে হবে।

কোন মন্তব্য নেই

Blogger দ্বারা পরিচালিত.