১৩ থেকে ৩০ বছরের মধ্যে এই রোগ বেশি হয়, শিশুদের উচ্চতা বৃদ্ধি থেমে যায়

 


ODD বাংলা ডেস্ক: অনেক রোগ আছে, যেগুলো একটি নির্দিষ্ট বয়সে বেশি হয়। এমনই একটি রোগ হলো ক্রোহন ডিজিজ। এই রোগটি সাধারণত ৩০ বছর বয়স পর্যন্ত মানুষের মধ্যে বেশি দেখা যায়। বেশিরভাগ ক্ষেত্রে, ১৩ থেকে ৩০ বছর বয়সী লোকেরা এটির শিকার হয়। যদিও প্রতিটি রোগই খারাপ, কিন্তু এই রোগের একটি বিশেষ সমস্যা হল যে কেউ যদি ১৩-১৪ বছর বয়সে এই রোগে আক্রান্ত হন বা বলা যায় যে উচ্চতা বৃদ্ধির বয়সে, তবে শিশুর উচ্চতা ঠিকমতো বাড়ে না। এটা অর্থাৎ এই রোগের মূল্য শিশুকে দিতে হয় সারা জীবন।


এমন পরিস্থিতিতে শিশুদের স্বাস্থ্যের প্রতি বিশেষ মনোযোগ দেওয়া খুবই জরুরি। যাতে তার হাইড এবং ফিটনেস কোনোও বাধা ছাড়াই বাড়তে থাকে। এই রোগের লক্ষণগুলি কী কী, এর কারণগুলি কী এবং এর চিকিত্সা কী, এই সমস্ত গুরুত্বপূর্ণ বিষয়গুলি এখানে বলা হয়েছে…


ক্রোনের রোগের লক্ষণ-


ক্রোনস ডিজিজে প্রায়ই অন্ত্রে আলসারের সমস্যা হয়। এই কারণে দৈনন্দিন জীবনে পেট সংক্রান্ত নানা সমস্যার সম্মুখীন হতে হয়।


তলপেটে ব্যথা


ডায়রিয়া


পেট বাধা


ত্বকের রোগসমূহ


পিঠে ব্যাথা


ক্লান্তি


ঘন ঘন মুখের আলসার


গতির সঙ্গে রক্তপাত


রক্তাল্পতা


ওজন কমানো


ক্রোনের রোগের চিকিৎসা কি?


রক্ত পরীক্ষা, কলপোস্কোপির মতো গুরুত্বপূর্ণ কিছু পরীক্ষার পর লক্ষণের ভিত্তিতে ওষুধ দেওয়া হয়। সেই সঙ্গে জীবনযাত্রা ও খাদ্যাভাসে পরিবর্তন আনা হয়। সময় মতো সঠিক চিকিৎসা দিলে রোগী সম্পূর্ণ সুস্থ হয় এবং শিশুর হাইড ও স্বাস্থ্যও সঠিকভাবে বৃদ্ধি পায়।


আরও পড়ুন- প্রতিদিন ব্রেকফার্স্টে চিনা বাদাম খেলে মিলবে এই পাঁচ উপকার, রইল বিশেষ রেসিপি


আরও পড়ুন- চায়ের সঙ্গে ভুল করেও এই জিনিসগুলো খাবেন না, স্বাস্থ্যের উপর খারাপ প্রভাব পড়তে পারে


আরও পড়ুন-  ঘুমের মধ্যে কি হার্ট অ্যাটাক হতে পারে, জেনে নিন কী বলছেন বিশেষজ্ঞরা


কীভাবে নিজেকে চিনবেন?


একজন সাধারণ মানুষের পক্ষে শুধুমাত্র লক্ষণ দেখে এই রোগ সম্পর্কে নিশ্চিত হওয়া কঠিন। তাই সময় মতো ডাক্তার দেখালে ভালো হয়। বিশেষ করে এসব উপসর্গ দেখার পর যেগুলো বলা হচ্ছে, একেবারেই অবহেলা করবেন না।


মলের সঙ্গে রক্তপাত (গতি চলাকালীন)


লুজ মোশন ৫ দিনেও ভালো হচ্ছে না


পুনরাবৃত্ত জ্বর


পেট বাধা


ব্যাখ্যাহীন ওজন হ্রাস


বয়স অনুযায়ী শিশুর উচ্চতা বাড়ে না


কেন এই রোগ হয়?


ক্রোনের রোগের কোন স্পষ্ট কারণ নেই। এটি এক ধরনের অটোইমিউন ডিসঅর্ডার, যাতে ব্যক্তির শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা, অর্থাৎ বাইরে থেকে আসা ভাইরাসকে ধ্বংস করে তার শরীরের অন্ত্রের মেকানিজমকে আক্রমণ করে, ফলে অন্ত্রে আলসার, ফোলা ও জ্বালাপোড়ার সমস্যা শুরু হয়।

কোন মন্তব্য নেই

Blogger দ্বারা পরিচালিত.