কোভিড-ক্যান্সারের সম্পর্ক জুড়লেন বাবা রামদেব, তার পরিপ্রেক্ষিতে কী বললেন বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকরা

 


ODD বাংলা ডেস্ক: আবারও বিতর্কিত যোগগুরু বাবা রামদেব। শনিবার তিনি দাবি করেছে কোভিড-১৯ মহামারির পরে দেশে ক্যান্সারের ঘটনা বেড়েছে। তবে রামদেব বাবার দাবি উড়িয়ে দিয়েছেন বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকরা। তাঁরা বলেছেন এই দুটির মধ্যে এখনও পর্যন্ত কোনও সম্পর্ক খুঁজে পাওয়া যায়নি। তাঁরা আরও বলেছেন ক্যান্সার আক্রান্তের সংখ্যা বৃদ্ধি একটি স্বাভাবিক ঘটনা। ক্যান্সারের ঘটনা বার্ষিক পাঁচ শতাংশ বৃদ্ধি পাচ্ছে, মহামারির সঙ্গে এক কোনও সম্পর্ক নেই বলেও দাবি করেছেন প্রক্যাত ক্যান্সার বিশেষজ্ঞ।


গোয়ার মারিমার সমুদ্র সৈকতে পতঞ্জলির যোগ সমিতি অনুষ্ঠিত হচ্ছে। সেখানেই রামদেব বলেছিলেন কোভিড-১৯ এর পর দেশে ক্যান্সার আক্রান্তের সংখ্যা বেড়েছে। মানুষ তাদের দৃষ্টিশক্তি হারিয়েছে। আর শ্রবণ শক্তিও হারিয়েছে। অনুষ্ঠান মঞ্চে উপস্থিত ছিলেন গোয়ার মুখ্যমন্ত্রী প্রমোদ সাওয়ান্ত।


রামদেবের এই মতের বিরোধিতা করেন ইন্ডিয়ান মেডিক্যাল অ্যাসোসিয়েশনের গোয়া ইউনিটের প্রাক্তন প্রধান শেখর সালকার বলেন, সারা বিশ্বে জনসংখ্যা বৃদ্ধিক সঙ্গে সঙ্গে ক্যান্সার আক্রান্তের সংখ্যা বাড়ছে। প্রতি বছর ক্যান্সার আক্রান্তের সংখ্যা পাঁচ শতাংশ বাড়ছে। তিনি আরও বলেছেন, ক্যান্সার আক্রান্তের সংখ্যা কমছে না। কিন্তু তারপরেও এটিকে কোভিড-১৯ মহামারির জন্য দায়ী করা যাবে না। সালকার একটা সময় গোয়া বিজেপির মেডিক্যাল সেলেরও প্রধান ছিলেন। তবে এদিন তিনি রামদেবের নাম না নিয়েই তাঁর সমালোচনা করেছেন। বলেছেন, সেলিব্রিটিদের সর্বদা দায়িত্বের সঙ্গে মন্তব্য করা উচিৎ। কারণ মানুষ তাঁদের কথা বিশ্বাস করে।


সালকার বলেছেন ভারতের প্রচি ১ লক্ষ মানুষের মধ্যে ১০৪ জন মানুষই ক্যান্সার আক্রান্ত। এই সংখ্যাটাই ২০১৮ সালে ছিল প্রতি লক্ষে ৮৫ হাজার। তবে বর্তমানে ভারত মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের তুলনায় অনেক ভাল পরিস্থিতিতে রয়েছে। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে প্রতি লক্ষে ৫০০ জন মানুষ ক্যান্সারে আক্রান্ত। তিনি আরও বলেন, ক্যান্সার সমস্যা থেকে বাঁচার জন্য ভারতীয়দের দ্রুত জীবনধারা সংশোধনের প্রয়োজন রয়েছে। কিন্তু জীবনধারা না বদল করলে আক্রান্তের হার মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রকেও ছাড়িয়ে যাবে।


অপর বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক তথা সার্জিক্যাল অনকোলজিস্ট শ্রীধরন এন বলেছেন ক্যান্সার আক্রান্তের সংখ্যা পাঁচ শতাংশ বেড়েছে। এটা সত্য ঘটনা। কিন্তু কোভিড-১৯এর পরে ক্যান্সার আক্রান্তের সংখ্যা বেড়ে গিয়েছে- এমন কোনও তথ্য এখনও পর্যন্ত তাঁদের হাতে আসেনি।

কোন মন্তব্য নেই

Blogger দ্বারা পরিচালিত.