টাইটানিক হিরো ডিক্যাপ্রিওকে অসমে আসার আহ্বান মুখ্যমন্ত্রীর, কারণ জানলে অবাক হবেন আপনিও

 


ODD বাংলা ডেস্ক: অসমের মুখ্যমন্ত্রী হেমন্ত বিশ্ব শর্মা শুক্রবার টাইটানিক অভিনেতা লিওনার্দো ডিক্যাপ্রিওকে তাঁর রাজ্যে আসার আমন্ত্রণ জানিয়েছেন। মূলত কাজিরাঙ্গা ন্যাশানাল পার্ক দেখার আমন্ত্রণ জানিয়েছেন। এই জাতীয় উদ্যান একশৃঙ্গ গন্ডারের জন্য বিখ্যাত। তবে এর কারণ কিন্তু রীতিমত অবাক করা। সূদুর বিদেশে বসেও লিওনার্দো ডিক্যাপ্রিও অসমের মত প্রত্যন্ত একটি রাজ্যের বন্যপ্রাণী সংরক্ষণের খবর রাখেন। আর বন্য প্রাণী সংরক্ষণের জন্য তিনি রাজ্যে সরকারের ভূয়সী প্রশংসাও করেন। তারপরই টাইটানিকের জ্যাককে তাঁর রাজ্যে আসার আমন্ত্রণ জানিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী হেমন্ত বিশ্ব শর্মা।


সোশ্যাল মিডিয়ায় বার্তা দিয়ে হেমন্ত বিশ্ব শর্মা বলেছেন, 'বন্যপ্রাণী সংরক্ষণ করা আমাদের সাংস্কৃতিক পরিচয়ের সঙ্গে যুক্ত। আমরা আমাদের সমৃদ্ধ সাংস্কৃতিক ঐতিহ্যকে অধ্যাবসায় ও রক্ষা করার জন্য কঠোর পরিশ্রম করি। আপনার সদয় কথায় জন্য আপনাকে ধন্যবাদ।' টুইটারে লিওনার্দোকে ট্যাগ করে হেমন্ত বিশ্ব শর্মা তাঁকে কাজিরাঙ্গা ন্যাশালান পার্ক দেখার জন্য় আমন্ত্রণ জানান। একই সঙ্গে আসম সরকারের প্রচেষ্টা করা ডিক্যাপ্রিওর ইন্টাগ্রাম পোস্টের একটি স্ক্রিন শর্টও শেয়ার করেন মুখ্যমন্ত্রী।


অস্কার পুরষ্কার জয়ী অভিনেতা ডিক্যাপ্রিও লিখেছেন, অসম সরকার একশৃঙ্গ গন্ডার রক্ষার জন্য গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা গ্রহণ করেছে। ১৯৭৭ সাল থেকে শুরু করে এই প্রথম ২০২২ সালে এই রাজ্যের কাজিরাঙ্গা ন্যাশানাল পার্কে একটিও একশৃঙ্গ গন্ডার শিকার করা হয়নি। তিনি আরও বলেছেন ২০০০ সাল থেকে ২০২১ সাল পর্যন্ত এই রাজ্যে ১৯০টি পোচিং বা চোরা শিকারের ঘটনা ঘটেছে। লিওনার্দো আরও বলেছেন, একশৃঙ্গ গন্ডারের অন্যতম আকর্ষণ। এই জঙ্গলে ২২০০ টি গন্ডারের বাসভূমি। বিশ্বের মোট গন্ডারের প্রায় একতৃতীয়াংশ এই রাজ্যেই বাস করে। একই সঙ্গে তিনি ওয়ার্ল্ড ওয়াইল্ড লাইফ ফান্ডের প্রতিবেদনের কথা উল্লেখ করে বলেন গন্ডারের সংখ্যা বর্তমানে বৃদ্ধি পেয়েছে। ২০০ থেকে তা ৩৭০০ তে পৌঁছেছে।


অসমের কাজিরাঙ্গা অভয় অরণ্য পর্যটকদের কাছে গুরুত্বপূর্ণ। এই জঙ্গলের মূল আকর্ষণই হল এক শৃঙ্গ গন্ডার। বিশ্বর সব থেকে বেশি একশৃঙ্গ গন্ডার এই এলাকাতেই দেখতে পাওয়া যায়। কিন্তু একটা সময় পোচিং-এর কারণে প্রায় বিলুপ্ত হতে বসেছিল এই প্রজাতির গন্ডার। কিন্তু অসম সরকার, কেন্দ্রীয় সরকারে সঙ্গে বন বস্তি বা সাধারণ মানুষের প্রচেষ্টা পোচিং বা চোরি শিকারি বন্ধ হয়ে গেছে। বন বস্তির মানুষরা বর্তমানে জঙ্গলকে কেন্দ্র করে নিজেদের জীবিকার সন্ধান করে নিয়েছে। তাই বন্যপ্রাণীর সঙ্গে রক্ষা পেয়েছে জঙ্গলও।

কোন মন্তব্য নেই

Blogger দ্বারা পরিচালিত.