জ্বর হলেই অ্যান্টিবায়োটিক খাচ্ছেন? বিশেষজ্ঞরা যা বলছেন
ODD বাংলা ডেস্ক: জ্বর মানে এই নয় যে অ্যান্টিবায়োটিক খেতে হবে। কাশি, সর্দি, কনজাংটিভাইটিস, ডায়রিয়া এবং আলসারের ক্ষতের উপস্থিতি ভাইরাল সংক্রমণের ইঙ্গিত দেয়। হঠাৎ শুরু হওয়া গুরুতর গলা ব্যথা, ১০০ ডিগ্রি ফারেনহাইটের বেশি জ্বর, মাথা ব্যথা, টনসিল ফুলে যাওয়া বা জরায়ুর লিম্ফ নোড ফুলে যাওয়া, কফ সহ কাশি ইঙ্গিত দেয় ব্যাকটেরিয়া সংক্রমণের।
তিন থেকে চার দিন অতিবাহিত হওয়ার পর জ্বর ক্রমান্বয়ে বাড়তে থাকে, ব্যাকটেরিয়া সংক্রমণের দিকেই আঙুল তোলে, যদিও প্রাথমিকভাবে এমন অবস্থা ভাইরাল সংক্রমণের পরে ঘটে। সুতরাং বুঝতে হবে যে, উপরের শ্বাস নালীর সংক্রমণ ব্যাকটেরিয়া বা ভাইরাস উভয়ের দ্বারাই হতে পারে। ল্যাবরেটরিতে পরীক্ষা একমাত্র সেটি সঠিকভাবে নিশ্চিত করতে পারে।
বিশেষজ্ঞরা বলেন, ‘অ্যান্টিবায়োটিক হচ্ছে ম্যাজিক বুলেট। যদি প্রয়োজন হয়, তাহলে সঠিক মাত্রায় নেয়া যেতে পারে। কিন্তু কখনোই ইচ্ছামতো খাওয়া উচিত নয়। ভুল বা বেশি মাত্রায় অ্যান্টিবায়োটিক নীল, জ্বর আসতে পারে, এমনকি লিভারও খারাপ হওয়ার সম্ভবনা থাকে। তাই প্রথমে রোগ নির্ণয় করা গুরুত্বপূর্ণ। বর্তমানে অনেকের উপরের শ্বাসনালীর সংক্রমণ আছে যার সঙ্গে আছে সর্দি, শরীরে তীব্র ব্যথা, গলা ব্যথা এবং শুকনা কাশি; এগুলো ভাইরাল সংক্রমণের দিকে নির্দেশ করে। যদি জ্বর ১০২ ডিগ্রির মতো হয়, তবেই সেটা ব্যাকটেরিয়া সংক্রমণ নির্দেশ করে৷’
Post a Comment