তুর্কি, সিরিয়ার মতো ভয়াবহ ভূমিকম্পে কাঁপতে পারে ভারতও! আশঙ্কা জ্যোতিষ গণনায়



 ODD বাংলা ডেস্ক: ভয়াবহ ভূমিকম্পের কারণে বিপর্যস্ত তুর্কি ও সিরিয়ার বিস্তীর্ণ অঞ্চল। ভারতের জন্যও কি অদূর ভবিষ্যতে এমনই বিপর্যয় অপেক্ষা করে আছে। ভূমিকম্পে তাসের ঘরের মতো ভেঙে পড়তে পারে আমাদের দেশের অনেক শহরই, এমনই আশঙ্কার কথা শুনিয়েছেন নেদারল্যান্ডের ভূ-বিজ্ঞানী হুগার বিটস। তুর্কির ভূমিকম্পের দিন তিনেক আগে সেখানকার মাটি কেঁপে উঠতে পারে বলে ভবিষ্যত্‍বাণী করেছিলেন এই বিজ্ঞানী। এবার এই একই বিজ্ঞানী দাবি করেছেন যে কয়েক দিনের মধ্যেই বড়সড় ভূমিকম্পের কবলে পড়তে পারে আফগানিস্তান। আর তার প্রভাবে বিপর্যস্ত হবে ভারত ও পাকিস্তানের বিস্তীর্ণ অংশ। এই ডাচ বিজ্ঞানী এমন দাবির পর স্বাভাবিক ভাবেই আতঙ্ক ছড়িয়েছে। জেনে নেওয়া যাক, এই বিষয়ে কী বলছে জ্যোতিষ গণনা। সত্যিই কি অদূর ভবিষ্যতে বড়সড় ভূমিকম্পের আশঙ্কা রয়েছে আমাদের দেশে?


জ্যোতিষে ভূমিকম্পের যোগ


২০০টি বড় ভূমিকম্পের ঠিক আগে গ্রহ নক্ষত্রের অবস্থান বিচার করে ভূমিকম্পের ভবিষ্যত্‍বাণী গণনা করার একটি পদ্ধতি বের করেছিলেন গত শতাব্দীর প্রখ্যাত জ্যোতিষবিদ ছিলেন ড. বিভি রামন। গর্গ সংহিতা অনুসারে গ্রহণ, পূর্ণিমা,অমাবস্যা এবং মঙ্গল, শনি, রাহু ও বৃহস্পতির ত্রিকোণ যোগের প্রভাবে ভূমিকম্পের সম্ভাবনা তৈরি হয়। বড় মাত্রার ভূমিকম্প বেশিরভাগ সময় মাঝরাত, বিকেল বা ভোরবেলা হয়ে থাকে। জ্যোতিষ অনুসারে বড় গ্রহগুলি মাটি উপাদানের রাশি বৃষ, কন্য়া বা মকরে থাকলে অথবা বাতাস উপাদানের রাশি কুম্ভ, তুলা বা মিথুনে থাকলে বিপর্যয় সৃষ্টিকারী ভূমিকম্প হতে পারে। তুর্কি এবং সিরিয়ার ভূমিকম্পের সময় মঙ্গল ছিল বৃষতে, শনি এবং শুক্র ছিল কুম্ভে ও সূর্য গমন করছিল মকরে। তার সঙ্গে ভূমিকম্প যেদিন হয়, ৫ ফেব্রুয়ারি ছিল পূর্ণিমা।


ভূমিকম্পের লক্ষণ


পঞ্চম শতকে লেখা বৃহত্‍ সংহিতার ৩২তম অধ্যায় মেদিনী জ্যোতিষে ভূমিকম্পের আগে তার কিছু লক্ষণ ফুটে ওঠে বলে জানানো হয়েছে। আচার্য বরাহমিহির লিখে গিয়েছেন যে ভূমিকম্পের আগে আকাশে অনেক সময় ধোঁয়া দেখা যায়। ধুলোর ঝড় হতে পারে, এই সময় সূর্যের আলো কম থাকে। ভূমিকম্পের আগে জোরালো বাতাস বইতে পারে বা উল্কাবৃষ্টিও হয়ে থাকেল অনেক সময়। উল্লেখযোগ্য হল তুরস্ক এবং সিরিয়ার ভূমিকম্পের আগেও এই ধরনের লক্ষণ দেখা গিয়েছিল। ভূমিকম্পের দিনই আকাশে দেখা গিয়েছিল বিশেষ একটি সবুজ ধূমকেতুকে, ৫০ হাজার বছর আগে এই ধূমকেতু এর আগে শেষবার পৃথিবীর কাছাকাছি এসেছিল।


দু-মাসের মধ্যে আবার ভূমিকম্পের আশঙ্কা


তবে বরাহমিহির বলেছেন যে প্রকৃতির রহস্যের প্রভাব থাকে দু মাস পর্যন্ত। সেই কারণে সবুজ রঙের এই বিরল ধূমকেতুর প্রভাবে আগামী দু-মাসের মধ্য়ে আবারও কোনও ভূমিকম্প হতে পারে। তাই আগামী অমাবস্যা ও পূর্ণিমা তিথি দুটি খুবই গুরুত্বপূর্ণ। আগামী ২০ ফেব্রুয়ারি পড়েছে অমাবস্যা এবং ৭ মার্চ পড়েছে পূর্ণিমা। জ্যোতিষ গণনা অনুসারে এই দু-দিন বড় কোনও বিপর্যয় হতেই পারে। এই সময় বৃষ রাশিতে মঙ্গল এবং কুম্ভ রাশিতে শনির উপস্থিতি পাকিস্তান, আফিগানিস্তান ও উত্তর ভারতে বড় বিপর্যয়ের আশঙ্কা করছে।

কোন মন্তব্য নেই

Blogger দ্বারা পরিচালিত.