চোখে ঘুম সহজে কার আসে, নারী না পুরুষের?
ODD বাংলা ডেস্ক: ঘুম নিয়ে সবারই আলাদা আলাদা কমফোর্ট জোন রয়েছে। কারো কোলবালিশ ছাড়া ঘুম হয় না, আবার কেউ কেউ চিৎ হয়েই শুয়ে পড়েন। কারো আবার চোখে ঘুম আনতে গিয়ে উল্টা দিক থেকে ১০০ গুনতে হয়। আসলে একেক জনের ঘুমের অভ্যাস একেক রকম। তার মধ্যে আবার ছেলে এবং মেয়েদের ঘুমের ধরনই একেবারে আলাদা।
ঘুম ব্যক্তি বিশেষে একেক রকম। তবে পুরুষ-নারীর ঘুমের ধরণ অনেক। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, সবচেয়ে বড় পার্থক্য হলো, ঘুম আসার সময়। অর্থাৎ, সারাদিন ধরে ঘরে বাইরে নানা রকম কাজ করার পর, শুয়ে পড়লেই যে নারীদের চোখে ঘুম চলে আসবে এমনটা না-ও হতে পারে। সে দিক থেকে ‘বেঁচে যান’ পুরুষরা। তারা সাধারণত শুয়ে পড়ার কিছুক্ষণের মধ্যেই ঘুমের দেশে পাড়ি দেন।
বিশেষজ্ঞদের মতে, ‘স্লিপ অ্যাপনিয়া’ বা ‘রেস্টলেস লেগ সিন্ড্রোম’ এর প্রধান কারণ। এই কারণেই নারীরা যেভাবে এবং যতক্ষণ ধরে ভালো ঘুমোতে পারেন, পুরুষদের ক্ষেত্রে তা আলাদা হয়। কেন পুরুষদের ঘুম নারীদের চেয়ে গভীর হয়, তার বেশ কিছু কারণও আছে।
প্রথম কারণটা হরমোনজনিত। গর্ভাবস্থা, মাসিক চক্রের সময়ে নারীদের ঘুমে বার বার ব্যাঘাত ঘটে। আবার এমনিও নারীদের ঘুম যতটা হালকা হয় এবং গাঢ় ঘুম যতটা কম সময়ের হয়, পুরুষদের ক্ষেত্রে তা আলাদা।
চিকিৎসকদের দাবি, ঘুমের সমস্যায় বেশি ভোগেন নারীরা। ঘুমের মধ্যেও নানা রকম চিন্তাভাবনা মনের মধ্যে বেশি ঘোরাফেরা করে নারীদের। তা ছাড়া অনিদ্রাজনিত অসুখবিসুখও তাদের বেশি। শারীরবৃত্তীয় কারণ ছাড়াও পুরুষ এবং নারীদের ঘুমের ভিন্নতার পেছনে সামাজিক, সাংস্কৃতিক এবং ভৌগলিক কারণও দায়ী বলে দাবি করেন বিশেষজ্ঞরা।
Post a Comment