একসময়ে যাঁর কোমরের ভাঁজে দোলা লাগত সারা বলিউড দুনিয়ার বুকে, সেই জিনাত আমন ইন্সটাগ্রামে পোস্ট করলেন নিজের অচেনা কিছু ছবি

 


ODD বাংলা ডেস্ক: একসময় যিনি ছিলেন ভারতীয় সিনেমার দাপুটে সাহসিনী, যাঁর মোহময়ী রূপে ছেয়ে থাকত সমগ্র স্ক্রিন, তিনিই এখন সত্তরোর্ধ্ব নবীনা।


২০২৩-এ এসে ইন্সটাগ্রামে প্রবেশ করলেন সত্তরের দশকের ‘মিস ইন্ডিয়া’ এবং ‘মিস এশিয়া প্যাসিফিক’ জিনাত আমন।



সোশ্যাল দুনিয়ায় পা রেখেই নিজেকে প্রকাশ করলেন কোনও মেক-আপ ছাড়া, একেবারে অচেনা রূপে।


আদরের পোষ্য তথা ‘ছায়াসঙ্গী’ লিলি-র সাথে পোস্ট করলেন দৈনন্দিন জীবনের ছবি।



লিলির সাথে প্রথম সাক্ষাৎ, আর তার পাশাপাশি, তাকে বাড়িতে এনে রাখার জন্য নিজের ছেলেদের বায়নার গল্পও শোনালেন নেটিজেনদের।


২০০৫-এ মুম্বইয়ের বন্যায় অধিকাংশ পুরনো ছবি হারিয়ে যাওয়ার পরেও বেঁচে ছিল বর্ধিনী শারওয়াচটারের সাথে তাঁর একটি দুর্মূল্য ছবি। এই বর্ধিনীই জিনাত আমনের মা, আমানুল্লা খানের প্রাক্তন স্ত্রী।


প্রকাশ করলেন আগ্রার তাজ মহলের সামনে তোলা ‘তাজ মহল’ চায়ের বিজ্ঞাপনে নিজের ছবিও। 



লাস্যময়ী হলে যে তিন চাকার বাহনে চড়া যায় না, একথা কি সত্যি? বন্ধুর বাড়িতে চা খেতে গেলে মিস ইন্ডিয়াও কখনও কখনও অটোর যাত্রী হয়ে যান। 


আত্মকেন্দ্রিক হিসেবে বন্ধুমহলে বরাবরই যিনি ‘কুখ্যাত’, তাঁকে সোশ্যাল মিডিয়ায় এসে প্রথম প্রথম সাহায্য নিতে হচ্ছে নিজের দুই ছেলের।


অনেকেই তাঁকে বলেছিল, চুলে কালো রং না করলে তাঁর কাজ পেতে সমস্যা হতে পারে, বদলে তিনি নেটিজেনদের বললেন, ‘তরুণ থাকাটা চমৎকার বটে, কিন্তু বৃদ্ধ হওয়াটাও একই।’


চিত্রগ্রাহক তানিয়ার তোলা ছবিগুলি পোস্ট করে মুগ্ধতা প্রকাশ করলেন বিখ্যাত অভিনেত্রী। 


কাপুর-যুগের ‘স্টার’ জিনাত আমনই তো আজ এই জায়গায় নিয়ে এসেছে সত্তরোর্ধ্ব মোহময়ীকে। তাই, নিজের সেই সবুজ বসন্তকে কুর্নিশ জানিয়েই ঠোঁটের কোণে হাসির ছলাৎ মেখে রাখলেন স্বপ্নের ‘লায়লা’। 

কোন মন্তব্য নেই

Blogger দ্বারা পরিচালিত.