জেনে নিন স্বাস্থ্যের উন্নতি ঘটাতে ভাত খাওয়া কতটা উপকারী, দিনের কোন সময় ভাত খাবেন

 


ODD বাংলা ডেস্ক: কথায় আছে ভেতো বাঙালি। ভাতের সঙ্গে বাঙালি ওতোপ্রোতভাবে জড়িত। খুব কম মানুষ আছেন যদি ভাত খেতে পছন্দ করেন না। তবে, ভাত মানেই যে তা শারীরিক জটিলতা তৈরি করবে এমন নয়। এরই সঙ্গে অনেকেই মনে করেন, ভাত খেতে ওজন বাড়ে। তবে, এই ধারণা একেবারে সত্য নয়। আজ রইল বিশেষ টিপস। বিশেষজ্ঞের মতে, সঠিক সময় ভাত খেলে মিলবে উপকার। জেনে নিন কখন ভাত খাবেন।


ভাত হল পাওয়ার হাউস। দিনের শুরুতে অর্থাৎ জল খাবারে খেতে পারেন ভাত। এতে সারা দিন পেট থাকবে ভর্তি। তেমনই গোটা দিন বজায় থাকবে এনার্জি।


ভাতে রয়েছে ফাইবার। তাই ভাত খেলে পেটের সমস্যা কম দেখা দেয়। এর কারণে সুগার বা রক্তচাপের ওপর তেমন সমস্যা দেখা দেবে না।


ভাতে আছে প্রোটিন, ভিটামিন, মিনারেলস। রোজ জল খাবারে মুসুর ডাল, পালং শাকের মতো পদের সঙ্গে ভাত মেখে খান। এতে মিলবে উপকার। পেট যেমন ভর্তি থাকবে তেমন শরীরে পুষ্টির জোগান ঘটবে।


তেমনই হার্ট ভালো রাখতে খেতে পারেন ভাত। মুসুর ডালের সঙ্গে ভাত মেখে খেলে হার্ট থাকবে সুস্থ। তেমনই ব্লাড সুগারও নিয়ন্ত্রণে রাখতে চাইলে জল খাবারে ভাত খান। ডায়াবেটিসের রোগীরা অনেকেই ভাত খেতে চান না। তবে, জল খাবরে ভাত খেলে মিলবে উপকার।


গরমের সময় শরীর ঠান্ডা রাখতে ভাত খেতে পারেন। এই সময় অনেকেই পান্তা ভাত খান। এতে শরীর থাকে ঠান্ডা।


তেমনই অন্ত্রকে শক্তিশালী করতে ও কোষ্ঠকাঠিন্য থেকে মুক্তি পেতে ভাত খান। দিনের বেলায় ভাত খেলে তা সহজে হজম হয়ে যায়। এতে অন্ত্র শক্তিশালী হয় ও কোষ্ঠকাঠিন্যের সমস্যা থেকে পেতে পারেন মুক্তি।


তবে, যারা বাড়তি ওজনের সমস্যায় ভুগছেন তাদের সতর্ক হওয়া প্রয়োজন। ভুলেও দিনে একাধিকবার ভাত খাবেন না। তেমনই নির্দিষ্ট পরিমাণ ভাত খাওয়া উচিত ডায়েটের সময়। তা না হলে বাড়তে পারে ওজন।


তেমনই সুস্থ থাকতে চাইলে খেতে পারেন ব্রাউন রাইস। এতে আছে পলিফেনল, পাইটিক অ্যাসিড। যা রক্তে শর্করার পরিমাণ নিয়ন্ত্রণে রাখে। তেমনই এটি ফাইবার যুক্ত। যা কোষ্ঠকাঠিন্যের সমস্যা দূর করে। এমনকী হজম সমস্যা নিরাময় করতেও খেতে পারেন ব্রাউন রাইস। এটি অ্যান্টি অক্সিডেন্টে পূর্ণ যা ক্যান্সার রোধ করে। মেনে চলুন এই সকল বিশেষ টিপস। 

কোন মন্তব্য নেই

Blogger দ্বারা পরিচালিত.