কম ঘুম বাড়িয়ে দিতে পারে ক্যান্সারের ঝুঁকি, ভাল ঘুমের জন্য রইল ৬টি টিপস



 ODD বাংলা ডেস্ক: পর্যাপ্ত ঘুম যেকোনও মানুষেরই শারীরিক সুস্থতা ও মানিসিক কার্যকারিতার জন্য অপরিহার্য। ডায়বেটিস, হৃদরোগ উচ্চ রক্তচাপ বৃদ্ধি একাধিক রোগের কারণ হতে পারে কম ঘুম। কিন্তু আপনি জানেনন কি পর্যাপ্ত ঘুম না হলে বেড়ে যেতে পারে ক্যান্সারের ঝুঁকিও। কারণ ক্যান্সারের বিরুদ্ধে লড়াই করার জন্য ঘুম প্রয়োজনীয়। তেমনই বলছেন বিশেষজ্ঞরা।


এক বিশেষজ্ঞ জানিয়েছেন ঘুমের সময় ব্যক্তিরা REM বা দ্রুত চোখের চলাচল, নন REM ঘমের পর্যায়ের মধ্যে স্থানান্তরিত হয়। এটা মনে রাখতে হবে যে মেমরি একত্রীকরণ REM পর্যায়ে ঘটে। জৈব রাসায়নিক পুনর্নবীকরণ ঘটে নন REM পর্যায়ে। যা শরীরের কার্যকারিতা প্রভাবিত করে। হরমোন, বিপাকক্রিয়ার ওপর প্রভাব ফেলতে শুরু করে। আর সেই কারণে ক্যান্সারের বিরুদ্ধে লড়াই করার ক্ষমতা কমে যায়। দিনের পর দিন কম ঘুম বা পর্যাপ্ত ঘুমের অভাবে বেড়ে যেতে পারে ক্যান্সারের ঝুঁকি।


এক বিশেষজ্ঞের কথায় ঘমের সঙ্গে ক্যান্সারের বিশেষ সম্পর্ক রয়েছে। কম ঘুম ক্যান্সারের অন্যতম কারণ হতে পারে। ঘুমের অভাব ইমিউন সিস্টেমকে নষ্ট করে দেয়। যা মানবদেহে দীর্ঘমেয়াদী প্রভাব ফেলতে পারে। দ্বিতীয় কারণ হিসেবে তিনি বলেছেন, কম ঘুমের কারণে মেলাটোনিনের মাত্রা কম হয়। মেলাটোনিনন শরীরে অভ্যন্তরে ক্যান্সার কোষকে দমন করতে পারে। তাই এটি টিউমার গঠনের প্রাথমিক পর্যায়কে দমন করতে সহায়ক। এটি মানুষের ক্যান্সার কোষের বিস্তারকে বাধা দেয়।


বিশেষজ্ঞদের কথায় কম ঘুম ক্ষুধা আর স্থূলতা বাড়িয়ে দেয়। যার সঙ্গে সরাসরি যোগ রয়েছে ক্যান্সারের। ঘুমের একটি নির্দিষ্ট ছন্দ রয়েছে। সেই ছন্দে ব্যাঘাত ঘটলেই শরীরে মাইটোসিস ও টিউমারের বিস্তারকে উৎসাহিত করে।


বিশেষজ্ঞদের কথায় একজন রোগীর ঘুমের অভাব তার স্বাস্থ্য খারাপ করতে পারে। যদি অন্য কোনও চিকিৎসা চলে তাতেও ব্যাঘাত ঘটাতে পারে। বিশেষজ্ঞদের কথায় কম ঘুম স্তন, কোলন, লিভার, অগ্ন্যাশয়, ডিম্বাশয়, ফুসফুসের ক্যান্সারের ঝুঁকি বাড়িয়ে দেয়।


বিশেষজ্ঞদের কথায় ক্যান্সার নিজেই ছড়ায়। আ কিন্তু ক্যান্সার রোগীর ঘুম চক্রকে প্রভাবিত করে। ক্যান্সারে আক্রান্ত রোগীর ঘুমের অভ্যাসারে পরিবর্তন হতে পারে। ঘুমাতে তাদের সমস্যা হয়।


তবে যাদের ঘুম কম তাদের জন্য কতগুলি টিপস দিয়েছেন বিশেষজ্ঞরা।


১. ঘুম কম হলেই চিকিৎসকের পরামর্শ নিন


২. ঘুমের জন্য বেশ কিছু থেরাপি রয়েছে, চিকিৎসকের পরামর্শে সেগুলি নিতে পারে।


৩. ভাল ঘুমের অভ্যাস তৈরি করুন। ঘুম পেলেই ঘুমাতে যান। নিস্তব্ধ জায়গা জায়গা, অন্ধকার ঘরে ঘুমান। অবশ্যই প্রয়োজন একটি আরামদায়ক বিছানা।


৪. ঘুমাতে যাওয়ার আগে কখনই টেলিভিশন দেখবেন না। মোবাইলফোন ঘাঁটবেন না।


৫. ঘুমানোর আগে বেশি পরিমাণে জল খান।


৬. চিকিৎসকের পরামর্শ নিয়ে অল্প ঘুমের ওধুষ খেতে পারেন।

কোন মন্তব্য নেই

Blogger দ্বারা পরিচালিত.