স্বামী-স্ত্রীর সম্পর্কে মিষ্টতা বাড়ায় এক গোছা রজনীগন্ধা, দূর করে বাস্তু দোষ



 ODD বাংলা ডেস্ক: সামনেই শুরু হচ্ছে বিয়ের মরশুম। দাম্পত্য জীবন যাতে সুখী ও সুন্দর হয়, তার কিছু কিছু বাস্তুশাস্ত্রে উল্লেখ আছে। আজ আমরা আলোচনা করব রজনীগন্ধা ফুল কী ভাবে বিবাহিত জীবনকে সুখ ও ভালোবাসায় ভরিয়ে দিতে পারে। অনেকেই বাড়িতে নানা রকম ফুলগাছ বসাতে পছন্দ করেন। বাস্তু অনুসারেও বাড়িতে ফুলগাছ থাকা খুবই শুভ। ফুলগাছ বাড়িতে পজিটিভ এনার্জি বাড়ায়। বাস্তু বিশারদরা জানাচ্ছেন যে ফুলগাছ বাড়িতে থাকলে অনেক বাস্তু দোষ কেটে যায়। এর পাশাপাশি ফুলগাছের প্রভাবে জীবনে সুখ, সমৃদ্ধি ও সাফল্য আসে।


অনেক বাড়িতেই স্বামী স্ত্রীর মধ্যে ঝগড়া ঝামেলা নিত্যদিনের ব্যাপার। বাস্তুদোষের কারণে এমনটা হয়ে থাকে। বাড়িতে বাস্তুদোষ থাকলে স্বামী-স্ত্রীর সম্পর্কে তিক্ততা বাড়তে থাকে। সেই সময় বাস্তু সমস্যার সমাধান না করলে অবস্থা আরও খারাপ দিকে এগোতে থাকবে। এই অবস্থায় জেনে নিন এক গোছা রজনীগন্ধা কী ভাবে বাস্তুদোষ দূর করে স্বামী স্ত্রীর সম্পর্কে মাধুর্য ফিরিয়ে আনে।


* রজনীগন্ধার সুন্দর গন্ধ পরিবেশে পজিটিভ এনার্জি ছড়িয়ে দেয়। এই গন্ধ দাম্পত্য জীবনে মিষ্টতা বাড়ায়। বেডরুমে ফুলদানিতে রজনীগন্ধা রাখলে স্বামী স্ত্রীর সম্পর্কে তিক্ততা দূর হয়। এর ফলে গোটা পরিবারে সুখ ও শান্তি বিরাজ করে। পরিবেশ থেকে যাবতীয় নেগেটিভ এনার্জি শুষে নেওয়ার ক্ষমতা থাকে রজনীগন্ধা ফুলের মধ্যে।


* বাস্তুবিদদের পরামর্শ অনুসারে বাড়ির উত্তর অথবা পূর্ব দিকে রজনীগন্ধা গাছ বসান। এর ফলে ওই বাড়িতে মা লক্ষ্মীর আশীর্বাদ বর্ষিত হয়। এর ফলে প্রেমের সম্পর্কে জোয়ার আসে। রজনীগন্ধার সুন্দর গন্ধে বাড়ি থেকে যাবতীয় নেগেটিভ এনার্জি দূরে সরে যায়। সুখ, শান্তি, সম্পদ ও সমৃদ্ধির প্রাচুর্য ঘটে ওই পরিবারে।


* রজনীগন্ধা ফুলের শুভ প্রভাবে আর্থিক সমস্যাও দূর হয় বলে জানাচ্ছেন বাস্তু বিশেষজ্ঞরা। সকালে রজনীগন্ধা ফুলের মালা ঠাকুরের মূর্তি ও ছবিতে পরিয়ে দিন, ঈশ্বরের আশীর্বাদ সব সময় থাকবে আপনার পরিবারে।

কোন মন্তব্য নেই

Blogger দ্বারা পরিচালিত.