জেনে নিন ক্রনিক কিডনি ডিজিজের লক্ষণ কী, সুস্থ থাকতে মেনে চলুন এই সকল ঘরোয়া টিপস

 


ODD বাংলা ডেস্ক: অল্প বয়সে অনেকেই আক্রান্ত হচ্ছেন একের পর এক রোগে। এই তালিকায়ে যেমন আছেন ডায়াবেটিস। তেমনই আছে হার্টের রোগ। এর সঙ্গে তাল মিলিয়ে বাড়ছে কিডনির রোগ। বর্তমানে ক্রনিক কিডনি ডিজিজে আক্রান্ত হচ্ছেন অনেকে। এই রোগের কারণে ধীরে ধীরে কার্যক্ষমতা হারায় কিডনি। প্রাথমিক পর্যায় কিডনির কার্যক্ষমতা ৩৫ থেকে ৪০ শতাংশ কমে গেল তেমন সমস্যা হয় না। কিন্তু, ধীরে ধীরে বাড়ে এই সমস্যা। ৬৫ থেকে ৮০ শতাংশ কার্যক্ষমতা কমে গেলে রক্তে ক্রিয়েটিনিন ও ইউরিয়ার মাত্রা বাড়ে। আর যখন কিডনির কার্যক্ষমতা ৮০ শতাংশই কমে যায় তখন তা ক্রনিক কিডনি ডিজিজ হিসেবে চিহ্নিত করা হয়।


এমন ক্রনিক কিডনি ডিজিজে আক্রান্ত হলে রোগীর হঠাৎ ওজন কমে যাওয়া, শ্বাসকষ্ট, ঘুমের চক্রে বদল, স্মৃতিশক্তি কমে যাওয়া, পেশির যন্ত্রণা, বারে বারে প্রস্রাব পাওয়া, ত্বকে শুষ্ক ভাব, ফ্যাকাসে ত্বকের মতো সমস্যা দেখা দেয়। এই সমস্যা দেখা দিতে ডাক্তারি পরামর্শ তো নেবেনই। সঙ্গে মেনে চলুন এই কয়টি ঘরোয়া টোটকা। খাদ্যতালিকায় এমন খাবার যোগ করুন। এতে মিলবে উপকার। দেখে নিন কী কী করবে।


প্রচুর পরিমাণে জল খান। কিডনি সংক্রমণ হলে রোজ ৭ থেকে ৮ গ্লাস জল পান করুন। ন্যাশনল ইনস্টিটিউট অফ ডায়াবেটিস অ্যান্ড ডাইজেস্টিভ অ্যান্ড কিডনি ডিজিজেস ট্রাস্টেড সোর্স অনুসারে, দিনে কম পক্ষে ছয় থেকে ৮ গ্লাস জল পান করলে মিলবে উপকার।


ক্র্যানবেরি জুস খেতে পারেন। গবেষণায় দেখা গিয়েছে, ক্র্যানবেরি জুসে রয়েছে একাধিক উপকারী উপাদান। এই জুসে উপস্থিত অ্যাসিড কিডনির ওপর শুভ প্রভাব ফেলে।


তেমনই নিয়মিত গ্রিন টি খেতে পারেন। এটি অ্যান্টি ব্যাকটেরিয়াল উপদান সমৃদ্ধ। যা ব্যাকটেরিয়া স্ট্রেনের ওপর শুভ প্রভাব ফেলে। নিয়মিত গ্রিন টি খেলে ইউটিআই থেকে মুক্তি পেতে পারেন। মেনে চলুন এই সকল বিশেষ টিপস। রোজ দিনে অন্তত ৩ কাপ করে গ্রিন টি খান। এতে শারীরিক জটিলতা থেকে মিলবে মুক্তি।


তেমনই রোজ সঠিক খাদ্যগ্রহণ করুন। ভিটামিন, প্রোটিন, ক্যালসিয়াম থেকে শুরু করে সকল উপকারী উপাদান রাখুন খাদ্যতালিকাতে। সঙ্গে ত্যাগ করুন ধূমপান ও মদ্যপানের অভ্যেস। এতে মিলবে উপকার। দূর হবে যাবতীয় কঠিন সমস্যা। সঙ্গে কিডনি ভালো থাকবে। মেনে চলুন এই সকল বিশেষ টিপস। এতে দ্রুত মিলবে উপকার। 

কোন মন্তব্য নেই

Blogger দ্বারা পরিচালিত.