ত্বকের যত্নে টি ট্রি অয়েল যেভাবে ব্যবহার করবেন

 


ODD বাংলা ডেস্ক: টি ট্রি অয়েল হচ্ছে এক ধরনের এসেনশিয়াল অয়েল। এটি বিউটি ওয়ার্ল্ডে জনপ্রিয়তা অর্জন করেছে। ত্বকের যত্নে টি-ট্রি অয়েল ব্যবহার করতে পারেন। অস্ট্রেলিয়া এই টি-ট্রি পাওয়া যায়। সেই গাছের পাতা থেকে এই অয়েল তৈরি করা হয়। অ্যান্টি-সেপটিক হিসেবে ব্যবহার করা হয় প্রধানত। 

টি ট্রি অয়েল কেন ত্বকের জন্য উপকারী?

টি-ট্রি অয়েলের মতো এসেনশিয়াল অয়েলে আছে এমন কিছু গুণ ও উপাদান, যা ত্বকের নানা সমস্যা সমাধান করতে পারে। মুখের দাগ-ছোপ মলিন করে। এই তেলে আছে অ্যান্টি-মাইক্রোবায়াল, অ্যান্টি-ইনফ্ল্যামেটরি উপাদান। যা ত্বকের জন্য খুব ভালো। ​ত্বকের প্রদাহ সারিয়ে তুলতে সাহায্য় করে। লাল ভাব ও চুলকানি কমায়। ত্বকে প্রাকৃতিক আর্দ্রতার জোগান দেয়। ফলে জেল্লাও হয় দেখার মতো।


কী উল্লেখ গবেষণায়: ন্যাশনাল লাইব্রেরি অফ মেডিসিনে ২০১৫ সালে প্রকাশিত রিপোর্টে উল্লেখ করা হয়েছে, অ্যাকনের ট্রিটমেন্টে এই টি-ট্রি অয়েল ব্যবহার করা হয়েছে। ২০০৬ সালের একটি গবেষণায় দেখা গিয়েছে, টি-ট্রি অয়েলে আছে অ্যান্টি-ইনফ্ল্যামেটরি ও অ্যান্টি-মাইক্রোবায়াল উপাদান। যা খুবই উপকারী।

২০১৬ সালের আরো একটি গবেষণায় দেখা যায়, টি-ট্রি অয়েল এবং রেসভেরেট্রল একসঙ্গে মিশিয়ে ব্যবহার করলে সূর্যের ক্ষতিকারক রশ্মি থেকে ত্বককে রক্ষা করা যায়।


কী কী উপকার পাবেন: এই তেলে আছে অ্যান্টি-ইনফ্ল্যামেটরি উপাদান। তাই স্বাভাবিক ভাবেই ত্বকের অন্দরের প্রদাহ কমাতে পারে এই তেল। সহজেই অ্যাকনে সারিয়ে তুলতে পারে। এর অ্যান্টি-অক্সিড্যান্ট গুণে ত্বকের জেল্লা হয় দেখার মতো। সহজেই মুখে বয়সের ছাপ পড়তে দেয় না। অসময়ে মুখে প্রকট হয় না বলিরেখা। সানবার্ন থেকে ত্বককে রক্ষা করে। ত্বককে ভেতর থেকে আর্দ্রতা জোগায়। ফলে এর জেল্লাও হয় দেখার মতোই।


কীভাবে ব্যবহার করবেন টি-ট্রি অয়েল: আপনি ফেসপ্যাকে টি-ট্রি অয়েল মিশিয়ে ব্যবহার করতে পারেন। উপকার পাবেন। একটি পাত্রে পরিমাণ মতো অ্যালোভেরা জেলের সঙ্গে ২-৩ ফোঁটা টি-ট্রি অয়েল মিশিয়ে ব্যবহার করুন। উপকার পাবেন। সপ্তাহে ২-৩দিন এই ফেসমাস্ক ব্যবহার করতে পারেন।


উল্লেখ্য, কখনো সরাসরি মুখে টি-ট্রি অয়েল লাগাবেন না। টি-ট্রি অয়েল অতিরিক্ত পরিমাণে মুখে লাগাবেন না। এতে ক্ষতি হতে পারে।

কোন মন্তব্য নেই

Blogger দ্বারা পরিচালিত.