শিশুর শরীরে বাড়ছে ভালোবাসার ‘লাল চিহ্ন’



 ODD বাংলা ডেস্ক: জন্মের সময়ে শরীরে কোনো অংশে তিল বা জরুলের মতো জন্মদাগ থাকা স্বাভাবিক। বছর খানেক আগে পৃথিবীর আলো দেখা জর্জিয়া ওয়েলচের ক্ষেত্রেও ভিন্ন কিছু হয়নি। কিন্তু তার জন্মদাগ হয়ে ওঠে চর্চার কেন্দ্রবিন্দু। কারণ, ভালোবাসার ‘লাল চিহ্ন’ গায়ে নিয়েই জন্মেছিল সে।

শিশুটির মা, জেনি এবং তার সঙ্গী জয়ি প্রথম বার তাদের সন্তানের পেটে থাকা এই চিহ্ন দেখে চমকে উঠেছিলেন। হু-বহু হৃদয়ের চিহ্নের মতো। লাল রঙের ঐ দাগ দেখে তারা ভেবেছিলেন, বড় হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে বোধ হয় তা মিলিয়ে যাবে। কিন্তু তা তো নয়ই, উল্টা এক বছর আগের দাগের চেয়ে তা আরো গাঢ় হয়েছে। জেনি বলেন, ‘জন্মের পর প্রথম এক আয়ার চোখে পড়ে ঐ দাগ। তখন সামান্য ছোট্ট, লাল দাগ ছাড়া কিছুই তেমন বোঝা যায়নি। কিন্তু বেশ কিছু দিন পর দেখি তা হৃদয়ের আকার ধারণ করতে শুরু করেছে এবং আগের চেয়ে দেখতেও বড় লাগছে।’


জর্জিয়ার চিকিৎসকও নাকি জীবনে প্রথম বার দেখছেন এমন জন্মদাগ। প্রথমটায় তিনিও দেখে বুঝতে পারেননি। তারও মনে হয়েছিল বড় হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে এই দাগ মিলিয়ে যাবে। কিন্তু তা হয়নি। জর্জিয়া যেমন বড় হচ্ছে, তেমনই বাড়ে এই দাগ।


শোয়ার ব্যবস্থা আলাদা হলে মরিচা ধরা, পুরনো দাম্পত্যে ছুটবে আগুনের ফুলকি, দাবি সমীক্ষায় জর্জিয়ার মা জেনির কাছে এই দাগ এতটাই প্রিয় যে, তিনিও নিজের শরীরে, পেটের ঠিক ঐ জায়গাতেই এক রকম দেখতে একটি ট্যাটু করাবেন বলে স্থির করেছেন।


২০২২ সালের ২২ ফেব্রুয়ারি জন্ম হয় জর্জিয়ার। তারপর থেকেই সমাজমাধ্যমে উষ্ণতা ছড়াচ্ছে ছোট্ট এই শিশুর শরীরের ঐ ছবি। সমাজমাধ্যমে ঐ ছবি ছড়িয়ে পড়া মাত্রই জর্জিয়া অনেকেরই ভালোবাসা পেয়েছে। কিন্তু অনেকের মনেই সন্দেহের উদ্রেক হয়েছে, ভেবেছেন, এমন দাগ জন্মগত হতে পারে না।

কোন মন্তব্য নেই

Blogger দ্বারা পরিচালিত.