পুরুষের এই পাঁচ গুণ থাকলে সংসারে সুখের ঘাটতি থাকে না

 


ODD বাংলা ডেস্ক: সংসার সুখের হয় রমণীর গুণে’ একথা যেমন সত্য আবার সংসার সুখের হয় পুরুষের গুণে একথাও মিথ্যা নয়। একটি সংসার বাঁচিয়ে রাখার জন্যে বা পরিবারে সুখ-শান্তি বজায় রাখার জন্যে শুধুই কী এক নারীর ভূমিকা থাকে? মোটেও না।আসলে সংসার ভালো রাখার জন্য়ে ও সেখানে সুখ-শান্তি বজায় রাখতে দুজনের ভূমিকাই কিন্তু গুরুত্বপূর্ণ।

সংসারে দুজন মানুষের সমান ভূমিকা এবং সমান গুরুত্ব থাকা উচিত। একজন ভালো স্ত্রীর যেমন প্রয়োজন, একইভাবে একজন ভালো স্বামীরও কিন্তু ভূমিকা অনেক! আপনি কি জানেন, একজন নারীই স্বামীর মধ্য়ে কোন পাঁচ গুণ দেখতে চান? কোন পাঁচটি বিষয় তারা স্বামীর মধ্য়ে দেখলে মনে হয় যে, তাদের জীবনে সুখের কোনো ঘাটতি হবে না! আলোচনা করলাম সেই নিয়েই।


মন দিয়ে কথা শোনেন: সব নারীই চান, তার স্বামী যেন একজন ভালো শ্রোতা হন। বিপরীতের মানুষটি কী বলছেন, সেই কথা তিনি যেন মন দিয়ে শোনেন এবং তারপরই কোনো সিদ্ধান্ত নেন। স্ত্রীর কথা না শুনলে বা গুরুত্ব না দিলে কিন্তু আপনার প্রতি ধীরে ধীরে বিব্রত হয়ে উঠবেন তিনি। আপনার প্রতি আশাও থাকবে না। বরং, এরপর থেকেই সংসারে অশান্তি শুরু হবে। তাই স্ত্রীর কথা অবশ্যই মন দিয়ে শুনুন। তারপর নিজের মতামত জানান। কথা শোনা আর কথা মেনে চলার মধ্য়েও পার্থক্য আছে, তা ভুললে চলবে না।


সংসারের দায়িত্ব ভাগ করে নেন: কোনো পরিবার এবং সংসারের সুখ-শান্তির দায়িত্ব কিন্তু প্রত্যেকের। সেই বিষয়ে আপনাকেই ওয়াকিবহাল থাকতে হবে। আপনার স্ত্রী যেমন সংসারের কাজ করবেন, একইভাবে আপনাকেও কিন্তু সেই দায়িত্ব ভাগ করে নিতে হবে।


আপনারা দুজনেই যদি চাকুরিজীবী হন, তবে এটি আরও বেশি করে খেয়াল রাখতে হবে আপনাকে। তিনি যদি রান্না করেন, তাহলে আপনি সবজি কেটে গুছিয়ে দিন। এভাবেই কাজ ভাগ করে নিতে হবে।


স্ত্রীকে ভালো বন্ধু মনে করেন: একজন নারীর কিন্তু এই আকাঙ্খা মনে থাকেই। তিনি স্বামীকে বন্ধু হিসেবে পেতে চান। আসলে, বন্ধুত্বের সম্পর্কে দুইজনের অধিকার সমান হয়। দুজনেই দুজনকে সম্মান করেন।


স্বামী যদি বন্ধু হয়ে উঠতে পারেন, তাহলে নিশ্চিন্তে সব মনের কথা বলা যায়। কোনো অসুবিধায় পড়তে হয় না। কোনো কাজ করার আগে দশবার ভাবতে হয় না। বরং, দুজনে যেমন কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে সব দায়িত্ব নিতে পারেন, একইভাবে মনের কথা খুলে বলতেও দুবার ভাবতে হয় না।


হাতটি ছাড়বেন না: একটি পরিবারে সুখ-শান্তি বজায় রাখার জন্যে এবং সাংসারিক ঝগড়া এড়িয়ে যাওয়ার জন্যে একে অপরকে সম্মান করা প্রয়োজন। দাম্পত্যে সম্মান ও শ্রদ্ধা কিন্তু ভিতের মতো হয়ে ওঠে।


আপনাদের সম্পর্কের এই দুইটি দিক যদি মজবুত হয়, তবে আর কোনো সমস্যা থাকবে না। তাই স্ত্রীকে, স্ত্রীর মতামতকে সম্মান করুন। তিনি আপনার থেকে এইটুকুই আশা করেন। দুজনে খুব ভালো থাকুন। সংসার সুখের হোক দুজনের গুণেই।


স্ত্রীকে সমর্থন করেন: আপনার সঙ্গে স্ত্রীর সমস্যা হতেই পারে। তার কোনো জিনিস আপনার অপছন্দ হতেই পারে। মতামতেরও পার্থক্য হতে পারে। কিন্তু তাকে সেইসব কথা ব্যক্তিগত ভাবে জানান। আপনাদের অন্য ব্যক্তিগত মুহূর্তও যেমন থাকবে, একইভাবে ঝগড়াও করবেন ব্যক্তিগত ভাবে।


সবার সামনে স্ত্রীর উপর চিৎকার করবেন না। সবার সামনে অপমান করবেন না। সবসময় মনে রাখবেন, আপনি এবং আপনার স্ত্রী একটি টিম। তাই তার প্রতি দায়িত্বশীল হওয়া আপনার কর্তব্য। অন্য কারো সামনে স্ত্রীকে সমর্থন করুন। ব্যক্তিগতভাবে তাকে খারাপ লাগার কথা জানান।

কোন মন্তব্য নেই

Blogger দ্বারা পরিচালিত.