ঠিকমতো ঘুমোলে কি সত্যিই রোগ-বালাই ঘেঁষতে পারে না কাছে?

 


ODD বাংলা ডেস্ক: প্রতিদিন সাত-আট ঘণ্টা ঘুমোনোর উপর ইদানীং সবাই খুব জোর দিচ্ছেন। দেশ-বিদেশের লাইফস্টাইল কোচ বা হোলিস্টিক নিউট্রিশনিস্টরা বলছেন যে ঘুম হল এমন একটি ওষুধ যা আপনার সর্বাঙ্গীণ সুস্থতা নিশ্চিত করে নিখরচায়। রোজ যথেষ্ট ঘুমোলে আপনার কাজের উদ্যম বাড়ে, জীবনযাত্রা অনেক সহজ হয়ে যায়, কমে স্ট্রেস, অ্যাংজ়াইটি। ব্রেন বেশি কার্যকর হয়ে ওঠে ক্রমশ, ইমিউন সিস্টেম জোরালো হয়, বাড়ে স্মৃতি। তাই পরিষ্কার বাতাসে শ্বাস নেওয়া বা সুষম খাবার খাওয়ার মতোই ঠিকমতো ঘুমোনোটাও আপনার দৈনিক জীবনচর্যার আবশ্যক অঙ্গ হয়ে ওঠা উচিত।


জানেন কি, নানা গবেষণায় এ কথা প্রমাণিত হয়েছে যে যাঁরা যথেষ্ট ঘুমোন না, তাঁদের খিদে পায় বেশি? আসলে হয় কী, খিদের বোধ জানান দেওয়ার জন্য যে হরমোনগুলি কার্যকর, ঘুমের অভাবে তার কাজের স্বাভাবিক ছন্দটা নষ্ট হয়ে যায়। লেপটিন নামক যে হরমোনটি খিদের বোধ কমায়, সেটির মাত্রা কমে, বাড়ে ঘ্রেলিনের পরিমাণ। ঘ্রেলিনের কারণে খিদে পায় বেশি। ঘুমের অভাব হলে মনঃসংযোগে অসুবিধে হয়। ফলে কাজে বেশি ভুল হয়, পারফরম্যান্স ক্রমশ খারাপ হতে থাকে। উলটোদিকে আবার যাঁরা যথেষ্ট ঘুমোন, তাঁদের স্মৃতিশক্তি বাড়ে ও তাঁরা জটিল সমস্যার সমাধানও করেন তাড়াতাড়ি।


ঘুমের অভাবের সঙ্গে হার্টের অসুখ, টাইপ 2 ডায়াবেটিস ও ডিপ্রেশনের সরাসরি যোগ আছে বলে মনে করেন অনেক বিশেষজ্ঞ। তা শরীরে ইনফ্লামেশন বা প্রদাহের মাত্রা বাড়ায়, ফলে বাড়তে পারে শ্বাসকষ্ট, সাইনাস বা অ্যালার্জির সমস্যা।


ভালো ঘুমের জন্য কী করবেন: সারাদিন মোটামুটি পরিশ্রম করলে ঘুম আসতে অসুবিধে হয় না। তবে ঘুমের আগে প্রচুর জল বা কোনও তরল পান না করলেই ভালো, তাতে মাঝপথে ঘুম ভাঙার আশঙ্কা থাকে। ঘুমনোর অন্তত দু’ ঘণ্টা আগে খেয়ে নিন, কোনও ভারী ব্যায়াম করবেন না। সম্ভব হলে এই দুই ঘণ্টায় টিভি, ফোন বা কম্পিউটারের তীব্র আলোর সামনে না থাকার চেষ্টা করুন। বই পড়ুন, গল্প করুন পরিবারের সকলের সঙ্গে, তাতে কোনও অসুবিধে নেই। ঘুমের আগে স্নান করে অনেকেই খুব উপকার পেয়েছেন, খুব ভালো হয় স্নানের জলে ল্যাভেন্ডারের মতো কোনও এসেনশিয়াল অয়েল মিশিয়ে নিতে পারলে। সম্ভব হলে দুপুরে ঘুমোবেন না, তাতে রাতের ঘুম ভালো হবে।

কোন মন্তব্য নেই

Blogger দ্বারা পরিচালিত.