অদ্ভুত নিয়ম, বিয়ের আগে বর-কনেকে ঘরবন্দি করে বাইরে পাহারা দেয়
ODD বাংলা ডেস্ক: আফ্রিকার আদিবাসীদের বিভিন্ন পৃথক গোষ্ঠী রয়েছে। সেই গোষ্ঠীগুলোর মধ্যে বিবাহের অদ্ভুত সব নিয়ম কার্যকর আছে। আদি বাসিন্দাদের মধ্যে বিয়ের সেই সব নিয়ম চলছে যুগ-যুগ ধরে।
প্রাথমিক অদ্ভুত একটি নিয়ম চালু আছে নামিবিয়ার হিম্বা সম্প্রদায়ের মধ্যে। তাদের সম্প্রদায়ের মধ্যে নিয়ম আছে, কোনো পুরুষের কোনো নারীকে পছন্দ হলে পুরুষের বাড়ি থেকে সেই নারীকে অপহরণ করা হয়। তারপর শ্বশুরবাড়ির লোকেরা ছেলে-মেয়েকে বাড়িতে বন্দি করে রাখে। বাইরে পাহারা দেয়।
তারপর পরিবারের তরফ থেকে মেয়ের বাড়িতে যাওয়া হয় নানারকম উপহার নিয়ে। সেই উপহারের তালিকায় থাকে তামাক, বাদাম, ফুল। সেখানে তাদের মেয়ের বর্তমান অবস্থা সম্পর্কে জানানো হয়। সেখানে বিবাহের প্রস্তাব গৃহীত হলে মেয়ের বাড়ির লোকেরা শর্ত দেন। কী সেই শর্ত। শর্ততে বলা হয়, তাদের বাড়ির মেয়েকে যে ছেলের ভালোবাসে, তার প্রতক্ষ্য প্রমাণ দিতে হবে। তারপরে ‘হ্যান্ড রানিং’ নামে একটি কর্মসূচি পালিত হয়। সেই কর্মসূচিতে ছেলেটিকে একটি কুকুরকে, কয়েকটি ছাগলকে মারতে হয়।
মেয়ের বাড়িতে এসব কাণ্ড যদি করতে পারে ছেলেটি, তা হলেই বিয়ে হয়। ছেলের শিকার করা ঐ পশুর মাংস রেঁধে খাওয়া হয় তারপর। এরপর চারটি গরু, বাদাম ও টাকা হিসেবে পণ দিতে হয়। তবে এক্ষেত্রে পণ দিতে হয় পুরুষের পরিবারকে। পুরুষের পরিবার যদি দিতে না পারে, তা হলে অপেক্ষা করা হয় এদের কন্যা সন্তান জন্মানোর সময় পর্যন্ত। সেটিই শেষ পর্যন্ত হয় পণ।
Post a Comment