যুদ্ধ বা ডুবন্ত নৌকার ছবি ভয়ঙ্কর পরিণতি ডেকে আনতে পারে, ভুলেও এই ছবি ঘরে রাখবেন না
ODD বাংলা ডেস্ক: শুধু যে একটি সুন্দর বাড়ি তৈরি করলেই শান্তি আর সুখ আসে তা কিন্তু নয়। মনে রাখবেন বাড়ি থেকে নেগেটিভ এনার্জি দূর করতে ও বাড়িকে সুখ আর সমৃদ্ধি আনতে অবশ্যই বাস্তু শাস্ত্র মেনে চলা জরুরি। আমরা অনেক সময়ই ঘর সাজানোর জন্য নানাবিধ পেইন্টিং বা ছবি ঝুলিয়ে থাকেন। কিন্তু আপনি কি জানেন আপনার পছন্দের একটি সুন্দর ছবিই আপনার আর আপনার পরিবারের কাল হতে পারে। কারণ বাস্তু অনুসারে ছবি পরিবারের সুখ, দুঃখ, সৌভাগ্য আর দুর্ভাগ্য নিয়ে আসে। এমন অনেক পশুপাখি বা সরিসৃপ রয়েছে যআদের ছবি ঘরে রাখলেই নেতিবাচক শক্তি প্রবেশ করে।
মনে রাখবেন ঘরে ভুলেই এই ছবিগুলি রাখবেন নাঃ
যুদ্ধের ছবি - শোয়ার ঘরে কখনই যুদ্ধের ছবি রাখবেন না। তাতে আপনি একাকী বোধকরবেন। মনে অশান্তি তৈরি হবে। শোয়ার ঘরে সর্বদাই ফুলের ছবি বা সূর্যোদনের ছবি রাখতে পারে।
ডুবে যাওয়া নৌকা - খুব সুন্দর হলেও ঘরে কখনও ডুবে যাওয়া নৌকার ছবি রাখবেন না। বাস্তুশাস্ত্র মতে ডুবে যাওয়া জাহাজের ছবি বা পেইন্টিং বাড়িতে দুঃখ বয়ে আনে। তেমনই মাস্তুল বা নোংরের ছবিও ঘরে রাখা শ্রেয় নয়। এটি নেগেটিভ এনার্জি বয়ে আনে।
অস্তগামী সূর্য- অনেক মানুষই বাড়িতে অস্তগামী সূর্যের ছবি লাগান। বা পেইন্টিং রাখেন। কিন্তু এটিও শুভ নয়। বাস্তুমতে অস্তগামী সূর্য পরিবারে অশান্তি ডেকে আনে।
মহাভারতের যুদ্ধ - অনেকেই ঘরে শুভ মনে করে মহাভারতের যুদ্ধ বা যুদ্ধক্ষত্রে শ্রীকৃষ্ণ অর্জুনের ছবি রাখেন। মনে রাখবেন ছবিতে কৃষ্ণ থাকলেও সেই চবি শুভ নয়। এই ছবি মনে হতাশা তৈরি করে। অনেক সময় এই ছবি পরিবারে নৈরাজ্য ডেকে আনে।
প্রাণীর ছবি - বাড়িতে ভুলেই সাপের ছবি, রাখবেন না। তাতে অশান্তি তৈরি হয়। পায়রা, কাক, শকুন বা পেঁচার ছবিও ঘরে রাখবেন না। ভুলেও ঘরে ইগলের ছবি রাখবেন না। তাতে পরিবারে নেতিবাচক শক্কির প্রভাব বাড়ে।
বাড়িতে মৃত মানুষের ছবি বেশি না রাখাই শ্রেয়। তাতে পরিবারে অশান্তি বাড়ে। আবার বাস্তু নিয়ম অনুযায়ী শোয়ার ঘরে কখনই একটি ফ্রেমে তিন জনের বেশি মানুষের ছবি রাখবেন না। গ্রুপ ফোটো পরিবারের অনিশ্চয়তা ডেকে আনে। শোয়ার ঘরে ঠাকুরের মূর্তি বা ছবি না রাখাই শ্রেয়।
Post a Comment