তৃতীয় চোখ খোলার আগে পাওয়া যায় এই ৬ ইঙ্গিত, আপনিও পাচ্ছেন নাকি?

 


ODD বাংলা ডেস্ক: শিবের তৃতীয় নেত্রের কথা সকলেই জানি। শাস্ত্র মতে, তাঁর চোখ খুলে গেলে পৃথিবী ধ্বংস হতে পারে। সাধারণ মানুষের মধ্যেও কী এই তৃতীয় চোখ রয়েছে? এর উত্তর হ্যাঁ হলে, অনেকেই তা বিশ্বাস করতে চাইবেন না। ভ্রম মনে করবেন। কিন্তু কোনও ব্যক্তি যদি সাধনা, শক্তি ও চক্রকে অনুভব করে থাকেন তা হলে তাঁরা অবশ্যই বিশ্বাস করবেন। শাস্ত্র মতে প্রতিটি মানুষের তৃতীয় নেত্র থাকে। যাকে চেতনার চোখ বলা হয়। ব্যক্তির মন ও চিত্ত শান্ত হলে তাঁরা নিজের তৃতীয় চোখকে অনুভব করতে পারে। কিন্তু আজকের যুগে মানসিক শান্তি খুঁজে পাওয়া সবচেয়ে কঠিন।


আধুনিক মনোবিজ্ঞান ও বৈজ্ঞানিক গবেষণা অনুযায়ী মানুষের দুই ভুরুর মাঝে একটি গ্রন্থি রয়েছে, যাকে শরীরের সবচেয়ে রহস্যময় অঙ্গ মনে করা হয়। আসলে তৃতীয় চোখ এক আধ্যাত্মিক প্রতীক। এটি আমাদের মনের মধ্যে আন্তরিক জ্ঞান জাগিয়ে ইতিবাচক শক্তির সঞ্চার করে। পাশাপাশি প্রতিদিনের জীবনে আগত নানান সমস্যা দূর করার ক্ষমতা রাখে। এই তৃতীয় নেত্র খুললে ব্যক্তির জীবনে আশ্চর্যজনক কিছু ঘটনা ঘটতে পারে। এই চোখ খুললে ব্যক্তি এমন অনেক কিছু দেখতে পায় যা কোনও সাধারণ মানুষের পক্ষে দেখা অসম্ভব। তৃতীয় নেত্র খোলার আগেও ব্যক্তির সঙ্গে নানান ঘটনা ঘটে। এইগুলি আসলে তৃতীয় নেত্র খোলার ইঙ্গিত বহন করে। কোন কোন লক্ষণ তৃতীয় নেত্র খোলার দিকে ইশারা করে জেনে নিন।


১. ভুরুর মাঝে অর্থাৎ যেখানে টিপ পরেন, সেখানে লাগাতার বেশ কিছু দিন ধরে হাল্কা চাপ অনুভব হলে এটি তৃতীয় চোখ খোলার দিকে ইশারা করে। একে মাথা ব্যথার সঙ্গে গুলিয়ে ফেলবেন না। ভুরুর মাঝখানেই তৃতীয় চোখের অবস্থান। প্রথম প্রথম মনে হবে যে কেউ আপনাকে স্পর্শ করছে, তার পর ক্রমশ একটি চাপ অনুভূত হবে।


২. মাইগ্রেন বা মাথ্যা ব্যথার অন্য কোনও সমস্যা না-থাকা সত্ত্বেও যদি মাথায় গভীর চাপ-সহ ব্যথা অনুভূত হয় তা হলে এটি তৃতীয় নেত্র জাগৃত হওয়ার অন্যতম লক্ষণ। অনেকে একে সাধারণ মাথা ব্যথা বলে উপেক্ষা করে দেন। কিন্তু প্রথমে হাল্কা মাথা ব্যথা এবং পরে ব্যথা বাড়তে শুরু করলে বুঝতে হবে যে সেই ব্যক্তির তৃতীয় নেত্র জাগৃত হচ্ছে। আসলে যখন কুণ্ডলিনীর শক্তির বৃদ্ধি পায় এবং পিনিয়ল গ্রন্থির পাশে একত্রিত হয়, তখন এই ব্যথা বাড়তে থাকে।


৩. তৃতীয় চোখ খোলার আগে ব্যক্তির ইনটিউশন অত্যন্ত মজবুত হয়ে পড়ে। এর ফলে ব্যক্তি ভবিষ্যৎ দেখতে পারে। এর ফলে ব্যক্তি জীবনে সঠিক সিদ্ধান্ত নিতে সক্ষম হবে।


৪. তৃতীয় নেত্র খোলার সময়ে আলো ও ধ্বনির প্রতি সংবেদনশীলতা বৃদ্ধি পায়। তীব্র সঙ্গীত ও উজ্জ্বল রশ্মি সহ্য করা কঠিন হয়ে পড়ে। চোখের কোনও সমস্যা না-থাকলেও যদি আলো সহ্য করতে অক্ষম হন, তা হলে এটি তৃতীয় নেত্র খোলার দিকে ইশারা করে থাকে।


৪. চোখ বন্ধ করলে কোনও আলো, পিরামিড বা নিরাকার প্যাটার্ন দেখাও তৃতীয় চোখ খোলার লক্ষণ। সবসময় এমন হলে এবং এর পাশাপাশি অন্যান্য লক্ষণ দেখলে তা তৃতীয় চোখ খোলার প্রবল সংকেত দিয়ে থাকে।


৫. খাবার-দাবারের সঙ্গে একটি ভাইব্রেশন ও তথ্য জড়িত, এটি শক্তির মাধ্য়ম। যে ব্যক্তির তৃতীয় চোখ জাগৃত হচ্ছে তাঁরা নিজের শরীরের শক্তি ও কম্পনের সঙ্গে সামঞ্জস্যপূর্ণ খাবার খেতে ভালোবাসেন। এ কারণে এ সময়ে কিছু কিছু ব্যক্তির খাওয়া-দাওয়া সংক্রান্ত পছন্দ পাল্টাতে থাকে।


৬. তৃতীয় চোখ জাগৃত হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে স্বপ্নে স্পষ্টতা আসতে শুরু করে। এই স্বপ্নের পিছনে গোপন বার্তা থাকে। সকালে ওঠার পর নিজের স্বপ্নের বিশ্লেষণ করতে ভুলবেন না। সেই স্বপ্নের লুকিয়ে থাকা অর্থ খোঁজার চেষ্টা করুন। তৃতীয় চোখ জাগৃত হওয়ার সময় কিছু ব্যক্তি অতীত ঘটনা ও আবেগপ্রবণ কষ্ট সম্পর্কে স্বপ্ন আসতে শুরু করে। এই স্বপ্ন ভবিষ্যতের সঙ্গে জড়িত।

কোন মন্তব্য নেই

Blogger দ্বারা পরিচালিত.